سنة ثمان من الهجرة النبوية
كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم
وقت إرسال الرسل إلى ملوك الآفاق
পৃষ্ঠা - ৩৩৩৬
আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া ৪৬৩
তোমরা তাকে হত্যা করো না ৷ কেননা, এ কাজটি বেশী বেশী করে করেছে ইয়াহদীরা ৷ এরপর
আবু সুফিয়া ন তার ঘরে ফিরে না ন ৷
এ বর্ণনায় বিরলতা পরিলক্ষিত হয় ৷ তবে এর মধ্যে অনেক তথ্য রয়েছে যা ইবন ইসহাক বা
বুথা খারীর বর্ণনায় নেই ৷ মুসা ইবন উকবার বর্ণনা এ বর্ণনার কাছাকাছি ৷
ইবন জারীর তার ইতিহাস গ্রন্থে মুহাম্মাদ ইবন ইসহাকের বরা ৷৩ বলেন, তিনি কিছু জ্ঞানী
লোকের বরাতে বলেছেন, যখন দেহইয়াতু ল কালবী (বা ) রাসুলুল্লাহ (সা) এর পত্র নিয়ে
হিরাক্লিয়াসের কাছে আগমন করলেন তখন তিনি বললেন, “আল্লাহর শ প্াথ, আমি জানি যে,
নিশ্চয়ই তোমাদের সাথী একজন প্রেরিত নবী (সা) ৷ যার জন্যে আমরা প্রভীক্ষারত ৷ আমাদের
কিভাবে তার বর্ণনা রয়েছে ৷ কিন্তু আমি রোমানদের পক্ষ থেকে আমার প্রাণের আশং কা করছি ৷
তা না হলে আমি অবশ্যই তার আনুগত্যাীকার করতাম ৷ ণ্ডুাণ্ মএখন বিশপ য়াগাতিরের কাছে
যাও এবং তার কাছে তোমাদের সাথীর কথা উল্লেখ করো ৷ আল্লাহর শপথ, রোম দেশে তিনি
আমার চেয়ে বড় এবং তার কথা আমার কথার চাইতে তাদের কাছে বেশী গ্রহণযাোগ্য ৷ গিয়ে
দেখ, তোমাকে তিনি কী বলেন ? রাবী বলেন, দেহইয়া (রা)৩ তার কাছেও তিনি রাসুলুল্লাহ (সা) এর
বার্তা এবংদ দাওয়াত সম্পর্কে তাকে বিস্তারিত অবহিত করেন ৷ যাপাতির বললেন, আল্লাহর শপথ,
তোমার সাথী একজন প্রেরিত নবী, তার গুণাবলী সম্বন্ধে আমরা অবগত রয়েছি ৷ আমাদের
আসমানী কিভাবে আমরা তার নাম পেয়েছি ৷ত তারপর তিনি ঘরের ভিতর গেলেন ৷৩ তার পরিহিত
কালো কাপড় ছেড়ে সাদা পোশাক পরিধান করলেন ৷ এরপর তার লাঠিটা হাতে নিলেন এবং
রোমের একটি গির্জায় আগমন করলেন ও বললেন, “হে রোমের বাসিন্দাগণ ! আহমদ (না)-এর
পক্ষ হতে আমাদের কাছে একটি পত্র এসেছে যার মাধ্যমে আমাদেরকে আল্লাহর দিকে আহ্বান
করা হয়েছে ৷ আর আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ্ ব্যতীত কো ন মাবুদ নেই এবং আহমদ আল্লাহর
বান্দা এবং তার রাসুল ৷” রাবী বলেন, “উপস্থিত রোমানরা তার উপর একত্রে ঝাপিয়ে পড়ল,
তাকে মারতে লাগল, এমনকি তারা তাকে হত্যা করে ফেলল ৷ এরপর দেহইয়া কালবী (রা)
হিরাক্লিয়াসের কাছে প্রত্যাবর্তন করেন ও তাকে এ বিষয়ে অবহিত করেন ৷ হিরাক্লিয়াস বললেন,
দেখুন, আপনাকেও বলেছি যে, তারা আমার প্রাণ নাশ করে ফেলবে তাদের এ আশংকা করছি ৷
য়াগাতির তাদের কাছে আমার চাইতে অধিক শ্রদ্ধাবান ছিলেন এবং আমার কথার চাইতে তার
কথার দাম তাদের কাছে বেশী ছিল ৷
তাবারানী (র) দেহ্ইয়া কালবী (রা)-এর বরাতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে একটি পত্রসহ রোমের সম্রাটের কাছে প্রেরণ করেন ৷ আমি দরজায়
দাড়িয়ে দারওয়ানকে বললাম, আল্লাহ্র রাসুলের দুতের জন্যে অনুমতি প্রার্থনা কর ৷ সে সম্রাটের
কাছে ভিতরে গেল এবং সংবাদ দিল যে, প্রাসাদের দরজ্যয় এক ব্যক্তি র্দা ড়িয়ে আছেন এবং তিনি
তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর দুত বলে পরিচয় দিচ্ছেন ৷ এ সং বাদ শুনে ভিতরের লোকজন ভীত
হয়ে পড়ল ৷ সম্র ট বললেন, তাকে ভিতরে আসতে দাও ৷’ আমাকে ভিতরে নেয়া হল ৷ তার
কাছে তার সভাসদবর্গহাযির ছিলেন ৷ আমি তার কাছে পত্রটি সমর্পণ করলাম ৷ পত্রে লিখা ছিল ং
পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহর নামে ঘুহাষ্মাদুর রাসুলুল্লাহ্ হতে রোমের শাসনকতা কায়সার এর
صَاحِبُ إِيلِيَاءَ وَهِرَقْلَ - سُقُفًّا عَلَى نَصَارَى الشَّامِ، يُحَدِّثُ أَنَّ هِرَقْلَ حِينَ قَدِمَ إِيلِيَاءَ أَصْبَحَ يَوْمًا خَبِيثَ النَّفْسِ، فَقَالَ بَعْضُ بَطَارِقَتِهِ، قَدِ اسْتَنْكَرْنَا هَيْئَتَكَ. قَالَ ابْنُ النَّاطُورِ: وَكَانَ هِرَقْلُ حَزَّاءً يَنْظُرُ فِي النُّجُومِ، فَقَالَ لَهُمْ حِينَ سَأَلُوهُ: إِنِّي رَأَيْتُ حِينَ نَظَرْتُ فِي النُّجُومِ مَلِكَ الْخِتَانِ قَدْ ظَهَرَ، فَمَنْ يَخْتَتِنُ مِنْ هَذِهِ الْأُمَّةِ؟ قَالُوا: لَيْسَ يَخْتَتِنُ إِلَّا الْيَهُودُ، فَلَا يُهِمَّنَّكَ شَأْنُهُمْ، وَاكْتُبْ إِلَى مَدَائِنِ مُلْكِكَ فَلْيَقْتُلُوا مَنْ فِيهِمْ مِنَ الْيَهُودِ. فَبَيْنَمَا هُمْ عَلَى أَمْرِهِمْ، أَتَى هِرَقْلُ بِرَجُلٍ أَرْسَلَ بِهِ مَلِكُ غَسَّانَ، يُخْبِرُ عَنْ خَبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا اسْتَخْبَرَهُ هِرَقْلُ قَالَ: اذْهَبُوا فَانْظُرُوا أَمُخْتَتِنٌ هُوَ أَمْ لَا؟ فَنَظَرُوا إِلَيْهِ، فَحَدَّثُوهُ أَنَّهُ مُخْتَتِنٌ. وَسَأَلَهُ عَنِ الْعَرَبِ، فَقَالَ: هُمْ يَخْتَتِنُونَ. فَقَالَ هِرَقْلُ: هَذَا مُلْكُ هَذِهِ الْأُمَّةِ قَدْ ظَهَرَ. ثُمَّ كَتَبَ هِرَقْلُ إِلَى صَاحِبٍ لَهُ بِرُومِيَّةَ، وَكَانَ نَظِيرَهُ فِي الْعِلْمِ، وَسَارَ هِرَقْلُ إِلَى حِمْصَ، فَلَمْ يَرِمْ حِمْصَ حَتَّى أَتَاهُ كِتَابٌ مِنْ صَاحِبِهِ، يُوَافِقُ رَأْيَ هِرَقْلَ عَلَى خُرُوجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَّهُ نَبِيٌّ، فَأَذِنَ هِرَقْلُ لِعُظَمَاءِ الرُّومِ فِي دَسْكَرَةٍ لَهُ بِحِمْصَ، ثُمَّ أَمَرَ بِأَبْوَابِهَا فَغُلِّقَتْ ثُمَّ اطَّلَعَ فَقَالَ: يَا مَعْشَرَ الرُّومِ، هَلْ لَكُمْ فِي الْفَلَاحِ وَالرُّشْدِ، وَأَنْ يَثْبُتَ لَكُمْ مُلْكُكُمْ، فَتُبَايِعُوا لِهَذَا النَّبِيِّ. فَحَاصُوا حَيْصَةَ حُمْرِ الْوَحْشِ إِلَى الْأَبْوَابِ، فَوَجَدُوهَا قَدْ غُلِّقَتْ، فَلَمَّا رَأَى هِرَقْلُ نَفْرَتَهُمْ، وَأَيِسَ مِنَ الْإِيمَانِ قَالَ: رُدُّوهُمْ عَلَيَّ. وَقَالَ: إِنِّي إِنَّمَا قُلْتُ مَقَالَتِي آنِفًا