আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

استعداد الفريقين للغزوة

পৃষ্ঠা - ৩৪৮৭

ইমাম আহমদ বলেন : ইয়াযীদ ইবন হারুন সাফওয়ান (বা) সুত্রে বার্ণিত ৷ তিনি
বলেন, হুনায়নের যুদ্ধে বাসৃলুল্লাহ্ (সা) উমাইয়াব নিকট কতকণ্ডলো বর্য ধার চেয়েছিলেন ৷
উমাইয়া জিজ্ঞেস করেছিল, হে মুহাম্মাদ ! এগুলো কি আপনি কেড়ে নেবেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন : না, ধার হিসেবে (নব এবং কাজ শেষে ফেরত দেব ৷ রাবী সাফওয়ান বলেন, যুদ্ধে কিছু
বর্ম থােয়৷ যায় ৷ তাই ফেরত দেওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ্ (সা) থােয়া যাওয়া বর্মগুলাের ক্ষতিপুরণ
পেশ করেন ৷ তখন উমাইয়া বলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ আজ আমি ইসলামের প্রতি অনুপ্রাণিত
(সুতরাং ক্ষতি পুরণ লাগবে না) ৷ আবুদাউদ ও নাসাঈ — ইয়াযীদ ইবন হারুন সুত্রে অনুরুপ বর্ণনা

রেছেন ৷ তবে ইমাম নাসাঈ ইসরাঈল সুত্রে সাফওয়ান ইবন উমইিয়ার পুত্র আবদুর

রহমান থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফওয়ানের নিকট থেকে বর্য-ধার নিয়েছিলেন ৷
বাকী ঘটনা উপরের অনুরুপ ৷ এ ছাড়া ইমাম নাসাঈ হুশায়য় হাজ্বজাজ আতা সুত্রে বর্ণনা
করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফওয়ানের নিকট থেকে অনেকগুলো বর্ম ও অশ্ব ধার নিয়েছিলেন ৷
এর পরের কথা উপরের অনুরুপ ৷

ইমাম আবুদাউদ বলেন : আমার কাছে বর্ণনা করেছেন আবু বকর ইবন অড়াবুশায়বা
আবদুল্লাহ ইবন সাফওয়ানের পরিবারের লোকদের থেকে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফওয়ানকে ডেকে
জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কি অস্ত্র-শস্ত্র আছে ৷ সাফওয়ান বললাে : ধার স্বরুপ নিবেন, না
জোর করে ? রাসৃলুল্লাহ্ (সা) বললেন : না, ধার স্বরুপ ৷ এরপর সাফওয়ান রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে
ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে বর্ম ধার স্বরুপ প্রদান করেন ৷ এগুলো নিয়ে তিনি হুনায়নের যুদ্ধে
ব্যবহার করেন ৷ যুদ্ধে যুশরিক বাহিনী পরাজিত হলে সাফওয়ানের বর্মগুলো একত্রিত করা হয় ৷
তখন দেখা গোল কয়েকটি হারিয়ে গিয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফওয়ানকে বললেন : তোমার
দেওয়া বর্য থেকে কয়েকটি বর্ম হারিয়ে গিয়েছে — এগুলোর ক্ষতিপুরণ দিব কি ? সাফওয়ান
বললাে ;; ইয়া বাসুলাল্লাহ্ ৷ সে দিন আমার হৃদয়ের যে অবস্থা ছিল ৷ আজ আর সে অবস্থা নেই ৷
এ বর্ণনাটিও মুরসাল ৷

ইবন ইসহাক বলেন ; এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) অভিযানে বেরিয়ে পড়লেন ৷ তার সাথে ছিলেন
মক্কা বিজয়ের উদ্দেশ্যে আগত দশ হাজার সাহাবী এবং মক্কা থেকে নতুন যোগদানকারী দুই
হাজারসহ মোট বার হাজার সৈন্য ৷

আমি বলি, উরওয়া, যুহরী ও মুসা ইবন উকবার মতে হাওয়াযিন অভিযানে সর্বমোট সৈন্য

হ্খ্যা ছিল চৌদ্দ হাজার ৷ তাদের মতে মদীনা থেকে মক্কা অভিযানে এসেছিলেন বার হাজার ৷

আর এদের সাথে যোগ দেন মক্কার দৃ’ হাজার নও মুসলিম ৷ ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্
(সা) হাওয়াযিনের উদ্দেশ্যে মক্কা থেকে বের হন শাওয়াল মাসের পাচ তারিখে ৷ মক্কা দেখাশুনার
দায়িত্ব দেওয়া হয় আত্তাব ইবন উসায়দ ইবন আবুল ঈস ইবন উমাইয়া ইবন আবদে শামস
উমাবীর উপর ৷ তখন তার বয়স ছিল বিশ বছরের কাছাকাছি ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হাওয়াষিন
গোত্রের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন ৷

আব্বাস ইবন মিরদাস সুলামী এ সম্পর্কে তীর কাসীদায় বলেন :



فَلَمَّا نَزَلَ قَالَ بِأَيِّ وَادٍ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: بِأَوْطَاسٍ. قَالَ نِعْمَ مَجَالُ الْخَيْلِ، لَا حَزْنٌ ضَرِسٌ، وَلَا سَهْلٌ دَهِسٌ، مَا لِي أَسْمَعُ رُغَاءَ الْبَعِيرِ، وَنُهَاقَ الْحَمِيِرِ، وَبُكَاءَ الصَّغِيرِ، وَيُعَارَ الشَّاءِ؟! قَالُوا: سَاقَ مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ مَعَ النَّاسِ أَمْوَالَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ. قَالَ: أَيْنَ مَالِكٌ؟ قَالُوا: هَذَا مَالِكٌ. وَدُعِيَ لَهُ. قَالَ: يَا مَالِكُ إِنَّكَ قَدْ أَصْبَحْتَ رَئِيسَ قَوْمِكَ، وَإِنَّ هَذَا يَوْمٌ كَائِنٌ لَهُ مَا بَعْدَهُ مِنَ الْأَيَّامِ، مَا لِي أَسْمَعُ رُغَاءَ الْبَعِيرِ، وَنُهَاقَ الْحَمِيِرِ، وَبُكَاءَ الصَّغِيرِ، وَيُعَارَ الشَّاءِ؟ قَالَ: سُقْتُ مَعَ النَّاسِ أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ. قَالَ: وَلِمَ؟ قَالَ: أَرَدْتُ أَنْ أَجْعَلَ خَلْفَ كُلِّ رَجُلٍ أَهْلَهُ وَمَالَهُ لِيُقَاتِلَ عَنْهُمْ. قَالَ: فَأَنْقَضَ بِهِ. ثُمَّ قَالَ: رَاعِي ضَأْنٍ وَاللَّهِ، هَلْ يَرُدُّ الْمُنْهَزِمَ شَيْءٌ؟ إِنَّهَا إِنْ كَانَتْ لَكَ لَمْ يَنْفَعْكَ إِلَّا رَجُلٌ بِسَيْفِهِ وَرُمْحِهِ، وَإِنْ كَانَتْ عَلَيْكَ فُضِحْتَ فِي أَهْلِكَ وَمَالِكَ. ثُمَّ قَالَ: مَا فَعَلَتْ كَعْبٌ وَكِلَابٌ؟ قَالَ: لَمْ يَشْهَدْهَا مِنْهُمْ أَحَدٌ. قَالَ: غَابَ الْحَدُّ وَالْجِدُّ، لَوْ كَانَ يَوْمَ عَلَاءٍ وَرِفْعَةٍ لَمْ تَغِبْ عَنْهُ كَعْبٌ وَكِلَابٌ، وَلَوَدِدْتُ أَنَّكُمْ فَعَلْتُمْ مَا فَعَلَتْ كَعْبٌ وَكِلَابٌ، فَمَنْ شَهِدَهَا مِنْكُمْ؟ قَالُوا: عَمْرُو بْنُ عَامِرٍ وَعَوْفُ بْنُ عَامِرٍ. قَالَ: ذَانِكَ الْجَذَعَانِ مِنْ عَامِرٍ لَا يَنْفَعَانِ وَلَا يَضُرَّانِ. ثُمَّ قَالَ: يَا مَالِكُ