আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

كتاب بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم إلى ملوك الآفاق وكتبه إليهم

وقت إرسال الرسل إلى ملوك الآفاق

পৃষ্ঠা - ৩৩২৭

করবে না, কিন্তু আমি ছিলাম একজন সর্দার ও নেতৃস্থানীয় সম্মানিত ব্যক্তি ৷ কাজেই আমি মিথ্যা
বলাটাকে লজ্জাজনক মনে করলাম ৷ আমি আরো জানতাম যে, যিথ্যার মত সামান্য কিছু ত্রুটিও

যদি তারা আমার মধ্যে দেখতে পায়, তাহলে তারা এটা নিয়ে মক্কায় সমালোচনা করবে, এজন্যে
আ ৷মি মিথ্যা বলিনি ৷

তারপর সম্রাট জিজ্ঞেস করলেন, ৩৫ আমাদের মধ্যে যিনি নুবুওতের দা ৷বী করেছেন তার সম্বন্ধে
আমাকে বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশন কর ৷ আবু সুফিয়ান বলেন, আমি তাকে খাটো করে
দেখাবার প্রয়াস পেলাম ৷ তা ই আমি বললাম, আপনার যা কিছু জান র দরকার মনে করেন, তা
জিজ্ঞেস করতে পারেন ৷ তিনি বললেন, তোমাদের মধ্যেত তার বংশ মর্যাদা কেমন ? উত্তরে
আমি শুধুমাত্র বললাম, আমাদের মধ্যে তার বংশ মর্যাদা উত্তম ৷ তিনি ন্,ৱললেন আমাকে তুমি
সংবাদ দাও যে, তা ৷র পরিবারের মধ্যে পুর্বে কেউ এরুপ দ ৷বী করেছিল কি না ? তাহলে বুঝা যেত
যে, তিনি৩ তার অনুকরণ করছেন ৷’ আমি বললাম, না’ ৷ তিনি বললেন আমাকে সংবাদ দাও যে
তার কোন রাজত্ব ছিল কি না-য৷ তোমরা তার থেকে জােরপুর্বক ছিনিয়ে নয়েছ ? সুতরাং এটাকে
তোমাদের থেকে ফেরত নেবার জন্যে৩ তিনি নুবুওভ্রুত র দাবী করছেন ৷ আমি বললাম, না ৷ তিনি
বললেন, তাহলে তার অনুসারীদের ব্যাপারে আমাকে সংবাদ দাও যে তারা কারা ? অ৷ ৷মি বললাম ,
কিশোর , দুর্বল এবং নিঃস্ব গোত্রের লোকেরা ৷ তবে তাদের মধ্যে যারা ভদ্র ও উচ্চ বংশের তারা
তাকে বিশ্বাস করছেন৷ ৷ ’ তিনি বললেন, অড়ামাকে সংবাদ দাও যে, তার অনুসারীরা তাকে
ভালবাসে এব× সম্মান করে কি না ? নাকি তাকে ঘৃংা৷ করে কিৎবা তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ?
আমি বললাম, এমন কোন অনুস৷ ৷রী তার নেই যেত তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ৷ তিনি বললেন
এখন আমাকে তুমি তোমাদের ও তার মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের খবর দাও খতন আমি তাকে
বললাম, যুদ্ধ হচ্ছে একটি পানির বালতির ন্যায় কখনও আমাদের দখলে থাকে আবার কখনও
তার দখলে থাকে ৷ অর্থাৎ পালাক্রমে জয় পরাজয় চলছে ৷ ’ তিনি বললেন, আমাকে সংবাদ দাও
তিনি ওয়াদ৷ ভঙ্গ করেন কি ?’ আবু সুফিয়ান (রা) বললেন “তাকে ওয়াদ৷ ভৎগকারী হিসেবে
চিহ্নিত করার কোন সুযোগ না পেয়ে শুধুমাত্র বললাম, না৩ তবে আমরা তার সাথে একটি চুক্তির
মধ্যে আছি, এ ব্যাপারে কোন নিশ্চয়তা নেই যে, তিনি কোন প্রকার ওয়াদ৷ ভৎগ করবেন না ৷
আল্লাহর শপথ, রোম সম্রাট আমার এ কথার প্রতি কোন কর্ণপাতই করলেন না ৷ ’ আবুসুফিয়ান
র(া) বলেন, তারপর আব৷ র৩ তিনি কথা শুরু করলেন এব× বললেন তুমি বলেছ তিনি তোমাদের
মধ্যে উত্তম ব×শের সন্তান ৷ এরুপে আল্লাহ্ তা আলা নবীপণকে উত্তম ব ×শ হতে মনোনীত
করেন ৷ আমি ওে তামাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তার পরিবার পবিজনের মধ্যে কেউ কি তার মত
এরুপ দাবী করেছে ? তাহলে বুঝতাম যে, তিনিও অনুরুপ বলছেন ৷ তুমি বলেছ, না’ আবার
তোমাকে আমি প্রশ্ন করেছিলাম৩ তার ৷কি কো ন রাজত্ব আছে যা তোমরা তার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছ
? সুতরা× তিনি তার রাজত্ব ফিরে পাবার জন্যে নুবুওয়াতের দাবী করছেন ৷ তুমি উত্তরে বলেছ
না ৷ তোমাকে আমি তার অনুসারীদের সম্বন্ধে জিজ্ঞেস করেছি ৷ উত্তরে তুমি বলেছ, তারা
কিশোর, দুর্বল ও নিঃস্ব গোছের লোকজন ৷ আর সকল যুগের নবীদের অনুসারীর৷ এরুপই
ছিলেন ৷ আবার আমি৫ তামাকে প্রশ্ন করেছি যে, যারা তার অনুসারী তারা কি ভাবে ভালবাসে
এবং সম্মান করে ? না তাকে ঘৃণা করে ও তার থেকে পৃথক হয়ে যায় ? তুমি বলেছ, যারা তার


[كِتَابُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ وَكَتْبِهِ إِلَيْهِمْ] [وَقْتُ إِرْسَالِ الرُّسُلِ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ] بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ كِتَابُ بَعْثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى مُلُوكِ الْآفَاقِ وَكَتْبِهِ إِلَيْهِمْ يَدْعُوهُمْ، إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَإِلَى الدُّخُولِ فِي الْإِسْلَامِ ذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ ذَلِكَ فِي آخِرِ سَنَةِ سِتٍّ فِي ذِي الْحِجَّةِ، بَعْدَ عُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ. وَذَكَرَ الْبَيْهَقِيُّ هَذَا الْفَصْلَ فِي هَذَا الْمَوْضِعِ، بَعْدَ غَزْوَةِ مُؤْتَةَ. وَاللَّهُ أَعْلَمُ. وَلَا خِلَافَ بَيْنَهُمْ أَنَّ بَدْءَ ذَلِكَ كَانَ قَبْلَ فَتْحِ مَكَّةَ وَبَعْدَ الْحُدَيْبِيَةِ، لِقَوْلِ أَبِي سُفْيَانَ لِهِرَقْلَ حِينَ سَأَلَهُ: هَلْ يَغْدِرُ؟ فَقَالَ: لَا، وَنَحْنُ مِنْهُ فِي مُدَّةٍ لَا نَدْرِي مَا هُوَ صَانِعٌ فِيهَا. وَفِي لَفْظٍ لِلْبُخَارِيِّ: وَذَلِكَ فِي الْمُدَّةِ الَّتِي مَادَّ فِيهَا أَبُو سُفْيَانَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: كَانَ ذَلِكَ مَا بَيْنَ الْحُدَيْبِيَةِ وَوَفَاتِهِ، عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ وَنَحْنُ نَذْكُرُ ذَلِكَ هَاهُنَا، وَإِنْ كَانَ قَوْلُ الْوَاقِدِيِّ مُحْتَمَلًا. وَاللَّهُ أَعْلَمُ