আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

فصل في أنزل الله نصره على المسلمين

পৃষ্ঠা - ২৬৬৭


পাবে ৷ আমরা নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা কিন্তু ঐ রকম কাজ করার সিদ্ধান্ত দেইনি ৷ এ সময় তার মধ্যে
জাহিলিয়া৷তের অহমিকা জেগে উঠল ৷ সে বলল, ঐ অঙ্গ কর্তনের যে ঘটনা ঘটেছে তাতে অবশ্য
আমরা অসন্তুষ্টও নই ৷ এই বর্ণনা করেন ইবন আবু হাতিম ৷ আরো মুসতাদরাক হাকিম এবং
বায়হাকী (র ) এর আদ দাল ৷ইল গ্রন্থের ৷৩ তারা বর্ণনা করেছেন, সুলায়মান ইবন দাউদের বরাতে ৷
এটি একটি গরীব পর্যায়ের বর্ণনা ৷ এটি ইবন আব্বাস (না)-এর ৰুরস ল বণনাগুলাের একটি ৷
এটির সমর্থনে অন্যান্য বর্ণনা রয়েছে ৷ সাধ্যমত আমরা সেগুলো উল্লেখ করব ইনশাআল্লাহ ৷
ইমাম বুখারী (র ) বলেন, উবায়দুল্লাহ্ ইবন মুসা ধারা (যা) এর বরাতে বলেন যে, বরাতে উহুদ
যুদ্ধের বর্ণনা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত বলেছেন, উহুদের দিন আমরা সেনাপতি আব্দুল্লাহ তার
র্তীরন্দাজদের ঘাটি ত্যাগ করতে দেখে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সা) তো আমাদের অঙ্গীকার নিয়েছেন
যে, আমরা যেন এই ন্থ ন ত্যাগ না করি ৷ কিন্তু তারা তার কথা মানেননি ৷ ফলে যুদ্ধের অবস্থা
পরিবর্তিত হয়ে যায় ৷ ৭০ জন সাহাবী তাতে নিহত তহন ৷ আবু সুফিয়ান তখ্যা বেরিয়ে আসে এবং
বলে, তোমাদের মধ্যে কি মুহাম্মাদ (সা) আছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা তার কথার
কোন উত্তর দিও৷ না ৷ সে বলল, ৫৩ামাদের মধ্যে কি আবুকুহড়াফার পুত্র আছে ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, কো ন উত্তর দিবে না ৷ সে বলল, তোমাদের মধ্যে কি থাত্তা ৷বের পুত্র আছে ? কোন উত্তর
না পেয়ে সে বলল, ওরা সবাই নিশ্চয়ই নিহত ৩হয়েছে ৷ জীবিত থাকলে অবশ্যই উত্তর দিত ৷
হযরত উমর (রা) নিজেকে সংযত রাখতে পারলেন না ৷ তিনি বললেন, (হ আল্লাহর দৃশমনা
তার কথা মিথ্যা, যাতে তই দৃশ্চিভাগ্রস্ত থাকিস এজন্যে আল্লাহ তা আলা তাদেরকে বহাল
তাবয়তে রেখেছেন ৷ আবুসুাফয়ান বলল, হুবল দেবতার জয় হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন,
ওর কথার জবাব দাও ! সাহাবিগণ বললেন, কী জবাব দিব ? রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা
বল, “আল্লাহ সর্বোচ্চ আল্লাহ সুমহান ৷ আবু সুফিয়ান বলল, আমাদের উঘৃয৷ আছে, তোমাদের
উঘৃয৷ নেই ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, ওর কথার জবাব দাও ৷ সাহাবাগণ (রা ) বললেন, কী জবাব
দিব ? তিনি বললেন যে, তোমরা বল “আল্লাহ আমাদের মাওল৷ ও প্রভু তোমাদের প্রভু নেই ৷
আবু সুফিয়ান বলল, আজকের এই দিবস বদর দিবসের বাংলা ও প্রতিশোধ , আর যুদ্ধ হল বালতির
ন্যায় হাত বদলের ব্যাপার ৷ তোমাদের নিহতদের মধ্যে তোমরা অঙ্গকর্ভিত লোক খুজে পাবে ৷
আমি কিন্তু তা করার নির্দেশ দিইনিত ৷ তবে আমি তাতে অখুশীও নই ৷ এই হাদীছ ইমাম বুখারী
(র)-এর একক বর্ণনা ৷
ইমাম আহমদ ও মুসা বারা ইবন আযিব (বা) সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তাতে
একথা ও আছে আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (বা ) এর নিয়স্ত্রণাধীন সৈন্যগণ বললেন (হ সাথিগণ
পনীমতের মাল ৷ তোমাদের সাথিগণ ওে ৷ যুদ্ধের ময়দানে বিজয়ী ৷ আর অপেক্ষা কিসের ?
আব্দুল্লাহ ইবন জুবায়র (বা) বললেন৪ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৫ত তােমাদেরকে কী বলে দিয়েছিলেন তা কি
তামরা ভুলে গিয়েছ ? তারা বললেন, “আল্লাহর কসম আমরা ওদের নিকট যাব এবং গনীমতের
অংশ নিব ৷ ওরা যখন গিরিপথ ছেড়ে ময়দানে নেমে এলেন তখন তাদের অবস্থার পরিবর্তন
ঘটল ৷ যুদ্ধের মোড় পাল্টে গেল ৷ত তারা বিজয়ের পর এবার পরাজিত হলেন ৷ এটি হচ্ছে (কুরআন
বর্ণিত) রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তাদেরকে পেছন থেকে ডাকা মাত্র ১২ জন ছাড়া কেউ সেখানে ছিলেন
না ৷ সেদিন আমাদের ৭০ জন লোক শহীদ হন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও তার সাথিগণ বদর দিবসে


كُفَيْتُمُوهُمْ، فَمَا مَلَكَ عُمَرُ نَفْسَهُ أَنْ قَالَ: كَذَبْتَ وَاللَّهِ يَا عَدُوَّ اللَّهِ، إِنَّ الَّذِينَ عَدَدْتَ لَأَحْيَاءٌ كُلُّهُمْ، وَقَدْ بَقِيَ لَكَ مَا يَسُوءُكَ. فَقَالَ: يَوْمٌ بِيَوْمِ بَدْرٍ، وَالْحَرْبُ سِجَالٌ، إِنَّكُمْ سَتَجِدُونَ فِي الْقَوْمِ مُثْلَةً لَمْ آمُرْ بِهَا وَلَمْ تَسُؤْنِي. ثُمَّ أَخَذَ يَرْتَجِزُ اعْلُ هُبَلُ، اعْلُ هُبَلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تُجِيبُونَهُ؟ قَالُوا: يا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ أَعْلَى وَأَجَلُّ. قَالَ: إِنَّ الْعُزَّى لَنَا، وَلَا عُزَّى لَكُمْ. قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلَا تُجِيبُونَهُ؟ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا نَقُولُ؟ قَالَ: قُولُوا: اللَّهُ مَوْلَانَا، وَلَا مَوْلَى لَكُمْ. وَرَوَاهُ الْبُخَارِيُّ مِنْ حَدِيثِ زُهَيْرٍ، وَهُوَ ابْنُ مُعَاوِيَةَ مُخْتَصَرًا، وَقَدْ تَقَدَّمَ رِوَايَتُهُ لَهُ مُطَوَّلَةً مِنْ طَرِيقِ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، أَخْبَرَنَا ثَابِتٌ، وَعَلِيُّ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ «أَنَّ الْمُشْرِكِينَ لَمَّا رَهِقُوا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي سَبْعَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ وَرَجُلَيْنِ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَ: مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَهُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ فَقَاتَلَ حَتَّى قُتِلَ، فَلَمَّا رَهِقُوهُ أَيْضًا قَالَ: مَنْ يَرُدُّهُمْ عَنَّا وَهُوَ رَفِيقِي فِي الْجَنَّةِ؟ حَتَّى قُتِلَ السَّبْعَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ