আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة ذات السلاسل

পৃষ্ঠা - ৩৩৫৯

ছিল কেবল এক ঝুড়ি খেজুর ৷ এছ ৷ড়৷ আমাদের খাওয়ার মতে ৷ কোন কিছুই ছিলনা ৷৩ তাই আবু
উবায়দা (রা) আমাদেরকে একটি একটি খেজুর দৈনিক খেতে দিতেন ৷ আমরা ঐ একটি খেজুর
চুষতে থাকতাম যেমন শিশুরা করে থাকে ৷ তারপর আমি পানি পান করতাম ৷ এতে আমাদের
একটি দিবারাত চলে যেত ৷ আর আমরা আমাদের লাঠি৷ দ্ব ৷র৷ গাছের পাতায় পাতায় আঘাত
করতাম ৷ সেই পাতা ৷পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখতাম ৷ এরপর আমরা উক্ত পাতা খেতাম ৷ রাবী
বলেন, এরপর আমরা সাগরের তীরে চলে গেলাম এবং বিরাট বালির ন্তুপের ন্যায় একটি প্রকাণ্ড

মাছ সাগরের তীরে আমাদের জন্যে ভেসে আসল ৷ এটার নিবল্ট এসে দেখি এটা একটি বিরাট
প্রাণী যাকে বলা হয় আম্বর ৷ আবু উবায়দা (রা) বললেন, এটাতো মৃত তাই এটা খাওয়া যাবে না ৷
এরপর তিনি বললেন, “না বরং আমরা আল্লাহর রাসুল (সা) এর দুত, আমরা আল্লাহ্র রাস্তায়
রয়েছি আর আমরা নিরুপায় অবস্থায় আছি, কাজেই তোমরা তা খেতে পর ৷ রাবী বলেন, আমরা
এখানে প্রায় একমাস অবস্থান করলাম ৷ আমরা ছিলাম তিনশ’ জন ৷ আমরা মোটা তাজা হয়ে
গেলাম ৷ মাছের চোখের উপরিতাগ থেকে আমরা মটকার সাহাব:হ্বা৷ তেল সংগ্রহ করতাম ৷ আর
প্রতিদিন একটি র্ষাড়ের পরিমাণ অংশ কেটে নেয়া হত ৷ আবু উবায়দ৷ (রা) আমাদের মধ্য হতে
তেব জনকে মাছের চোখের উপর বসিয়ে দিলেন এবং পাজরের হাড়গুলে৷ হতে একটি হাড় হাতে
নিলেন ও দাড় করালেন ৷ত তারপর সবচেয়ে বড় সাওয়ারীটিকে তার নীচে দিয়ে যাবার আদেশ
দিলেন ৷ আমরা তা থেকে কিছু অংশ রান্না করে পাথেয় হিসেবে সংগে নিলাম ৷ যখন আমরা
মদীনায় আগমন করলাম তখন রাসুল (সা) এর দরবারে হাযির হয়ে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলাম ৷
তিনি বললেন, আল্লাহ্ তাআলা দয়া করে তোমাদের জন্যে খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ৷
ত তার কিছু অংশ কি তোমাদের কাছে আছে এবং আমাকে খেতে দিতে পার দ্রা রা ৷বী বলেন, আমরা
কিছু অং শ তার খিদমতে পেশ করলাম এবং৩ তিনি তা খেলেন ৷ ইমাম মুসলিম ও উপরের

হাদীছটি জাবির আনসা ৷রী (রা)-এর বরাতে উল্লেখ করেছেন ৷

উপরোল্লিখিত অধিকাংশ হাদীছের আলোকে বুঝা যায় যে, অভিযানটি ছিল হুদায়বিয়া সন্ধির
পুর্বেকার ঘটনা ৷ কিন্তু ইমাম বায়হাকীর অনুকরণেত তা এখানে উল্লেখ করা হল ৷ কেননা, তিনি এ
ঘটনাটি মুত তা যুদ্ধের পর ও মক্কা বিজয়ের পুর্বে উল্লেখ করেছেন ৷ আল্লাহ্৩ তা আলাই অধিক
পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম বুখারী (র) মুতা যুদ্ধের পর জুহায়ন৷ গোত্রের হরুকাত এলাকায় উসাম৷ ইবন যায়দ
(রা)-এব অভিযানের বর্ণনার পরে উল্লেখ করেছেন ৷ উসাম৷ (রা) বলেন, “রাসুলুল্পাহ্ (সা)
আমাদেরকে হুরুকাত এলাকার অভিযানে প্রেরণ করেন ৷ আমরা ভোর বেলায় শত্রুর উপর হামলা
করি ও তাদেরকে পরাজিত করি ৷ আমিও আমার এক আনসারী ভাই দুশমনদের এক লোককে
আক্রমণ করি ৷ যখন তাকে আমরা করে করে ফেললাম তখন লোকটি বলে উঠলং ৰু৷ ৷ ন্থএ ৷ ১া
ধ্া৷ ৷ আনসারী তাই তাকে আঘাত করা থেকে নিবৃত্ত থাকলেন; কিন্তু আমি বর্শা নিক্ষেপ করে
তাকে হত্যা করলাম ৷ যখন আমরা মদীনায় ফিরে এলাম তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে ঘটনা টি
উল্লেখ করা হলেও তিনি বললেন, হে উসাম৷ ৷ তুমি কি তাকে ধ্দু৷ ৷ ১৷ ৷ এ ৷ ১৷ বলার পরও হত্যা
করেছ ? আমি বললাম, যে ছিল তা ৷শ্রয়গ্রহণকাবী অর্থাৎ এটা ছিল তার আত্মরক্ষার একটি অজুহাত


لَهُمْ: تُعْطُونِي مِنْهَا عَشِيرًا عَلَى أَنْ أُقَسِّمَهَا بَيْنَكُمْ؟ قَالُوا: نَعَمْ. فَأَخَذْتُ الشَّفْرَةَ، فَجَزَّأْتُهَا مَكَانِي، وَأَخَذْتُ مِنْهَا جُزْءًا فَحَمَلْتُهُ إِلَى أَصْحَابِي، فَاطَّبَخْنَاهُ وَأَكَلْنَاهُ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ: أَنَّى لَكَ هَذَا اللَّحْمُ يَا عَوْفُ؟ فَأَخْبَرْتُهُمَا فَقَالَا: لَا وَاللَّهِ مَا أَحْسَنْتَ حِينَ أَطْعَمْتَنَا هَذَا. ثُمَّ قَامَا يَتَقَيَّآنِ مَا فِي بُطُونِهِمَا مِنْهُ، فَلَمَّا أَنْ قَفَلَ النَّاسُ مِنْ ذَلِكَ السَّفَرِ، كُنْتُ أَوَّلَ قَادِمٍ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَجِئْتُهُ وَهُوَ يُصَلِّي فِي بَيْتِهِ فَقُلْتُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ. فَقَالَ: " أَعَوْفُ بْنُ مَالِكٍ؟ " فَقُلْتُ: نَعَمْ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي. فَقَالَ: " صَاحِبُ الْجَزُورِ؟ " وَلَمْ يَزِدْنِي عَلَى ذَلِكَ شَيْئًا» هَكَذَا رَوَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، وَهُوَ مُنْقَطِعٌ بَلْ مُعْضَلٌ. قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: وَقَدْ رَوَاهُ ابْنُ لَهِيعَةَ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ لَقِيطٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ هِدْمٍ، أَظُنُّهُ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ، إِلَّا أَنَّهُ قَالَ: فَعَرَضْتُهُ عَلَى عُمَرَ فَسَأَلَنِي عَنْهُ، فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ: قَدْ تَعَجَّلْتَ أَجْرَكَ. وَلَمْ يَأْكُلْهُ. ثُمَّ حَكَى عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ مِثْلَهُ، وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ أَبَا بَكْرٍ، وَتَمَامُهُ كَنَحْوِ مَا تَقَدَّمَ