আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

صفة دخوله صلى الله عليه وسلم مكة

পৃষ্ঠা - ৩৪১০

মুহাজিরদের সংকেত :
খাযরাজীদের সংকেত :

আওস গোত্রীয়দের সংকেত : (fl ৷া; ;ৰু ৷প্রু হে উবায়দুল্লাহর গোত্র !

তাবারাপী আলী ইবন সাঈদ রাযী — — — ইবন আব্বাস সুত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেছেন : আল্লাহ যে দিন আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন যে দিন থেকে এ শহরকে হড়ারম’
করেছেন ৷ এবং যে দিন তিনি সুর্য ও চন্দ্র স্থাপন করেন যে দিনই এ শহর স্থাপন করেন ৷ এ
শহরের সমান্তরালে অবস্থিত আকাশকেও তিনি হড়ারম করেছেন ; আমার পুর্বে কখনও এ শহর
কারও জন্যে হলােল করা হয়নি ৷ কেবল আমার ক্ষেত্রে দিবসের স্বল্পক্ষণের জন্যে হালাল করা
হয়েছে ৷ এবং স্বল্পক্ষণ পরেই পুর্বের ন্যায় আবার এর হুরমত বহাল করা হয়েছে ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা)-কে জানান হল যে, এই তো খালিদ ইবন ওয়ালীদ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তখন একজনকে ডেকে বললেন : তুমি যাও খালিদকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বল ৷ ল্যেকটি এসে
খালিদকে বললো : নবী করীম (সা) বলেছেন, যাকেই নাগালের মধ্যে পাও তড়াকেই হত্যা করতে
থাক ৷ খালিদ সেদিন সত্তর জন ব্যক্তিকে হত্যা করেন ৷ লোকটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নিকট এসে
এ সংবাদ তাকে জানায় ৷ তখন তিনি খালিদকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করেন, আমি কি তোমাকে
নর হত্যা করতে নিষেধ করিনি : খালিদ জবাব দিলেন, অমুক ব্যক্তি আমাকে গিয়ে বলেছে-
যাকেই আমি নাপালে পাই তাবেইি যেন হত্যা করি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সে ল্যেকটিকে ডেকে এনে
বললেন : আমি কি তোমাকে যুদ্ধ বন্ধ করার হুকুম দিইনি ? লোকটি বললো : আপনি এক প্রকার
চেয়েছেন, আর আল্লাহ্ চেয়েছেন অন্য প্রকার ৷ আপনার ইচ্ছার উপর আল্লাহর ইচ্ছাই বলবত
হয়েছে ৷ তাই না হওয়ার ছিল তার অন্যথা আমি করতে পারিনি ৷ তার জবাব শুনে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
নীরব থাকলেন এবং তাকে কিইে বললেন না ৷

ইবন ইসহাক বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার সেনাধ্যক্ষদের নিকট থেকে এই মর্মে অংপীকার
নিয়েছিলেন যে, তারা তাদের ধিরষ্দ্ধে যুদ্ধ করতে আসা লোকদের ব্যতীত অন্য কারও সংগে
যুদ্ধে লিপ্ত হবেন না ৷ তবে তিনি নাম উল্লেখ করে বিশেষ কিছু লোককে হত্যার আদেশ
দিয়েছিলেন ৷ এমনকি যদি তাদেরকে কা’বার গিলাফের নীচেও পাওয়া যায় তবু ৷ তাদের মধ্যে
আবদুল্লাহ ইবন সাদ ইবন আবু সারাহ্ ছিল অন্যতম ৷ সে বাহ্যত : ইসলাম গ্রহণ করে ও ওহী
লিপিবদ্ধ করার দায়িতু পালন করে ৷ জ্যি পরে সে ঘুরতাদ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায়
প্রবেশ করে তাকে হত্যার ঘোষণা দিলে সে পালিয়ে উছমান (বা) এর কাছে আশ্রয় নেয় ৷ সে ছিল
উছমানেব দুধভাই ৷ উছমান তাকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে নিয়ে
আসেন ৷ তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকার পর বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে ৷ ’ উছমানের সাথে তার
ফিরে যাওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) উপস্থিত সাহাবীদেরকে লক্ষ্য করে বললেন : তোমাদের মধ্যে
এমন একজন সুবুদ্ধিসম্পন্ন ল্যেকও কি ছিল না, যে আমার নীরব থাকা অবস্থায় তাকে হত্যা করে
দিত ৷ সাহাবীগণ বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনি আমাদেরকে একটু ইংগিত দিলেন না কেন :
তিনি বললেন, ইংগিত দিয়ে কাউকে হত্যা করান নবীর জন্যে শোভনীয় নয় ৷ অন্য একটি বর্ণনায়
আছে তিনি তখন বলেছিলেন : কোন নবী চোখের খিয়ানত করতে পারেন না ৷




فَقَالَ قَدْ وَاللَّهِ إِذَنْ دَفَعَتِ الْخَيْلُ، فَأَسْرِعِي بِي إِلَى بَيْتِي. فَانْحَطَّتْ بِهِ، وَتَلَقَّاهُ الْخَيْلُ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ بَيْتَهُ. قَالَتْ: وَفِي عُنُقِ الْجَارِيَةِ طَوْقٌ مِنْ وَرَقٍ، فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَيَقْتَطِعُهُ مِنْ عُنُقِهَا. قَالَتْ: فَلَمَّا دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ وَدَخَلَ الْمَسْجِدَ، أَتَى أَبُو بَكْرٍ بِأَبِيهِ يَقُودُهُ، فَلَمَّا رَآهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " هَلَّا تَرَكْتَ الشَّيْخَ فِي بَيْتِهِ حَتَّى أَكُونَ أَنَا آتِيهِ فِيهِ؟ " قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هُوَ أَحَقُّ أَنْ يَمْشِي إِلَيْكَ مِنْ أَنْ تَمْشِيَ أَنْتَ إِلَيْهِ. قَالَ: فَقَالَتْ: فَأَجْلَسَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، ثُمَّ مَسَحَ صَدْرَهُ، ثُمَّ قَالَ: " أَسْلِمْ ". فَأَسْلَمَ. قَالَتْ: وَدَخَلَ بِهِ أَبُو بَكْرٍ، وَكَانَ رَأْسُهُ كَالثَّغَامَةِ بَيَاضًا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " غَيِّرُوا هَذَا مِنْ شَعْرِهِ ". ثُمَّ قَامَ أَبُو بَكْرٍ، فَأَخَذَ بِيَدِ أُخْتِهِ، وَقَالَ: أَنْشُدُ اللَّهَ وَالْإِسْلَامَ طَوْقَ أُخْتِي. فَلَمْ يُجِبْهُ أَحَدٌ، قَالَتْ فَقَالَ: أَيْ أُخَيَّةُ، احْتَسِبِي طَوْقَكِ، فَوَاللَّهِ إِنَّ الْأَمَانَةَ فِي النَّاسِ الْيَوْمَ لَقَلِيلٌ» . يَعْنِي الصِّدِّيقُ ذَلِكَ الْيَوْمَ عَلَى التَّعْيِينِ، لِأَنَّ الْجَيْشَ فِيهِ كَثْرَةٌ، وَلَا يَكَادُ أَحَدٌ يَلْوِي عَلَى أَحَدٍ مَعَ انْتِشَارِ النَّاسِ، وَلَعَلَّ الَّذِي أَخَذَهُ تَأَوَّلَ أَنَّهُ مِنْ حَرْبِيٍّ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَقَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: ثَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، ثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْأَصَمُّ، ثَنَا بَحْرُ بْنُ نَصْرٍ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَخَذَ بِيَدِ أَبِي قُحَافَةَ، فَأَتَى بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا وَقَفَ بِهِ عَلَى