আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

بعث خالد بن الوليد لهدم العزى

পৃষ্ঠা - ৩৪৬৬

মক্কায় অবস্থানকালে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
কতিপয় নির্দেশ

বুখারী বলেন, আমার নিকট আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম আইন্ণার সুত্রে নবী করীম (সা)
থেকে বর্ণনা করেন, অন্য সনদে লায়ছ — — আইশা (বা) থেকে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন :
উত্বা ইবন আবু ওয়াক্কাস তদীয় ভ্রাতা সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাসকে ওসীয়াত করে যান যে, তিনি
যেন যামআর বীদীর পুত্রটিকে নিজের আয়ত্বে নিয়ে নেন ৷ উত্বা বালছিলেন যে, ছেলেটির জন্ম
আমারই ঔরসে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিজয়কালে যখন মক্কায় আসেন, তখন শ্না’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস
এক সুযোগে যামআর র্বাদীর পুত্রটিকে নিজের আয়ত্বে এনে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত
হন ৷ তার সাথে যামআর পুত্র আবদও আসে ৷ সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস দাবী করলেন যে, এ
আমার ভাতিজা ৷ আমার ভাই ওসীয়ত করে গিয়েছেন যে, এ সম্ভানটি তারই ঔরসজাত ৷ প্ৰতি
উত্তরে আবদ ইবন যামআ বললো , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ এ আমার ভাই ৷ এ যামআর পুত্র ৷ তার
বিছানায় এর জন্ম হয়েছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন যামআর র্বাদীর পুত্রের প্ৰতি লক্ষ্য করে দেখলেন
যে, তার দৈহিক গঠন ও চেহারা উত্বা ইবন আবু ওয়াক্কাসের সাথে অধিক সাদৃশ্যপুর্ণ ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, হে আবদ ইবন যামআ ! তুমিই এর অধিকারী ৷ এ তােমারই ভাই ৷
কেননা, সে তারই বিছানায় জন্ম গ্রহণ করেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সহধ্র্মিণী সাওদা
বিনৃত যামআকে বললেন, তুমি এর থেকে পর্দা করবে ৷ কারণ, তিনি দেখেছেন যে, উত্বা ইবন
আবু ওয়াক্কাসের সাথে তার সাদৃশ্য রয়েছে ৷ ইবন শিহাব বলেন, আইশা (বা) বলেছেন যে,
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : ঐ১৷ ৷ ,ঞএে, ,র্দু ৷ ,দ্বুা৷ ;প্রুএ ৷ বিছানা যার সন্তান তার,
আর ব্যভিচারীর জন্যে পাথর ৷ অর্থাৎ প্ৰস্তরাঘাতে মৃত্যুদণ্ড ৷ ইবন শিহাব বলেন, আবু হুরায়রা এ
বাক্যটি প্রায়ই উচ্চ৪স্বরে বলতেন ৷ এ হাদীছটি মুসলিম , আবু দাউদ, তিরমিযী এবং বুখারী ও
কুতায়বার সুত্রে লায়ছ থেকে অনুরুপ বনাি করেছেন ৷ ইবন মাজ৷ ও বুখারী মালিক সুত্রে যুহরী
থেকে এ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷

এরপর ইমাম বুখারী বলেন, আমাদের নিকট মুহাম্মাদ ইবন মুকাতিল উরওয়া ইবন
যুবায়র সুত্রে বর্ণনা করেন যে, বিজয় যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপস্থিত কালে জনৈক মহিলা চুরি
করে ধরা পড়ে ৷ এতে তার গোত্রের লোকেরা ভীত হয়ে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে সুপারিশের
জন্যে উসামা ইবন যায়দের কাছে ছুটে আসে ৷ উরওয়া (রা) বলেন, উসামা যখন ঐ মহিলার
ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে আলাপ করছিল, তখন রড়াসুলুল্লাহ্ (না)-এর চেহারার রং
পরিবর্ভা হয়ে গিয়েছিল ৷ তিনি উসামাকে বলেন, তুমি কি আল্লাহর নির্ধারিত শাস্তির বিধান (হদ)
এর ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করছো ? তখন উসামা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমার


شَيْئًا. فَأَمَرَهُ بِالرُّجُوعِ، فَلَمَّا رَجَعَ خَرَجَتْ إِلَيْهِ مِنْ ذَلِكَ الْبَيْتِ امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ نَاشِرَةٌ شَعْرَهَا تُوَلْوِلُ، فَعَلَاهَا بِالسَّيْفِ وَجَعَلَ يَقُولُ: يَا عُزَّ كُفْرَانَكِ لَا سُبْحَانَكِ ... إِنِّي رَأَيْتُ اللَّهَ قَدْ أَهَانَكِ ثُمَّ خَرَّبَ ذَلِكَ الْبَيْتَ الَّذِي كَانَتْ فِيهِ، وَأَخَذَ مَا كَانَ فِيهِ مِنَ الْأَمْوَالِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَأَرْضَاهُ، ثُمَّ رَجَعَ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: تِلْكَ الْعُزَّى وَلَا تُعْبَدُ أَبَدًا.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي جَعْفَرٍ، أَنْبَأَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، عَنِ ابْنِ فُضَيْلٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ جُمَيْعٍ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ قَالَ: «لَمَّا فَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ بَعَثَ خَالِدَ بْنَ الْوَلِيدِ إِلَى نَخْلَةَ، وَكَانَتْ بِهَا الْعُزَّى، فَأَتَاهَا، وَكَانَتْ عَلَى ثَلَاثِ سَمُرَاتٍ، فَقَطَعَ السَّمُرَاتِ وَهَدَمَ الْبَيْتَ الَّذِي كَانَ عَلَيْهَا، ثُمَّ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ، فَقَالَ: ارْجِعْ فَإِنَّكَ لَمْ تَصْنَعْ شَيْئًا فَرَجَعَ خَالِدٌ، فَلَمَّا نَظَرَتْ إِلَيْهِ السَّدَنَةُ وَهُمْ حُجَّابُهَا، أَمْعَنُوا هَرَبًا فِي الْجَبَلِ وَهُمْ يَقُولُونَ: يَا عُزَّى خَبِّلِيهِ، يَا عَزَّى عَوِّرِيهِ، وَإِلَّا فَمُوتِي بِرُغْمٍ. قَالَ: فَأَتَاهَا خَالِدٌ، فَإِذَا امْرَأَةٌ عُرْيَانَةٌ نَاشِرَةٌ شَعْرَهَا، تَحْثُو التُّرَابَ عَلَى رَأْسِهَا وَوَجْهِهَا، فَعَمَّمَهَا بِالسَّيْفِ حَتَّى قَتَلَهَا، ثُمَّ رَجَعَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: تِلْكَ الْعُزَّى» .