আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة الفتح الأعظم

دخول النبي مكة

পৃষ্ঠা - ৩৩৭৪

আমি জনগণকে নিরাপত্তা ৷৷প্রদ ন করেছি ৷ আল্লাহর শপথ, আমি ধারণা করিনা যে, কেউ আমার এ
নিরাপত্তা ৷র অং পীকার ভঙ্গ করবে এবং আমার নিরাপত্তাকে কেউ প্রত্যাখ্যান করবে ৷ রাসুলুল্পাহ্
(সা) বললেন, “হে আবুহানযালা ও এটা ৷ওধুতু মিই বলছ ৷” তখন আবুসুফিয়ান (বা) এ কথার
উপর বের হয়ে গেলেন ৷ ইতিহাসবিদপণ বলেন, (আল্পাহ্ অধিক পবিজ্ঞা ৩ ) যখন আবু সুফিয়ান
(বা) চলে যাচ্ছিলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেছিলেন, “হে আল্লাহ্ ! তাদের শোনার ও দেখার
শক্তি রহিত করে দিন ৷ তারা যেন আমাদেরকে আকস্মিকভাবে দেখে ও; অতর্কিতে আমাদের কথা
শোনে ৷ এদিকে আবু সুফিয়ান (বা) মক্কায় ফিরে গেলেন ৷ কুরায়শর৷ প্রশ্ন করল, খবর কী ?
মুহাম্মাদ (সা) হতে কি কোন চুক্তিনামা বা অঙ্গীকা ৷র নিয়ে আসতে পারলেন ? তিনি বললেন, না’

আল্লাহর শপথ, তিনিত মতে স্বীকৃত হননি ৷ এরপর আমি তার স হ্ার্বী ৷দের সাথে পরপর কথা
বলেছি ৷ আমি এরুপ কোন সম্প্রদায় আর দেখিনি যারা তাদের শাসনকর্তা ৷র প্ৰতি এদের চাইতে
বেশি অনুগত ৷ শুধুমাত্র আ ৷লী (রা) আমাকে বলেছেন, তৃমি তোমার লোকজ্যনর কাছে নিরাপত্তা
চাও ! তুমি৩ তো মার সম্প্রদ৷ য়কে নিরাপত্তা কেন দিতে যাবে ? তুমি কুরায়শদের সর্দার, তুমি তাদের
সকলের চাইতে প্রবীণ ৷এবং তুমি সকলের চেয়ে বেশী হকদা র যে , তােমা র নিরাপত্তা অঙ্গীকার
কেউই ভঙ্গ করবে না ৷’ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷দিলাম এবং পরে আমি
মুহাম্মাদের কাছে গেলাম ৷ আর আমিত ৷র কাছে উল্লেখ করলাম যে, আমি জনগণকে নিরাপত্তা
দান করেছি এবং এও বললাম, আমার মনে হয় না, কেউ আমার নিরাপত্তা ভঙ্গ করবে ৷ তিনি
বললেন, “হে আবু হানৃযাল৷ তুমিই শুধু এটা বলছ ৷” তারা তখন আবু সুফিয়া ৷নের প্রতিউত্তরে
বলল, ত ৷র ৷সম্মতি ছাড়ইি আপনি নিজে নিজে সম্মত হয়ে এসেছেন ৷ আর আপনি এমন বস্তু নিয়ে
এসেছেন যার মধ্যে আমাদের বা আপনার কোন উপকার নেই ৷ আলী (বা) আপনার সাথে উপহাস
করেছেন ৷ আল্লাহর শপথ আপনার নিরাপত্তার ঘোষণ ৷ ৷বৈধ নয় ৷ আর এ নিরাপত্তা ঘোষণার বর-
থেলাপ করা তাদের জন্যে খুবই সহজ ৷ এরপর আ বু সুফিয়ান তা ৷র ত্রীর কাছে গেলেন এবং তার

কাছে সমস্ত ঘটনা ৷খুলে বললেন ৷ তা ৷র ত্রী বললেন, সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হিসাবে আল্লাহ্ তোমার
চেহারা কুৎসিত করুন ৷ তুমি কোন মঙ্গলই নিয়ে আসতে পারনি ৷ রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
একটি মেঘখণ্ড দেখে বলেছিলেন, “এ মেঘ খণ্ডটিও বনু কা বের সাহায্যে বর্ষিত হবে ৷” আবু
সুফিয়ান (বা) রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছ থেকে বের হয়ে আসার পর যতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করা ৷টা
আল্লাহর মঞ্জুর ছিল ততদিন পর্যন্ত তিনি অপেক্ষায় রইলেন ৷ এরপর তিনি তৈরী হতে লাগলেন ৷
আইশা (বা ) কে তৈরী হত ৩নির্দেশ দিলেন ৷ আর তা গোপন রাখতেও বললেন ৷ এরপর
রাসুলুল্লাহ্ (সা) মসজিদের দিকে বের হয়ে গেলেন অথবা কোন প্রয়োজনে কোথায়ও পেলেন ৷
আবু বকর (বা) আইশা (রা)-এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং দেখতে পেলেন আইশা (বা) গম
পরিষ্কার করছেন ৷ তিনি তাকে বললেন, “হে আমার কন্যা ! এ খাবার কেন তৈরী করছ ? তিনি
চুপ করে রইলেন ৷ তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কি কোন যুদ্ধে যেতে মনস্থ করেছেন ? তিনি
নিরুত্তর রইলেন ৷ আবু বকর (বা) আবারো বললেন, তিনি কি বনুল আসৃফার অর্থাৎ রোমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবেন ? তিনি চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার বললেন, হয়ত নজদবাসীদের
উদ্দেশ্যে অভিযানে যাবেন ? আইশা (রা) এবারও চুপ করে রইলেন ৷ তিনি আবার জিজ্ঞেস
করলেন, সম্ভবত কুরায়শদের বিরুদ্ধে তিনি এবার যুদ্ধ করবেন ? আইশা সিদ্দীকা (বা) এবারও


النَّاسِ، وَمَا يُجِيرُ أَحَدٌ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: يَا أَبَا الْحَسَنِ إِنِّي أَرَى الْأُمُورَ قَدِ اشْتَدَّتْ عَلَيَّ، فَانْصَحْنِي؟ قَالَ: وَاللَّهِ مَا أَعْلَمُ شَيْئًا يُغْنِي عَنْكَ، وَلَكِنَّكَ سَيِّدُ بَنِي كِنَانَةَ، فَقُمْ فَأَجِرْ بَيْنَ النَّاسِ، ثُمَّ الْحَقْ بِأَرْضِكَ. فَقَالَ: أَوَ تَرَى ذَلِكَ مُغْنِيًا عَنِّي شَيْئًا؟ قَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا أَظُنُّ، وَلَكِنْ لَا أَجِدُ لَكَ غَيْرَ ذَلِكَ، فَقَامَ أَبُو سُفْيَانَ فِي الْمَسْجِدِ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي قَدْ أَجَرْتُ بَيْنَ النَّاسِ. ثُمَّ رَكِبَ بَعِيرَهُ فَانْطَلَقَ، فَلَمَّا أَنْ قَدِمَ عَلَى قُرَيْشٍ قَالُوا: مَا وَرَاءَكَ؟ قَالَ: جِئْتُ مُحَمَّدًا فَكَلَّمْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا رَدَّ عَلَيَّ شَيْئًا، ثُمَّ جِئْتُ ابْنَ أَبِي قُحَافَةَ، فَوَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ فِيهِ خَيْرًا، ثُمَّ جِئْتُ عُمَرَ فَوَجَدْتُهُ أَعْدَى الْعَدُوِّ، ثُمَّ جِئْتُ عَلِيًّا فَوَجَدْتُهُ أَلْيَنَ الْقَوْمِ، وَقَدْ أَشَارَ عَلَيَّ بِأَمْرٍ صَنَعْتُهُ، فَوَاللَّهِ مَا أَدْرِي هَلْ يُغْنِي عَنَّا شَيْئًا أَمْ لَا؟ قَالُوا: بِمَاذَا أَمَرَكَ؟ قَالَ: أَمَرَنِي أَنْ أُجِيرَ بَيْنَ النَّاسِ فَفَعَلْتُ. قَالُوا: هَلْ أَجَازَ ذَلِكَ مُحَمَّدٌ؟ قَالَ: لَا. قَالُوا: وَيْحَكَ! مَا زَادَكَ الرَّجُلُ عَلَى أَنْ لَعِبِ بِكَ، فَمَا يُغْنِي عَنَّا مَا قُلْتَ. فَقَالَ: لَا وَاللَّهِ مَا وَجَدْتُ غَيْرَ ذَلِكَ. فَائِدَةٌ ذَكَرَهَا السُّهَيْلِيُّ، تَكَلَّمَ عَلَى قَوْلِ فَاطِمَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ: وَمَا يُجِيرُ أَحَدٌ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. عَلَى مَا جَاءَ فِي الْحَدِيثِ: «وَيُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ أَدْنَاهُمْ» قَالَ: وَجْهُ الْجَمْعِ بَيْنَهُمَا، بِأَنَّ الْمُرَادَ بِالْحَدِيثِ مَنْ يُجِيرُ وَاحِدًا أَوْ نَفَرًا يَسِيرًا، وَقَوْلُ فَاطِمَةَ فِيمَنْ يُجِيرُ عَدُوًّا مِنْ غَزْوِ الْإِمَامِ