আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

مبايعة النبي الناس يوم الفتح

পৃষ্ঠা - ৩৪৭৯

করে তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না কেন ? আবু কিলাবা বলেন, এরপর আমি আমর ইবন
সালামার সাথে সাক্ষাৎ করে তার ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, উত্তরে আমর বললেন, আমরা
মানুষের যাতায়াতের পথে এক ঝর্ণার নিকট বসবাস করতাম ৷ আমাদের পাশ দিয়ে আরেড়াহীরা
অতিক্রম কররুতা ৷ আমরা তাদেরকে জিজ্ঞেস করতাম, লোকজাহ্রনর কী হয়েছে ? ঐ সব
লোকদের কী অবস্থা ? আর ঐ লোকটিরই বা অবস্থা কী ? তারা বলভাে, সে দাবী করছে যে,
তাকে নাকি আল্লাহর রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন এবং এ জাতীয় ওহী প্রেরণ করেছেন ৷ আমি
তাদের মুখ থেকে শুনে ওহীব সে সব বাণী মুখস্ত করে ফেলতাম ৷ সেগুলো আমার দিলে যেন
পেথে থাকতো ৷ আরবরা তাদের ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারটি বিজয়ের উপর ছেড়ে দিয়েছিল ৷ তারা
বলতো, তাকে তার গোত্রের লোকদের সাথে বৃঝাপড়া করার জন্যে ছেড়ে দাও ৷ তিনি যদি তাদের
উপর জয়ী হন তবে প্রমাণিত হবে যে তিনি সত্য নবী ৷ এরপর যখন মক্কা বিজয়ের ঘটনা
ঘটলাে, তখন প্রতিটি ণ্;গাত্র ইসলাম গ্রহণের জন্যে এগিয়ে অন্দে:লা ৷ আমার গোত্রের লোকজন
ইসলাম গ্রহণ করার পুর্বেই আমার পিতা অগ্রগামী হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেন ৷ ইসলাম গ্রহণ
করে বাড়ী ফিরে এসে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম আমি একজন সত্য নবীর কাছ থেকে
তোমাদের নিকট এসেছি ৷ তিনি বলে দিয়েছেন যে, অমুক সময়ে অমুক নামায এবং অমুক
সময়ে অমুক নামায আদায় করবে ৷ যখন নামাষের সময় হবে তখন তোমাদের একজন আযান
দেবে এবং যার অধিক পরিমাণ কুরআন মুখন্থ আছে সে ইমামতি করবে ৷ তারা উপযুক্ত ইমাম
খুজতে লাগলো ৷ কিন্তু দেখা গেলো, আমার চেয়ে অধিক কুরআন মুখস্তকারী আর কেউ নেই ৷
কারণ, আমি পুর্বেই বিভিন্ন কাফেলার থেকে কুরআন মুখস্ত করেছিলাম ৷ সুতরাং তারা আমাবেইি
ইমামতির জন্যে আগে বাড়িয়ে দিল ৷ অথচ আমি তখন মাত্র ছয় কি সাত বছরের বালক ৷ আমার
পরিধানে ছিল একটি চাদর মাত্র ৷ যখন সিজদায় যেতাম তখন চাদরটি উপরে উঠে যেত ৷ এ
দেশে গোত্রের এক মহিলা বললো, তোমরা তোমাদের ইমামের পশ্চাৎতাগ আমাদের দৃষ্টি থেকে
আবৃত করে রাখনা কেন ? তখন তারা কাপড় কিনে আমাকে একটি জামা তৈরি করে দিল ৷ ঐ
জামা পেয়ে আমি এতটা খুশী হলাম, যত ৷ খুশী অন্য কিছুতে হইনি ৷ এ হাদীছ শুধু বুখড়ারীতে
আছে, মুসলিমে নেই ৷


الْهِجْرَةِ بِمَا فِيهَا " فَقُلْتُ: عَلَى أَيِّ شَيْءٍ تُبَايِعُهُ؟ قَالَ: " أُبَايِعُهُ عَلَى الْإِسْلَامِ وَالْإِيمَانِ وَالْجِهَادِ فَلَقِيتُ أَبَا مَعْبَدٍ بَعْدُ، وَكَانَ أَكْبَرَهُمَا سِنًّا، فَسَأَلْتُهُ، فَقَالَ: صَدَقَ مُجَاشِعٌ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، ثَنَا غُنْدَرٌ، ثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ: أُرِيدُ أَنْ أُهَاجِرَ إِلَى الشَّامِ. فَقَالَ: لَا هِجْرَةَ، وَلَكِنْ جِهَادٌ، انْطَلِقْ فَاعْرِضْ نَفْسَكَ، فَإِنْ وَجَدْتَ شَيْئًا وَإِلَّا رَجَعْتَ. وَقَالَ أَبُو النَّضْرِ: أَنَا شُعْبَةُ، أَنَا أَبُو بِشْرٍ، سَمِعْتُ مُجَاهِدًا قَالَ: قُلْتُ لِابْنِ عُمَرَ، فَقَالَ: لَا هِجْرَةَ الْيَوْمَ - أَوْ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -. . . مِثْلَهُ. حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو عَمْرٍو الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَبْدَةَ بْنِ أَبِي لُبَابَةَ، عَنْ مُجَاهِدِ بْنِ جَبْرٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: «لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يَزِيدَ، أَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، أَنَا الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: زُرْتُ عَائِشَةَ مَعَ عُبَيْدِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَسَأَلَهَا عَنِ الْهِجْرَةِ