আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

مقتل حمزة رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ২৬৫১

মুদলিজী ৷ হযরত হায়দ ওত তার পুত্র উসামার (রা ) দেহের রং ভিন্ন ভিন্ন হওয়া সত্বেও মুজায্যায
মুদলিজী উসামার (রা ) পা দেখে বলেছিলেন যে, এ হচ্ছে য়ায়দের পুত্র ৷

ইমাম বুখারীর উদ্ধৃত বর্ণনায় আছে যে, ওয়াহ্শী বলেছেন, লোকজন যখন যুদ্ধের জন্যে
সারিবদ্ধ হল তখন সিবা ময়দানে বেরিয়ে আসে ৷ সে বলল , আমার বিরুদ্ধে লড়াই করার কেউ
আছ কি ? তখন হানযা ইবন আবদুল মুত্তালিব বেরিয়ে এলেন ৷ হুৎকার ছেড়ে৩ তিনি বললেন, ওহে
সিবা ওহে খৎনাবারীর পুত্র, তুইাক আল্লাহ ও তার রাসুলকে চ্যালেঞ্জ করছিল ? একথা বলেই
তিনি সিবা কে আহ্ৰুাষ্মণ করলেন ৷ সাথে সাথে সে অতীতে তর ইতিহাসে পরিণত ৩হল ৷ ওয়াহুশী
বলেন, হামযাকে তাক করে একটি পাথরের আড়ালে আমি লুকিয়ে রয়েছিলাম ৷ তিনি আমার
নিকটবর্তী হলেন ৷ আমি তাকে লক্ষ্য করে, বর্শা ছুড়ি ৷ বর্শাটি ঠিক তার নাভিতে গিয়ে পহ্ব,ড় ৷
তারপর তা তার ভু নিতন্বের মাঝখান দিয়ে বের হয়ে আসে ৷ এই ছিল তার অন্তিম অবস্থা ৷
ওয়াহ্শী এও বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ওফাতের পর খোন ভণ্ড নবী মুসায়লামার আবির্ভাব
ঘটল তখন আমি বললাম , সম্ভবত আমিই তাকে হত্যা করতে পারব যাতে করে হযরত হামযা
(বা ) কে শহীদ করার দায় থেকে আমি মুক্ত হতে পারি ৷ মুসায়লামার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে
যারা যাচ্ছিল আমি তাদের সাথী হলাম ৷ এরপর যা হবার হল ৷ আমি দেখতে পেলাম যে, এক
ব্যক্তি একটি ভগ্ন প্রাচীরের কাছে দাড়িয়ে আছে ৷ তার মাথায় চুল এলােমেলাে ৷ দেখতে ধুসর
উটের মত ৷ তাকে লক্ষ্য করে আমি আমার বর্শা নিক্ষেপ করলাম ৷ সেটি গিয়ে তার বুকভেদ
করে তার দৃ’ কারুষ্প্র মাঝ দিয়ে বেরিয়ে গেল ৷ একজন আনসারীও তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে
ছিলেন, নিজের৩ তর স্থারি দিয়ে তিনি মুসায়লামার মাথায় আঘাত করেছিলেন ৷

আবদুল্লাহ ইবন ফযল বলেন সুলায়মান ইবন ইয়াসার বলেছেন যে, তিনি আবদুল্লাহ ইবন
উমার (বা ) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলছিলেন তখন জনৈকা ক্রী দাসী ঘরের ছাদে উঠে
বলছিল , হায় আমীরুল মু ’মিনীন ! তার জন্যে দুঃখ হয় ৷ একজন কালো ক্রীতদাস তাকে হত্যা
করেছে ’

ইবন হিশাম বলেন, আমার নিকট বর্ণনা পৌছেছে যে, ওয়াহ্শী মদপানে অভ্যস্ত ছিলো ৷ এ
জন্যে তাকে সরকারী চাকুরী থেকে বরখস্তে করা হয় ৷ হযরত উমার ইবন খাত্তাব (রা ) বলতেন
যে হযরত হামযা র (বা ) হত্যাকারীকে আল্লাহ ছাড়বেন না ৷

ওয়াহ্শী ইবন হারব আবু দাসামা ম৩ান্তরে আবু হারব এর ওফাত হয় হিমৃসে ৷ তিনিই
সর্বপ্রথম ইগ্রি করা <পাশা ক পরিধান করেন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে আড়াল করে মুসআব ইবন উমায়র যুদ্ধ করে
যাচ্ছিলেনৰু শেষ পর্যন্ত তিনি শহীদ হলেন ৷ ইবন কামিয়া লায়ন্থীাকে হত্যা করেছিল ৷ যে
মুল সআব (রা)-কে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বলে ধারণা করেছিল ৷ ফলে সে কুরায়শদের নিকট গিয়ে
বলল, আমি মুহাম্মাদকে হত্যা করেছি ৷

মুসা ইবন উক্বা তীর মাপাযী গ্রন্থে সাঈদ ইবন মুসাব্যির থেকে বর্ণনা করেছেন যে, উবাই
ইবন খালফ ই হযরত ঘৃসআর (রা) কে হা করেছিল ৷ আল্লাহ্ই ভাল জানেন ৷
১ বিশুদ্ধ উচ্চারণ হচ্ছে মুসায়লিমা ৷




لِيَدَعَ قَاتِلَ حَمْزَةَ. قُلْتُ: وَتُوُفِّيَ وَحْشِيُّ بْنُ حَرْبٍ أَبُو دَسْمَةَ - وَيُقَالُ: أَبُو حَرْبٍ - بِحِمْصَ وَكَانَ أَوَّلُ مَنْ لَبِسَ الثِّيَابَ الْمَدْلُوكَةَ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَاتَلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى قُتِلَ، وَكَانَ الَّذِي قَتَلَهُ ابْنُ قَمِئَةَ اللِّيثِيُّ وَهُوَ يَظُنُّ أَنَّهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَرَجَعَ إِلَى قُرَيْشٍ فَقَالَ: قَتَلْتُ مُحَمَّدًا. قُلْتُ: وَذَكَرَ مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ فِي " مَغَازِيهِ "، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ مُصْعَبًا هُوَ أُبَيُّ بْنُ خَلَفٍ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا قُتِلَ مُصْعَبُ بْنُ عُمَيْرٍ أَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اللِّوَاءَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ وَقَالَ يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ: كَانَ اللِّوَاءُ أَوَّلًا مَعَ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَلَمَّا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِوَاءَ الْمُشْرِكِينَ مَعَ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ قَالَ: نَحْنُ أَحَقُّ بِالْوَفَاءِ مِنْهُمْ أَخَذَ اللِّوَاءَ مِنْ عَلِيٍّ، فَدَفَعَهُ إِلَى مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ، فَلَمَّا قُتِلَ مُصْعَبٌ أَعْطَى اللِّوَاءَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ.، قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَقَاتَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَرِجَالٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ.