আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة هوازن يوم حنين

استعداد الفريقين للغزوة

পৃষ্ঠা - ৩৪৮৬

ইবন ইসহাক বলেন ;; উমাইয়া ইবন আবদুল্লাহ ইবন আমর ইবন উছমান আমার নিকট বর্ণনা
করেছেন যে, মালিক ইবন আওফ কয়েকজন গুপ্তচর প্রেরণ করে ৷ তারা বিপর্যস্ত অবস্থায় তার
কাছে প্রত্যাবর্তন করে ৷ সে বললো, তোমাদের সর্বনড়াশ হোক ! তোমাদের এ দৃর্দশা কেন ?
জবাবে তারা বললাে , আমরা বিচিত্র রং এর ঘোড়ার উপর কিছু সংখ্যক শুভ্র লোক দেখতে পাই ৷
আল্লাহর কসম ৷ তারপরে আমাদের যে অবস্থায় দেখতে পাচ্ছেন তা ঠেকাবার সাধ্য আমাদের ছিল
না ৷ আল্লাহর কসম ! এ বিস্ময়কর ঘটনা তাকে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা থেকে ফিরিয়ে
রাখতে পারলো না ৷

ইবন ইসহাক বলেন : নবী কবীম (সা) হাওয়াযীনদের এ যুদ্ধ উন্মাদনার কথা শুনতে পেয়ে
আবদুল্লাহ ইবন আবু হাদরাদ আসলামীকে প্রেরণ করেন এবং শত্রুদের মধ্যে ঢুকে অবস্থান করে
তাদের গোপন সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসতে নির্দেশ দেন ৷ ইবন আবু হাদরাদ চলে গেলেন ৷
তিনি তাদের মধ্যে ঢুকে পড়লেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধ প্রস্তুতি সম্পর্কে
তালরুপে অবগত হলেন ৷ তিনি মালিক ইবন আওফ ও বনু হাওয়ৰুগ্রিইানের সমস্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে
তথ্য সংগ্রহ করেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট ফিরে এসে তাকে যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে
অবহিত করেন ৷

রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন হাওয়াযিন গোত্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন, তখন
তাকে জানান হয় যে, সাফওয়ড়ান ইবন উমাইয়ার কাছে তার নিজস্ব অনেক ধর্ম ও অস্ত্র আছে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফওয়ানকে ডেকে পাঠালেন ৷ যে তখনও মুশরিক ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
বললেন : হে আবু উমাইয়া ! তোমার অস্ত্রগুলো আমাদেরকে ধার দাও ! আমরা তা দিয়ে আগামী
কাল আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়বাে ৷ সাফওয়ান বললো , হে মুহাম্মাদ ৷ আপনি কি তা
জােরপুর্বক নেবেন ? তিনি বললেন ও না, বরং ধার হিসেবে নিতে চাই এবং তোমাকে ফেরত
দেওয়ার শর্তে ৷ সাফওয়ান বললো, তাহলে আপত্তি নেই ৷ সুতরাং সে একশ’ রর্ম এবং সে
অনুপাতে অস্ত্রশস্ত্র দিল ৷ লোকজন বলে, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সাফওয়ানের কাছে সৈন্যদের জন্যে
প্রয়োজনীয় পরিমাণ অস্ত্র চেয়েছিলেন, আর সে তাই দিয়েছিল ৷ ইবন ইসহাক সনদবিহীনভাবে এ
ঘটনা এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷

ইউনুস ইবন বৃকায়র ইবন ইসহাক জাবির থেকে ; এবং আমর ইবন শুআয়ব, যুহরী,
আবদুল্লাহ ইবন আবু বকর ইবন আমর ইবন হড়াযম প্রমুখ, হুনড়ায়নের ঘটনা পুর্বোল্লিখিত ঘটনার
অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে উক্ত বর্ণনায় শত্রু হাওয়াযিনদের মধ্যে প্রবেশ করা ও সংবাদ
সংগ্রহের ব্যাপারে এ কথা অতিরিক্ত বলা হয়েছে যে, আবু হাদরাদ সেখান থেকে ফিরে এসে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট হড়াওয়াযিনদের সংবাদ বলেন ৷ তখন উমর ইবন খাত্তাব তাকে মিথ্যা
বলে উড়িয়ে দেন ৷ ইবন আবুহড়াদরাদ তখন তাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন , ওহে উমর ! আজ
যদি তুমি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করো তবে তাতে আর আশ্চর্যের কি ! ইতিপুর্বে তুমি তো
দীনে হক্কেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছিলে ৷ তখন উমর (রা) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ যে কী
বলছে তা কি আপনি শুনছেন না ? জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : “তুমি বিভ্রান্ত বিপথগড়ামী
ছিলে , তারপরে আল্পাহ্ তোমাকে সঠিক সত্য পথের সন্ধান দিয়েছেন ৷ ” (এ তো সত্য কথাই ৷)


فِي " تَارِيخِهِ ". وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى هَوَازِنَ لِسِتٍّ خَلَوْنَ مِنْ شَوَّالٍ، فَانْتَهَى إِلَى حُنَيْنٍ فِي عَاشِرِهِ. وَقَالَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ لَنْ نُغْلَبَ الْيَوْمَ مِنْ قِلَّةٍ. فَانْهَزَمُوا، فَكَانَ أَوَّلَ مَنِ انْهَزَمَ بَنُو سُلَيْمٍ، ثُمَّ أَهْلُ مَكَّةَ ثُمَّ بَقِيَّةُ النَّاسِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ وَلَمَّا سَمِعَتْ هَوَازِنُ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ مِنْ مَكَّةَ جَمَعَهَا مَلِكُهَا مَالِكُ بْنُ عَوْفٍ النَّصْرِيُّ فَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ مَعَ هَوَازِنَ ثَقِيفٌ كُلُّهَا، وَاجْتَمَعَتْ نَصْرُ، وَجُشَمُ كُلُّهَا وَسَعْدُ بْنُ بَكْرٍ وَنَاسٌ مِنْ بَنِي هِلَالٍ وَهُمْ قَلِيلٌ، وَلَمْ يَشْهَدْهَا مِنْ قَيْسِ عَيْلَانَ إِلَّا هَؤُلَاءِ، وَغَابَ عَنْهَا وَلَمْ يَحْضُرْهَا مِنْ هَوَازِنَ كَعْبٌ وَكِلَابٌ، وَلَمْ يَشْهَدْهَا مِنْهُمْ أَحَدٌ لَهُ اسْمٌ، وَفِي بَنِي جُشَمَ دُرَيْدُ بْنُ الصِّمَّةِ شَيْخٌ كَبِيرٌ، لَيْسَ فِيهِ شَيْءٌ إِلَّا التَّيَمُّنَ بِرَأْيِهِ وَمَعْرِفَتَهُ بِالْحَرْبِ، وَكَانَ شَيْخًا مُجَرَّبًا، وَفِي ثَقِيفٍ سَيِّدَانِ لَهُمْ، وَفِي الْأَحْلَافِ قَارِبُ بْنُ الْأَسْوَدِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ مُعَتِّبٍ وَفِي بَنِي مَالِكٍ ذُو الْخِمَارِ سُبَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ وَأَخُوهُ أَحْمَرُ بْنُ الْحَارِثِ وَجِمَاعُ أَمْرِ النَّاسِ إِلَى مَالِكِ بْنِ عَوْفٍ النَّصْرِيِّ فَلَمَّا أَجْمَعَ السَّيْرَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَطَّ مَعَ النَّاسِ أَمْوَالَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَبْنَاءَهُمْ، فَلَمَّا نَزَلَ بِأَوْطَاسٍ اجْتَمَعَ إِلَيْهِ النَّاسُ وَفِيهِمْ دُرَيْدُ بْنُ الصِّمَّةِ فِي شِجَارٍ لَهُ يُقَادُ بِهِ،