আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة ذات السلاسل

পৃষ্ঠা - ৩৩৫৭

এ হাদীছটি সহীহ্ বুখারী এবং সহীহ্ মুসলিমেও অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷

আমর (বা) বলেন, এরপর আমি চুপ করে গেলাম , এই তার যে, আমার নাম না সর্বশেষে
তিনি উল্লেখ করেন ৷

সাগর সৈকতে প্রেরিত আবু উবায়দা (রা)এর অভিযান১

ইমাম মালিক (র) জাবির (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাগর সৈকতের দিকে একটি সেনাদল প্রেরণ করেন ৷ র্তাদের আমীর ছিলেন আবু উবায়দা ইবনুল
জাবৃরাহ্ (বা) ৷ সেনাবাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ছিল তিন শ’ ৷ আমিও তাদের মধ্যে ছিলাম ৷ আমরা ঘর
থেকে বের হলাম বটে; কিন্তু রাস্তায় এসে আমাদের পাথেয় শেষ হয়ে যায় ৷ সেনাবাহিনীর সকল
সদস্য তাদের কাছে রক্ষিত খাবার সেনাপতি আবু ওবায়দা (রা)-এর আদেশ মুতাবিক তার কাছে
জমা দিলেন ৷ সেনাপতি প্রতিদিন কিছু কিছু করে সেনা সদস্যদেরকে খাবার দিতে লাগলেন ৷
খাবার ফুরিয়ে পেলে দৈনিক মাথা পিছু শুধু মাত্র একটি খেজুর বণ্টন শুরু হ্ল্ ৷ পরবর্তী রাবী
জাবির (রা)-কে জিজ্ঞেস করলেন, একটি খেজুর দিয়ে আপনাদের কীভাবে চলত ? তিনি বললেন,
যখন খাবার শেষ হয়ে গেল, তখন এই একটি ৫খজুরও আর জুটলনা ৷ তারপর আমরা সাগর
সৈকতে পেলাম এবং আমরা পাহাড়ের ন্যায় একটি সামুদ্রিক মাছ দেখতে পেলাম ৷

রাবী বলেন, সেনাবাহিনী এটাকে আঠার দিন যাবত খেলেন ৷ তারপর একদিন আবুউবায়দা
(বা) মাছটির পাজরের দুইটি বৃহৎ হাড় নিয়ে দীড় করাতে নির্দেশ দিলেন ৷ এ দুটো হাড়ের নিচ
দিয়ে একজন সৈনিক তার সাওয়ারী নিয়ে পার হয়ে গেল, কিন্তু এ দুটো হাড়কে স্পর্শ করল না ৷

সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমে অনুরুপ বর্ণনা পাওয়া যায় ৷ তবে তাদের ভাষায় জাবির
(রা)-এর ভাষ্য নিম্নরুপ : “রাসুল (সা) আমাদেরকে তিনশ’ অশ্বারোহী সহ এক অভিযানে প্রেরণ
করেন ৷ আমাদের আমীর ছিলেন আবুউবায়দা ইবনুল জাবৃরাহ্ (বা) ৷ আমরা কুরায়শদের একটি
কাফেলার অপেক্ষায় ছিলাম ৷ এরপর আমরা অত্যন্ত ক্ষুধার্ত হয়ে পড়লাম ৷ খাদ্যের অভাবে আমরা
গাছের পাতা যেতে বাধ্য হলাম ৷ তাই এই সেনাবাহিনীকে খাবৃতের যুদ্ধ বলা হয় ৷ ২ রাবী বলেন,
এক ব্যক্তি প্রথম দিন তিনটি উট যবেহ করলেন, দ্বিতীয় দিন আরো তিনটি উট যবেহ করলেন
এবং তৃতীয় দিন আরো তিনটি উট যবেহ করলেন ৷ এরপর আবু ওবায়দা (যা) তাকে উট ঘবাই
করতে নিষেধ করলেন ৷ রাবী বলেন, সাগর থেকে একটি বিশাল মাছ উঠে আসল, যাকে বলা
হয় আম্বর ৷ এই মাছটি আমরা ১৫ দিন পর্যন্ত থেলাম এবং আমরা তার থেকে তেল সংগ্রহ করে
শরীরে মাখলাম ৷ ফলে আমাদের শরীর সুস্থ হয়ে উঠল ৷ এরপর পাজরের অস্থির ঘটনা বর্ণনা করা
হয় ৷ উপরোক্ত হাদীছের মধ্যে উল্লিখিত, “আমরা কুরায়শদের একটি কাফেলার অপেক্ষায় ছিলাম’
এ বাক্যটির দ্বারা বুঝা যায় যে, এ অভিযান প্রেরণের ঘটনাটি ছিল হুদায়বিয়ার পুর্বেকার ঘটনা ৷
আল্লাহ তাআলা অধিক পরিজ্ঞাত ৷ যে ব্যক্তিটি উট যবেহ করেছিলেন তার নাম ছিল কায়স ইবন
সাদ ইবন উবায়দা (রা) ৷

হাফিয বায়হার্কীর উদ্ধৃত জাবির (রা)-এর বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে ৷ আমাদের পাথেয়

১ একে সীকুল বাহার অভিযান বলা হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয়
২ খাবত অর্থ গাছের পাতা ৷




(النِّسَاءِ: 29) فَضَحِكَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَمْ يَقُلْ شَيْئًا» . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، ثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، ثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ وَعَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ أَبِي أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ عَمْرَو بْنَ الْعَاصِ كَانَ عَلَى سَرِيَّةٍ. فَذَكَرَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ، قَالَ: فَغَسَلَ مَغَابِنَهُ وَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلَاةِ، ثُمَّ صَلَّى بِهِمْ. فَذَكَرَ نَحْوَهُ، وَلَمْ يَذْكُرِ التَّيَمُّمَ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَى هَذِهِ الْقِصَّةَ عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، وَقَالَ فِيهِ: فَتَيَمَّمَ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: حَدَّثَنِي أَفْلَحُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ ابْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رُقَيْشٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ قَالَ: «كَانَ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ حِينَ قَفَلُوا، احْتَلَمَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ كَأَشَدَّ مَا يَكُونُ مِنَ الْبَرْدِ، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: مَا تَرَوْنَ؟ قَدْ وَاللَّهِ احْتَلَمْتُ، فَإِنِ اغْتَسَلْتُ مُتُّ. فَدَعَا بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ، وَغَسَلَ فَرْجَهُ وَتَيَمَّمَ، ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى بِهِمْ، فَكَانَ أَوَّلَ مَنْ بَعَثَ عَوْفُ بْنُ مَالِكٍ بَرِيدًا، قَالَ عَوْفٌ: فَقَدِمْتُ