আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

وقت إرسال الرسل إلى ملوك الآفاق

পৃষ্ঠা - ৩৩৩৭

প্রতি ৷ তখন সম্রাটের নীলাভ চোখ বিশিষ্ট পৌর বর্ণের জনৈক ভাতিজা চীৎকার দিয়ে বলতে
লাগল, আজকে এ পত্রটি পড়বেন না; কেননা, পত্র প্রেরক পত্রের শুরুতে নিজের নাম উল্লেখ
করেছে ৷ আর রোমের সম্রাট কথাটি না লিখে রোমের শাসনকর্তা লিখা হয়েছে ৷ রাবী বলেন,
“পরে তিনি পত্রটি পড়লেন এবং যখন পত্র পড়া শেষ হল তখন তিনি সভাসদবর্গকে বের হয়ে
যেতে বললেন ৷ তারা বের হয়ে গেলে আমার কাছে লোক প্রেরণ করলেন ৷ আমি প্রবেশ
করলাম ৷ আমাকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করলেন আর আমি তাকে বিস্তারিত সংবাদ দিলাম ৷ এরপর
তিনি প্রধান বিশপের কাছে লোক প্রেরণ করেন ৷ তিনি আসলেন ৷ তিনি ছিলেন তাদের
পরামর্শদাতা ৷ তার কথা ও পরামর্শ তারা মান্য করতো ৷ যখন তিনি পত্রঢি পড়লেন তখন তিনি
বললেন, আল্লাহ্র শপথ, তিনিও ঐ ব্যক্তি যার সম্বন্ধে মুসা ও ঈসা (আ) অমাদেরকে সুসমাচার
দিয়ে গেছেন ৷ আর যার জন্যে আমরা প্রতীক্ষারত ৷ কায়সার বললেন, তাহলে আপনি আমাদেরকে
কী নির্দেশ দিচ্ছেন ? বিশপ বললেন, তবে আ ত তাকে সত্য বলে ঘিশ্বাস্ করি এবং আমি তার
অনুসারী ৷ কায়সার বললেন, আমিও জানি যে, তিনি এরুপই ৷ তবে আমি তা করতে পারছি না ৷
যদি আমি তা করি, তাহলে আমার রাজত্ব চলে যাবে এবং রোমানরা আমাকে হত্যা করবে ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক, থালিদ ইবন ইয়াসারের বরাতে সিরিয়ার একজন প্রবীণ অধিবাসী হতে
বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সম্বন্ধে হিরাক্লিয়াসের কাছে যখন সংবাদ পৌছল,
তখন তিনি সিরিয়া ভুমি থেকে কনষ্টান্টিনিপলে চলে যেতে মনস্থ করেন ৷ তার প্রাক্কালে রোমের
বাসিন্দাদের জমায়েত করে তিনি বললেন, “হে রোমের বাসিন্দার৷ ! আমি তোমাদের কাছে একটি
বিষয় উপস্থাপন করছি ৷ তোমরা আরো মনোযোগ সহকারে শোন ! তারা বলল, “বলুন, তা কী ?”
তিনি বললেন, আল্লাহ্র শপথ, তোমরা জান যে , ইনি একজন প্রেরিত নবী ৷ আমাদের কাছে তার
যে সমস্ত গুণ বর্ণনা করা হয়েছে এগুলোর মাধ্যমে আমরা তাকে চিনতে পেরেছি ৷ চল, আমরা
সকলে তার অনুসরণ করি , তাহলে আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লাভ করব ৷” তারা বলল,
আমরা আররদের অধীনস্থ হয়ে পড়ব অথচ আমাদের দেশ তাদের চেয়ে বড় দেশ এবং জনসংখ্যা
তাদের থেকে অধিক আর আমাদের শহর তাদের থেকে অনেক দুরবর্তী ৷ তিনি বললেন, তা’হলে
চল, আমরা তাকে বার্ষিক জিযিয়া কর প্রদান করি তাহলে তার আক্রোশহ্রাস পাবে ৷ আর এর
বিনিময়ে তার আক্রমণ থেকে আমরা শান্তিতে থাকতে পারব ৷ তারা বলল, “আমরা আররদেরকে
খারাজ বা কর দেব এবং আমাদের থেকে তা তারা গ্রহণ করবে অথচ আমরা তাদের চেয়ে
জনসংখ্যার দিক দিয়ে অধিক, দেশ হিসাবে তাদের দেশ থেকে বড় এবং শহর হিসেবে অধিক
সুরক্ষিত ? না, তা হতে পারে না ৷ আল্লাহর শপথ, আমরা কোন দিনও এরুপ করব না ৷”
হিরাক্লিয়াস বললেন, তা’হলে চল, আমরা তার সাথে এ মর্মে সন্ধি করি যে, আমরা মুহাম্মাদ
(না)-কে (দক্ষিণ সিরিয়া) ভুখণ্ড ছেড়ে দেব এবং তিনি আমাদেরকে শামে (উক্ত সিরিয়ার)
থাকতে দেবেন ৷ রাবী বলেন, ঐসময়কার সিরিয়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল ফিলিস্তীন, জর্দান, দামেস্ক,
হিম্স ও সীমান্তবর্তী গিরিপথের এ পার ৷ গিরিপথের বাইরের অংশ ছিল তখনকার শাম ৷ এরপর
তারা বলল, আমরা মুহাম্মাদ (না)-কে সিরিয়ার ভুখণ্ড ছেড়ে দেব অথচ আপনি জানেন সিরিয়ার
ভুখণ্ডঢি শামেরই অংশ ৷ আমরা এটা কোন দিনও ছাড়বাে না ৷ যখন তারা তার কাছে অস্বীকৃতি
জানাল, তখন তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ, তোমরা তোমাদের শহরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে


أَخْتَبِرُ بِهَا شِدَّتَكُمْ عَلَى دِينِكُمْ، فَقَدْ رَأَيْتُ. فَسَجَدُوا لَهُ وَرَضُوا عَنْهُ، فَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ شَأْنِ هِرَقْلَ. قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَرَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ، وَيُونُسُ وَمَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ فِي مَوَاضِعَ كَثِيرَةٍ فِي " صَحِيحِهِ " بِأَلْفَاظٍ يَطُولُ اسْتِقْصَاؤُهَا. وَأَخْرَجَهُ بَقِيَّةُ الْجَمَاعَةِ، إِلَّا ابْنَ مَاجَهْ، مِنْ طُرُقٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ. وَقَدْ تَكَلَّمْنَا عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ مُطَوَّلًا فِي أَوَّلِ شَرْحِنَا لِصَحِيحِ الْبُخَارِيِّ بِمَا فِيهِ كِفَايَةٌ، وَذَكَرْنَا فِيهِ مِنَ الْفَوَائِدِ وَالنُّكَتِ الْمَعْنَوِيَّةِ وَاللَّفْظِيَّةِ، وَلِلَّهِ الْحَمْدُ وَالْمِنَّةُ. وَقَالَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عُرْوَةَ قَالَ: خَرَجَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ إِلَى الشَّامِ تَاجِرًا فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ، وَبَلَغَ هِرَقْلَ شَأْنُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرَادَ أَنْ يَعْلَمَ مَا يُعْلَمُ مِنْ أَمْرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَرْسَلَ إِلَى صَاحِبِ الْعَرَبِ الَّذِي بِالشَّامِ فِي مُلْكِهِ، فَأَمَرَهُ أَنْ يَبْعَثَ إِلَيْهِ بِرِجَالٍ مِنَ الْعَرَبِ يَسْأَلُهُمْ عَنْهُ، فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ ثَلَاثِينَ رَجُلًا، مِنْهُمْ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَدَخَلُوا عَلَيْهِ فِي كَنِيسَةِ إِيلِيَاءَ الَّتِي فِي جَوْفِهَا، فَقَالَ هِرَقْلُ: أَرْسَلْتُ إِلَيْكُمْ لِتُخْبِرُونِي عَنْ هَذَا الَّذِي بِمَكَّةَ مَا أَمْرُهُ؟ قَالُوا: سَاحِرٌ كَذَّابٌ، وَلَيْسَ بِنَبِيٍّ. قَالَ: فَأَخْبِرُونِي بِأَعْلَمِكُمْ بِهِ وَأَقْرَبِكُمْ مِنْهُ رَحِمًا؟ قَالُوا: هَذَا أَبُو سُفْيَانَ ابْنُ عَمِّهِ،