আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

وقت إرسال الرسل إلى ملوك الآفاق

পৃষ্ঠা - ৩৩২৯

রয়েছে এবং আমরা যাকে তার যুগ ও তার বিশেষ বিশেষ নিদর্শনসমুহের সাহায্যে সহত্তেইি
চিনতে পারি ৷ সুতরাং তোমরা সকলে মুসলমান হয়ে যাও এবং তার অনুসরণ কর ৷ তাহলে
তোমরা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লা ত করতে পারবে ৷ তখন তারা এবইি লোকের ন্যায় সমস্বরে
চীৎকাব করতে লাগল এবং প্রাসাদের দরজার দিকে ধাবিত হল ৷ তবে এগুলোকে তারা পিছন
থেকে বন্ধ দেখতে পেল ৷ সম্রাট তাতে ভড়কে গেলেন এবং বললেন, তাদেরকে আমার কাছে
ফিরিয়ে নিয়ে এসো ৷ তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হল ৷ তখন তিনি তাদেরকে বললেন, “হে
রোমানগণ ! আমি কেবল তোমাদেরকে পবীক্ষার উদ্দেশ্যে এ কথাটি বলছি যেন তোমরা
তোমাদের ধর্মে কতটুকু দৃঢ় আছ৩ তা আচ করতে পারি ৷ এখন আমি কে ৷মাদেরকেএ অবস্থা
দেখে খুশী হলাম ৷” তখন তারা তার সামনে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল ৷ তারপর তাদের জন্যে
প্রাসাদের দ্বার থােল৷ হল এবং তারা বের হয়ে গেল ৷

ইমাম বৃখারী (র) হিরাক্লিয়াসের সাথে আবু সুফিয়ান (রা) এর ন্হার্টনাটি কিছু বর্ধিত কলেবরে
বর্ণনা করেছেন ৷ আমি সহীহ্ বুখারীর উপস্থাপিত সনদ ও শব্দ উল্লেখ সহকারে ঘটনাটি বর্ণনা
করার আশা পোষণ করি ৷ যাতে দুই ঘটনার মধ্যে পুর্বাপর পার্থক্য ও এগুলোর মধ্যে সন্নিবেশিত
তথ্যাদি প্রকাশ পায় ৷

বুখারী (রা) সহীহ্ কিত৷ ৷রে ঈমান অধ্যায়ের পুর্বে৩ তার বর্ণনাটি উল্লেখ করেছেন ৷ তিনি আবুল
ইয়ামান আল হ-াকাম আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) সুত্রে বর্ণনা ৷করেন ৷ তিনি বলেছেন,
আবু সুফিয়ান (রা)ত তার কাছে বর্ণনা করেছেন নিশ্চয়ই রােমক সম্রাট হিরাক্লিয়াস তার কাছে
একজন লোককে প্রেরণ করেন ৷ তিনি কুরায়শের একটি ক ৷ফেলায় ছিলেন ৷ কাফেলার সদস্যগণ
ছিলেন সিরিয়ার ব্যবসায়ী ৷ আর সময়টি ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এবং আবু সুফিয়ান (রা) ও
কুরায়শদের কাফিরদের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির মেয়াদের মধ্যে ৷ তারা তখন সম্রাটের কাছে
আগমন করলেন ৷ সম্রাট তার সভা ৷সদবর্গ নিয়ে ইলিয়ায় অবস্থান করছিলেন ৷ সম্রাট আরবদেরকে
তার মজলিসে ডাকলেন ৷ আর তার পাশেই ছিল রোমের নেতৃতৃস্থুানীয় ব্যক্তিবর্গ ৷ এরপর
দোভা ষীকেও ডাকলেন ৷ তিনি প্রশ্ন করলেনং : তোমাদের মধ্যে কে ঐ লোকটির বংশের দিক দিয়ে
সর্বাধিক নিকটবর্তী যিনি নবী বলে দাবী করেছেন ? আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, আমি বললাম ,
আমি বা শের দিক দিয়ে তাদের মধ্যে তার নিকটতম ৷ সম্রাট বললেন তাকে আমার আরো
নিকটে আনয়ন কর এবং তার সাথীদেরকেও নিকটে নিয়ে এসো ৩৩ তার পিছনের দিকে বসা ও ৷
এরপর তিনি দােত ৷ষীকে বললেন যে, তাদেরকে বলে দাও যে আমি তাকে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে
জিজ্ঞাসাব৷ ৷দ করব যিনি নবী বলে দা ৷বী করেন ৷ যদি সে আমার কা ছে মিথ্যা বলে তাহলে যেন তারা
আমাকে বলে দেয় যে, সে মিথ্যা বলছে ৷ আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ, যদি তারা
আমাকে মিথুাক বলে প্রচার করবে এরুপ আশংকা না থাকত, তাহলে আমি অবশ্যই মিথ্যা
বলতাম ৷ এরপর প্রথম যে প্রশ্নটি সম্রাট আমাকে করেছিলেন, তাহল যে, তোমাদের মধ্যে তার
ৎশ মর্যাদা কীরুগ ? আমি বললাম, তিনি আমাদের মধ্যে স্জ্রাম্ভ বংশের অধিকারী ৷ তিনি
বললেন, তার পুর্বে তোমাদের মধ্যে কি কেউ এরুপ নুবুওয়াণ্ডে র দাবী করেছিল ?’ আমি বললাম,
না’ ৷ তিনি বললেন,৩ তার পুর্বপুরুষদের মধ্যে কি কেউ রাজা ৷ছিল ? আমি বললাম, ’ান ৷ তিনি


لِيُصَلِّيَ فِيهِ، تُبْسَطُ لَهُ الْبُسُطُ، وَتُطْرَحُ لَهُ عَلَيْهَا الرَّيَاحِينُ، حَتَّى انْتَهَى إِلَى إِيلِيَاءَ فَصَلَّى بِهَا، فَأَصْبَحَ ذَاتَ غَدَاةٍ وَهُوَ مَهْمُومٌ، يُقَلِّبُ طَرَفَهُ إِلَى السَّمَاءِ، فَقَالَتْ بِطَارِقَتُهُ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، لَقَدْ أَصْبَحْتَ مَهْمُومًا. فَقَالَ: أَجَلْ. فَقَالُوا: وَمَا ذَاكَ؟ فَقَالَ: أُرِيتُ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ أَنَّ مَلِكَ الْخِتَانِ ظَاهِرٌ. فَقَالُوا: وَاللَّهِ مَا نَعْلَمُ أُمَّةً مِنَ الْأُمَمِ تَخْتَتِنُ إِلَّا الْيَهُودَ، وَهُمْ تَحْتَ يَدَيْكَ وَفِي سُلْطَانِكَ، فَإِنْ كَانَ قَدْ وَقَعَ هَذَا فِي نَفْسِكَ مِنْهُمْ، فَابْعَثْ فِي مَمْلَكَتِكَ كُلِّهَا، فَلَا يَبْقَى يَهُودِيٌّ إِلَّا ضُرِبَتْ عُنُقُهُ، فَتَسْتَرِيحُ مِنْ هَذَا الْهَمِّ، فَإِنَّهُمْ فِي ذَلِكَ مِنْ رَأْيِهِمْ يُدَبِّرُونَهُ، إِذْ أَتَاهُمْ رَسُولُ صَاحِبِ بُصْرَى بِرَجُلٍ مِنَ الْعَرَبِ قَدْ وَقَعَ إِلَيْهِمْ، فَقَالَ: أَيُّهَا الْمَلِكُ، إِنَّ هَذَا الرَّجُلَ مِنَ الْعَرَبِ مَنْ أَهْلِ الشَّاءِ وَالْإِبِلِ، يُحَدِّثُكَ عَنْ حَدَثٍ كَانَ بِبِلَادِهِ، فَاسْأَلْهُ عَنْهُ. فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِ، قَالَ لِتُرْجُمَانِهِ: سَلْهُ مَا هَذَا الْخَبَرُ الَّذِي كَانَ فِي بِلَادِهِ؟ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: رَجُلٌ مِنَ الْعَرَبِ مِنْ قُرَيْشٍ، خَرَجَ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ، وَقَدِ اتَّبَعَهُ أَقْوَامٌ وَخَالَفَهُ آخَرُونَ، وَقَدْ كَانَتْ بَيْنَهُمْ مَلَاحِمُ فِي مَوَاطِنَ، فَخَرَجْتُ مِنْ بِلَادِي وَهُمْ عَلَى ذَلِكَ. فَلَمَّا أَخْبَرَهُ الْخَبَرَ قَالَ: جَرِّدُوهُ. فَإِذَا هُوَ مَخْتُونٌ، فَقَالَ: هَذَا وَاللَّهِ الَّذِي قَدْ أُرِيتُ، لَا مَا تَقُولُونَ، أَعْطِهِ ثَوْبَهُ، انْطَلِقْ لِشَأْنِكَ. ثُمَّ إِنَّهُ دَعَا صَاحِبَ شُرْطَتِهِ، فَقَالَ لَهُ: قَلِّبْ لِيَ الشَّامَ ظَهْرًا لِبَطْنٍ، حَتَّى تَأْتِيَ بِرَجُلٍ مِنْ قَوْمِ هَذَا أَسْأَلُهُ عَنْ شَأْنِهِ. قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَوَاللَّهِ إِنِّي وَأَصْحَابِي لَبِغَزَّةَ، إِذْ هَجَمَ عَلَيْنَا، فَسَأَلَنَا: مِمَّنْ أَنْتُمْ؟ فَأَخْبَرْنَاهُ، فَسَاقَنَا إِلَيْهِ جَمِيعًا، فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ، قَالَ أَبُو سُفْيَانَ: فَوَاللَّهِ مَا رَأَيْتُ مِنْ رَجُلٍ قَطُّ أَزْعُمُ أَنَّهُ كَانَ أَدْهَى مِنْ ذَلِكَ الْأَغْلَفِ - يُرِيدُ هِرَقْلَ - قَالَ: فَلَمَّا انْتَهَيْنَا إِلَيْهِ قَالَ: