আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

وقت إرسال الرسل إلى ملوك الآفاق

পৃষ্ঠা - ৩৩৩৯

নিজেদেরকে সফলকাম বলে ভাবতে পসন্দ করছো, এর বেশি আর কিছু নয় ৷ রাবী বলেন,
“এরপর তিনি তার একটি খচ্চরে সওয়ার হয়ে রওয়ানা দিলেন ৷ সীমান্ত গিরিপথের নিকটে এসে
তিনি সিবিয়৷ ভুখণ্ডের দিকে মুখ করে বললেন ং ন্টিা; ;; , ং, ওে , ৷ ৷;া; ণ্১াট্রু৷ ৷
& ৷ শু৷ ৷ হে সিবিয়৷ ভুমি ! তোমার উপর রহমত বর্ধিত হো তোমাকে বিদায়ী সালাম
এরপর দ্রুত চলতে লাগলেন এবং কনষ্ট৷ ন্টিনিপা ৷ল শহরে প্রবেশ করলেন ৷ আল্লাহই অধিক জ্ঞা ত

সিরিয়ার আরব খৃক্টান শাসনকর্তার নিকট পত্র প্রেরণ

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আসাদ ইবন খুযায়মা গোতত্রের শুজা ইবন
ওছারকে পত্র সহ দামেস্কের শাসনকর্তা মুনযির ইবন হাবিছ ইবন আবু শুমর গাসৃসানীর কাছে
প্রেরণ করেন ৷

ওয়াকিদী বলেন, পত্রটি ছিল এরুপ : যে হিদায়াতের পথ অনুসরণ করবে ও ঈমান গ্রহণ
করবে তার প্রতি সালাম ৷ আমি তোমাকে আহ্বান করছি তুমি যেন এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস
স্থাপন কর, যার কোন অংশীদার নেই ৷ তাহলে তোমার রাজ্য তোমার কাছেই থাকবে ৷ শুজা
তার কাছে গেলেন এবং পত্রটি পড়ে শুনালেন ৷ তখন সে বলল, কে আমার রাজ্য ছিনিয়ে নেবে ?
আমি অচিরেই তার দিকে রওয়ানা দিচ্ছি ৷

পারস্য সম্রাট কিসৃরার কাছে পত্র প্রেরণ

ইমাম বুখারী (র) ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার পত্রসহ এক ব্যক্তিকে কিসৃরার কাছে প্রেরণ করেন এবং আদেশ করেন যেন পত্রটি বাহরায়-
নের শাসনকর্তাকে দেওয়া হয় ৷ বাহরায়নের শাসনকর্তা পত্রটি কিসৃরার কাছে হস্তান্তর করেন ৷
যখন কিসৃরা পত্রটি পড়ল সে পত্রটি ছিড়ে ফেলে ৷ রাবী বলেন, সম্ভবত ইবনুল মুস৷ ৷ইয়িব বলেন,
রাসুলুল্লাহ (সা)৩ ৷ তাদের প্রতি অভিশাপ দিয়েছিলেন, তারা যেন একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় ৷

আবদুল্লাহ ইবন ওহব আবদুর রহমান ইবন আবদুল কা ৷য়ীর বরাতে বলেন, “একদিন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দেয়ার জন্যে মিম্বরে দীড়ালেন ৷ তারপর আল্লাহর প্রশংসা করলেন,
তাশাহ্হুদ পাঠ করলেন এবং বললেন, অনারব দেশের রাজাদের কাছে আমি তোমাদের কাউকে
কাউকে পত্র সহকারে প্রেরণ করতে চাই ৷ তোমরা আমার সাথে এ ব্যাপারে কোন মতবিরোধ
করবেনা যেরুপ বনু ইসরাঈল ঈসা ইবন মবিয়ম (আ)-এর সাথে করে ছিল ৷ মুহাজিরগণ উত্তরে
বললেন, হে আল্লাহর রাসুল ! আমরা কখনও আপনার সাথে কোন ব্যাপারে মতবিরোধ করব না ৷
সুতরাং আপনি আমাদেরকে আদেশ করুন এবং প্রেরণ করুন ৷ রাসুলুল্লাহ (সা) তখন সুজা ইবন
ওহব (রা) কে কিসৃরার কাছে প্রেরণ করেন ৷ কিসৃরা তার দরবার হল সাজানাের জন্যে হুকুম
দিল ৷৩ তারপর পারস্যের প্রধানদেরকে দরবারে প্রবেশের অনুমতি দিল ৷ এরপর সে সুজা ৷ইবন
ওহবকে প্রবেশের অনুমতি দিল ৷ তিনি প্রবেশ করার পর তার থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর পত্র
হস্তগত করার জন্যে কিসৃরা অন্য একজনকে আদেশ দিল; কিন্তু সুজা ইবন ওহব (বা ) বললেন,
না আমি অন্যের হাতে পত্র দেব না ৷ আমি শুধু আপনার হাতেই অর্পণ ৷করবাে, যেমনটি
রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে আদেশ করেছেন ৷ কিসৃরা তখন বলল, একে আমার কাছে নিয়ে

৫৯ ——

بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ، أَنَّ هِرَقْلَ قَالَ لِدِحْيَةَ بْنِ خَلِيفَةَ الْكَلْبِيِّ حِينَ قَدِمَ عَلَيْهِ بِكِتَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ أَنَّ صَاحِبَكَ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ، وَأَنَّهُ الَّذِي كُنَّا نَنْتَظِرُ وَنَجِدُهُ فِي كِتَابِنَا، وَلَكِنِّي أَخَافُ الرُّومَ عَلَى نَفْسِي، وَلَوْلَا ذَلِكَ لَاتَّبَعْتُهُ، فَاذْهَبْ إِلَى ضَغَاطِرَ الْأُسْقُفِّ، فَاذْكُرْ لَهُ أَمْرَ صَاحِبِكُمْ، فَهُوَ وَاللَّهِ فِي الرُّومِ أَعْظَمُ مِنِّي، وَأَجْوَزُ قَوْلًا عِنْدَهُمْ مِنِّي، فَانْظُرْ مَاذَا يَقُولُ لَكَ؟ قَالَ: فَجَاءَهُ دِحْيَةُ، فَأَخْبَرَهُ بِمَا جَاءَ بِهِ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى هِرَقْلَ، وَبِمَا يَدْعُو إِلَيْهِ، فَقَالَ ضَغَاطِرُ: صَاحِبُكَ وَاللَّهِ نَبِيٌّ مُرْسَلٌ نَعْرِفُهُ بِصِفَتِهِ، وَنَجِدُهُ فِي كِتَابِنَا بِاسْمِهِ ثُمَّ دَخَلَ وَأَلْقَى ثِيَابًا كَانَتْ عَلَيْهِ سُودًا، وَلَبِسَ ثِيَابًا بَيَاضًا، ثُمَّ أَخَذَ عَصَاهُ فَخَرَجَ عَلَى الرُّومِ فِي الْكَنِيسَةِ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، إِنَّهُ قَدْ جَاءَنَا كِتَابٌ مِنْ أَحْمَدَ، يَدْعُونَا فِيهِ إِلَى اللَّهِ، وَإِنِّي أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ أَحْمَدَ عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. قَالَ: فَوَثَبُوا إِلَيْهِ وَثْبَةَ رَجُلٍ وَاحِدٍ، فَضَرَبُوهُ حَتَّى قَتَلُوهُ. قَالَ: فَلَمَّا رَجَعَ دِحْيَةُ إِلَى هِرَقْلَ، فَأَخْبَرَهُ الْخَبَرَ، قَالَ: قَدْ قُلْتُ لَكَ: إِنَّا نَخَافُهُمْ عَلَى أَنْفُسِنَا، فَضَغَاطِرُ وَاللَّهِ كَانَ أَعْظَمَ عِنْدَهُمْ، وَأَجْوَزَ قَوْلًا مِنِّي. وَقَدْ رَوَى الطَّبَرَانِيُّ مِنْ طَرِيقِ يَحْيَى بْنِ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ دِحْيَةَ الْكَلْبِيِّ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى