আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

مقتل حمزة رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ২৬৫৫

মুকা ৷বিলায় এগিয়ে গেলেন ৷ তিনি তার উপর বাপিয়ে পড়লেন ৷ এক সময়৩ তিনি তার উটের উপর
চড়ে বসেন ৷ তিনি তাকে ধরাশায়ী করে ফেলেন এবং নিজ তরবারি দিয়ে তাকে জব ই করে
ফেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) হযরত যুবায়র (রা)-এর এ বীরত্বের প্রশংসা করে বললেন, প্রতোক
নবীর হাওয়ারী ও সাহায্যকারী থাকে, আমার হাওয়ারী হল যুরায়র ( বা ) ৷ তিনি আরো বললেন,
আমি যখন দেখলাম মসলিম সৈন্যগণ৩ তালহ৷ থেকে সরে থাকছে তখন যুবায়র যদি বেরিয়ে না
আসত তবে আমি নিজেই ৩ ৷র বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হতাম ৷

ইবন ইসহাক বলেন, সাদ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রা) সেদিন আবু সা দ ইবন আবু তালহাকে
হত্যা করেছিলেন ৷ দ্বন্দু যুদ্ধে নেমেছিলেন আসিম ইবন ছাবিত ইবন আবু আফলাহ, ৷ তিনি নাফি
ইবন আবুতালহা ও তার ভাই জিলাসকে হত্যা করেন৷ তাদের উভয়েই তার প্ৰতি তীর নিক্ষেপ
করছিল ৷ সে৩ তার মায়ের নিকট আসত এবং তার কোলে মাথা রাখত ৷ তার মা বলত বৎসা
তোমাকে কে আঘাত করলো ? সে বলত মা , আমার প্রতি ৩ ৷র নিক্ষেপ করার সময় আমি এক
ব্যক্তিকে বলতে শুনেছি, সে বলছিল , এটি গ্রহণ কর, আমি আবুআফলাহ্ এর পুত্র ৷ তখন তার মা
মানত করেছিল যে, যদি কোনদিন সে আসিম ( রা)-এর মাথা হাতে তে পারে তবে ওই মাথার
থুলিতে শরাব পান করবে ৷ হযরত আসিম (রা ) ও আল্লাহ্র সাথে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছিলেন যেন
তিনি কোনদিন কোন মুশরিককে স্পর্শ না করেন এবং কোন মুশরিক ও তাকে স্পর্শ করতে না
পারে ৷ এজন্যে “রাজী দিবসের ঘটনায় কোন মুশরিকের স্পর্শ থেকে আল্লাহ্ তাআল৷ তার
লাশকে রক্ষা করেছিলেন ৷ রাজী দিবসের ঘটনা অবিলম্বে বর্ণনা করা হবে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, হানযাল৷ ইবন আবু আমির মুখোমুখি হলেন আবু সুফিয়ানেয় ৷
হানযালার পিতা আবু আমিরের নাম ছিল আমর ৷ তাকে আবদ আমর ইবন সায়ফীও বলা হত ৷
জাহেলী যুগে সে রাহিব অর্থাৎ ধর্ম যাজক উপাধি পেরু২ ছিল ৷ এটি হয়েছিল তার প্রচুর ইবাদত
বন্দেগীর প্রেক্ষিতে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে ফাসিক তথা পাপাচারী নামে আখ্যায়িত করেছিলেন ৷
কারণ ইসলামী যুগে সে সত্য ও মত ৷পন্থীদের অর্থাৎ ইসলাম ও মুসলমানদের বিরোধিতা
করেছিল ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে এবং ইসলাম গ্রহণ থেকে দুরে
থাকার উদ্দেশ্যে মদীনা ছেড়ে মক্কায় পালিয়ে গিয়েছিল ৷ আলোচ্য হানযাল৷ হলেন ফেরেশতাদের
গোসল প্রাপ্ত হানযাল৷ ৷ ফেরেশতাপণ তাকে গোসল দিয়েছিলেন ৷ ওই ঘটনা পরে উল্লেখ করা
হবে ৷ বস্তুতঃ হানযাল৷ এবং আবু সুফিয়ান সাখর ইবন ;হ্ারব পরস্পর মুখোমুখি হলেন ৷ হানযালা
যখন আবু সুফিয়ানকে পরাস্ত করছিলেন এবং তার ববুকের উপর উঠে বসেন তখন শাদ্দাদ ইবন
আওস ওরফে ইবন শাউব তাকে দেখে ফেলে এবং তার উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে ৷
তার সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন “তোমাদের স৷ ৷থী হানযালাকে এখন ফেরেশতাগণ
গোসল দিচ্ছে, তার পরিবারকে জিজ্ঞেস করে দেখ তো ব্যাপার কী ৷৩ তার ত্রীকে এ বিষয়ে
জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ৷ ওয়াকিদী বলেন, তার শ্রী হলেন জামীলা বিনত উবাই ইবন সালুল ৷ মাত্র
ওই রাতেই তিনি নববধুরুপে হানযালার গৃহে আগমন করেছিলেন ৷ তিনি জানালেন, হানযালার
গোসল ফরয হয়েছিল ৷ যুদ্ধের অহ্বান শুনে গোসলন্ না করেই তিনি জিহাদে বেরিয়ে পড়েন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, এজন্যেই ফেরেশতাগণ তাকে গোসল দিয়েছেন ৷



لَأَحْمِيَنَّ صَاحِبِي وَنَفْسِي ... بِطَعْنَةٍ مِثْلِ شُعَاعِ الشَّمْسِ وَقَالَ ابْنُ شَعُوبٍ: وَلَوْلَا دِفَاعِي يَا بْنَ حَرْبٍ وَمَشْهَدِي ... لَأُلْفِيتَ يَوْمَ النَّعْفِ غَيْرَ مُجِيبِ وَلَوْلَا مَكَرِّي الْمُهْرَ بِالنَّعْفِ قَرْقَرَتْ ... عَلَيْهِ ضِبَاعٌ أَوْ ضِرَاءُ كَلِيبِ وَقَالَ أَبُو سُفْيَانَ: وَلَوْ شِئْتُ نَجَّتْنِي كُمَيْتٌ طِمِرَّةٌ ... وَلَمْ أَحْمِلِ النَّعْمَاءَ لِابْنِ شَعُوبِ وَمَا زَالَ مُهْرِي مَزْجَرَ الْكَلْبِ مِنْهُمُ ... لَدُنْ غُدْوَةٍ حَتَّى دَنَتْ لِغُرُوبِ أُقَاتِلُهُمْ وَأَدَّعِي يَا لِغَالِبٍ ... وَأَدْفَعُهُمْ عَنِّي بِرُكْنِ صَلِيبِ فَبَكِّي وَلَا تَرْعَيْ مَقَالَةَ عَاذِلٍ ... وَلَا تَسْأَمِي مِنْ عَبْرَةٍ وَنَحِيبِ أَبَاكِ وَإِخْوَانًا لَهُ قَدْ تَتَابَعُوا ... وَحُقَّ لَهُمْ مِنْ عَبْرَةٍ بِنَصِيبِ وَسَلِي الَّذِي قَدْ كَانَ فِي النَّفْسِ إِنَّنِي ... قَتَلْتُ مِنَ النَّجَّارِ كُلَّ نَجِيبِ