আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

ما قيل من الشعر يوم الفتح

পৃষ্ঠা - ৩৪৪৮

ইমাম আহমদ বলেন : আমার নিকট আবদুর রাঘৃযাক আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা)
সুত্রে বর্ণনা করেছেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) খালিদ ইবন ওলীদকে আমার যতদুর মনে
পড়ে জুযায়মা গোত্রে প্রেরণ করেন ৷ তিনি সে গোত্রের লে ৷কজনকে ইসলাম গ্রহণ করার আহ্বান
জানান কিন্তু তারা স্পষ্টভাবে এ কথা বলেনি যে, আমরা ইসলাম গ্রহণ করলাম’ বরং তারা এ
কথা বলে যে, আমরা ধর্মান্তরিত হলাম ৷ আমরা ধর্মান্তরিত ৩হলাম ৷ ফলে খালিদ তাদেরকে বন্দী
ও হত্যা করার জন্যে পাকড়াও করেন ৷ ইবন উমর (রা ) বলেন, খালিদ আমাদের প্রত্যেকের কাছে
একজন করে বন্দীকে তুলে দেন ৷ পরের দিন সকাল বেলা আমাদের প্ৰতেককে নিজ নিজ
বব্দীকে হত্যা করার নির্দেশ দেন ৷ জবাবে আমি বললাম, আল্লাহর কলম আমি আমার বন্দীকে
হত্যা করবো না এবং আমার য ৷রা ভক্ত আছে তা ৷রাও কেউ৩ তাদের বন্দীবে হত্যা করবে না ৷ ইবন
উমার (রা) বলেন, এরপর সকলে নবী করীম (সা) এর কাছে ৷ফরে এসে খালিদের কর্মকাণ্ড
সবিস্তারেড় তাকে জানায় ৷ তখন নবী করীম (সা) দুহাত ৩উঠিয়ে দুআ করেন, : “হে আল্লাহ্ !
খালিদ যে কাজ করেছে৩ তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ৷ এ কথা টি রাসুলুল্লাহ্ (সা) দু বার
বলেন ৷ বুখারী ও নাসাঈ আবদুর রাবযাক সুত্রে, আবদুল্লাহ ইবন উমার (বা ) থেকে এ হাদীছঢি
অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন ০; খালিদ যখন তার কর্মকাণ্ড শুরু করেন, যে দৃশ্য
দেখে জাহ্দাম বলেছিল, ওহে বনী জ্বযায়মা ! লড়াই বৃথ৷ গেল, তোমরা এখন যে অবস্থায়
পড়েছ আমি পুর্বেই সে ব্যাপারে তােমাদেরকে সতর্ক করেছিলাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন০ আমার নিকট এ স০ বাদ পৌছেছে যে, ঐ দিনের ঘটনার ব্যাপারে
খালিদ ও আবদুর রহমান ইবন আওফের মধ্যে কথা ক৷ ৷টাকাটি হয় ৷ আবদুর রহমান খালিদকে
বলেছিলেন, তুমি ইসলামের মধ্যে এসে একটা জাহিলী যুগের কাজ করলে ৷ জবাবে খালিদ
বলেন : আমি তোমার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছি ৷ আবদুর রহমান বললেন, তুমি মিথ্যা
বলছে৷ ৷ আমার পিতার হত্যাকারীকে তো আমি হত্যা করেছি ৷ তুমি বরং তোমার চাচ৷ ফাকিহ
ইবন মুগীরার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে৷ ৷ এ বিতণ্ডা শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে তিক্ততার সৃষ্টি
করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট যখন এ সংবাদ পৌছলাে তখন তিনি বললেন :

প্রু১
“ ধীরে , খালিদ ! ধীরে ৷ আমার সাহাবীদের ব্যাপারে সাবধান আল্লাহ্র কসম , যদি তোমার

কাছে উহুদ পরিমাণও স্বর্ণ থাকে, আর তা তুমি আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দাও, তা হলেও তুমি
আমার সাহাবীদের এক সকাল কিৎবা এক বিকালের পুণ্য লাভেও সমর্থ হবে না ৷ ”

তারপর ইবন ইসহাক খালিদ ও আবদুর রহমানের মধ্যকার দ্বরুন্দুর মুল ঘটনা উল্লেখ করেন ৷
তিনি বলেন ঘ্র তিন ব্যক্তি যথা : ( ১ ) খালিদ ইবন ওয়ালীদের চাচা ফাকিহ ইবন মুপীর৷ ইবন
আবদুল্লাহ ইবন উমার ইবন মাখবুম, (২) আওফ ইবন আবদ আওফ ইবন আবদুল হারিছ ইবন
যুহ্রা ৷ আওফের সাথে তার পুত্র আবদুর রহমানও ছিল (৩) আফ্ফান ইবন আবুল আস ইবন
উমাইয়৷ ইবন আবদে শাম্স ৷ আফফানের সাথে তার পুত্র উছমানও ছিল ৷ উক্ত তিন ব্যক্তি


[مَا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ يَوْمَ الْفَتْحِ] فَصْلٌ مَا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ يَوْمَ الْفَتْحِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ جَمِيعُ مَنْ شَهِدَ فَتْحَ مَكَّةَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَشْرَةَ آلَافٍ، مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ سَبْعُمِائَةٍ، وَيَقُولُ بَعْضُهُمْ: أَلْفٌ. وَمِنْ بَنِي غِفَارٍ أَرْبَعُمِائَةٍ، وَمِنْ أَسْلَمَ أَرْبَعُمِائَةٍ، وَمِنْ مُزَيْنَةَ أَلْفٌ وَثَلَاثَةُ نَفَرٍ، وَسَائِرُهُمْ مِنْ قُرَيْشٍ وَالْأَنْصَارِ وَحُلَفَائِهِمْ وَطَوَائِفِ الْعَرَبِ مِنْ تَمِيمٍ وَقَيْسٍ وَأَسَدٍ. وَقَالَ عُرْوَةُ وَالزُّهْرِيُّ وَمُوسَى بْنُ عُقْبَةَ: كَانَ الْمُسْلِمُونَ يَوْمَ الْفَتْحِ الَّذِينَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اثْنَيْ عَشَرَ أَلْفًا. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَكَانَ مِمَّا قِيلَ مِنَ الشِّعْرِ فِي يَوْمِ الْفَتْحِ قَوْلُ حَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ عَفَتْ ذَاتُ الْأَصَابِعِ فَالْجِوَاءُ ... إِلَى عَذْرَاءَ مَنْزِلُهَا خَلَاءُ