আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

مقتل حمزة رضي الله عنه

পৃষ্ঠা - ২৬৪৭

পরবর্তী বছর উহুদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ৷ তখন আমার মালিক জুবায়র আমাকে বলেছিলেন যে,
তুমি যদি আমার নিহত চাচার প্রতিশোধ হিসেবে মুহাম্মাদুদব (সা) চাচা হামযাকে হত্যা করতে পার
তবে তুমি মুক্তি পাবে ৷ কুরায়শী সৈন্যদের সাথে আমি যাত্রা করি ৷ আমি মুলতঃ হাবশী বংশোদ্ভুত
লোক ৷ হাবশী কৌশলে আমি বর্শা নিক্ষেপ করতে পারি যা খুব কমই লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয় ৷ উহুদ
ময়দানে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয় ৷ আমি হামযার খোজে বের হলাম ৷ হঠাৎ আমি তাকে
দুলাকজদুনর মাঝে দেখতে পেলাম ৷ তিনি যেন একটি ধুসর বর্ণের উট ৷৩ তরবারির আঘাতে
শত্রুপদুক্ষর দুলাকজনদুক কেটে কেটে সামনে এগিয়ে যাচ্ছেন ৷ দুকট্টই ৩াদুক প্রতিরোধ করতে
পারছে না ৷ আল্লাহর কসম, আমি তার জন্যে প্রস্তুত হচ্ছিলাম ৷ আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিলেন
তিনি ৷ একটি পাথর কিৎবা বৃক্ষের আড়ালে লুকিয়ে ছিলাম আমি ৷ অপেক্ষা করছিলাম যাতে তিনি
আমার নাগালের মধ্যে আসেন ৷ ইদু৩ ৷মধ্যে সিবা ইবন আবদুল উয্যা তার সম্মুখে গিয়ে
পৌছলেন ৷ তাকে দেখে হু ংকার দুছড়ে হামযা বললেন ও,দুহ খতনাকাবিণীর দুছদুল ৷ এদিকে আয় ৷
অবিলম্বে হাময৷ তাকে আক্রমণ করলেন; বিতু৷ তার মাথায় আঘাত করতে সক্ষম হলেন না ৷
ওয়াহ্শী বলেন, আমি আমার বর্শা তাক করলাম ৷ নিশ্চিত ভাবে লক্ষ্য স্থির করে আমি বর্শা
ছুড়লাম ৷ বর্শা তার নাভিমুলে গিয়ে পড়ল ৷ নাভি ভেদ করে সেটি তার দৃপাদুয়র মাঝখান ভেদ
করে বেরিয়ে পড়ে ৷ তিনি আমাকে আক্রমণ করার জন্যে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করেন ৷ বিক্ষ্ম
তাতে সক্ষম হননি ৷ কিছুক্ষণ আমি অপেক্ষা করি ৷ বর্শাবিদ্ধ অবস্থায় তাকে থাকতে দিই ৷
অবশেষে তিনি মারা যান ৷ এরপর আমি তার নিকট আ সি এবং আমার বর্শাটি খুলে নেই ৷ পরে
আমি স্বগােত্রীয় সৈন্যদের সাথে মিলিত হই ৷ সেখানে বিশ্রাম গ্রহণ করি ৷ আমার অন্য কোন দায়-
দায়িতৃ ছিল না ৷ আমি তাকে হত্যা করেছিলাম যাতে আমি দাসতু থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি ৷
যুদ্ধ শেষে মক্কায় আসার পর আমি মুক্তি লাভ করি , এবং সেখানে অবস্থান করতে থাকি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন মক্কা জয় করেন তখন আমি তাদুয়দুফ পালিয়ে যাই ৷ সেখানেই আমি
অবস্থান করছিলাম ৷ তাদুয়দুফব লোকজন যখন ইসলাম গ্রহণের জন্যে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর
উদ্দেশ্যে যাত্রা করল তখন আমি সংকটাপন্ন হয়ে পড়লাম ৷ আমার বসবাসের স্থান সংকুচিত হয়ে
এল ৷ আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সিরিয়া কিত্বা ইয়ামান কিৎবা অন্য কোন দেশে চলে যাওয়ার ৷ আমি
এমন চিন্তাভাবনায় ছিলাম এমন সময় একজন লোক আমাকে বলল, আল্লাহ্র কসম , মুহাম্মাদ
(সা) তাে তার দীন গ্রহণকারী এবং সত্যের সাক্ষ্যদানকারী কাউকে হত্যা করেন না ৷ এ সংবাদ
অবগত হয়ে আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সাক্ষাতের জন্যে যাত্রা করি ৷ আমি মদীনায় তার
নিকট পৌছি ৷৩ তার নিকট র্দাড়িদুয় আমি সত্যের সাক্ষ্য দিচ্ছি এটা দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) হতচকিত
হয়ে পড়লেন ৷ তিনি আমাকে বললেন, “তুমি কি ওয়াহ্শী ? আমি বললাম জী ইা,৩ তাই ইয়া
রাসুলাল্লাহ্! তিনি বললেন, তবে আমার নিকট বস এবং হামযা (রা) কে তুমি কীভাবে হত্যা
করেছ তা ৷আমার নিকট খুলে বল! আমি এখন তোমাদের নিকট যা বললাম রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকটও ঠিক তাই বলেছিলাম ৷ আমার বর্ণনা শেষ হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) আমাকে
বলেছিলেন, তোমার মুখমণ্ডল তুমি আমার দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখদুব ৷ আমি যেন তোমার
মুখমণ্ডল দেখতে না পাই ৷ তখন থেকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) দুযখড়াদুনই থাকদু৩ ন সেখানে আমি
মুখমণ্ডল ঢেকে রাখতন্নে যাতে আমার চেহারা তার নজরে না পড়ে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর ইনতি-


رَفَعْتُكَ إِلَيْهَا، فَوَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ وَقَفْتَ عَلَيَّ فَعَرَفْتُهُمَا. قَالَ: فَجَلَسْنَا إِلَيْهِ فَقُلْنَا: جِئْنَاكَ لِتَحَدِّثَنَا عَنْ قَتْلِكَ حَمْزَةَ كَيْفَ قَتَلْتَهُ؟ . فَقَالَ: أَمَا إِنِّي سَأُحَدِّثُكُمَا كَمَا حَدَّثْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ سَأَلَنِي عَنْ ذَلِكَ ; كُنْتُ غُلَامًا لِجُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ وَكَانَ عَمُّهُ طُعَيْمَةُ بْنُ عَدِيٍّ قَدْ أُصِيبَ يَوْمَ بَدْرٍ فَلَمَّا سَارَتْ قُرَيْشٌ إِلَى أُحُدٍ قَالَ لِي جُبَيْرٌ: إِنْ قَتَلْتَ حَمْزَةَ عَمَّ مُحَمَّدٍ بِعَمِّي، فَأَنْتَ عَتِيقٌ. قَالَ: فَخَرَجْتُ مَعَ النَّاسِ، وَكُنْتُ رَجُلًا حَبَشِيًّا أَقْذِفُ بِالْحَرْبَةِ قَذْفَ الْحَبَشَةِ، قَلَّمَا أُخْطِئُ بِهَا شَيْئًا، فَلَمَّا الْتَقَى النَّاسُ خَرَجْتُ أَنْظُرُ حَمْزَةَ وَأَتَبَصَّرُهُ، حَتَّى رَأَيْتُهُ فِي عَرْضِ النَّاسِ كَأَنَّهُ الْجَمَلُ الْأَوْرَقُ، يَهُدُّ النَّاسَ بِسَيْفِهِ هَذَا مَا يَقُومُ لَهُ شَيْءٌ، فَوَاللَّهِ إِنِّي لَأَتَهَيَّأُ لَهُ، أُرِيدُهُ وَأَسْتَتِرُ مِنْهُ بِشَجَرَةٍ أَوْ بِحَجَرٍ لِيَدْنُوَ مِنِّي، إِذْ تَقَدَّمَنِي إِلَيْهِ سِبَاعُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى فَلَمَّا رَآهُ حَمْزَةُ قَالَ: هَلُمَّ إِلَيَّ يَا ابْنَ مُقَطِّعَةِ الْبُظُورِ. قَالَ: فَضَرَبَهُ ضَرْبَةً كَأَنَّمَا أَخْطَأَ رَأْسَهُ. قَالَ: وَهَزَزْتُ حَرْبَتِي، حَتَّى إِذَا رَضِيتُ مِنْهَا دَفَعْتُهَا عَلَيْهِ، فَوَقَعَتْ فِي ثُنَّتِهِ حَتَّى خَرَجَتْ مِنْ بَيْنِ رِجْلَيْهِ، وَذَهَبَ لِيَنُوءَ نَحْوِي فَغُلِبَ، وَتَرَكْتُهُ وَإِيَّاهَا حَتَّى مَاتَ، ثُمَّ أَتَيْتُهُ فَأَخَذْتُ حَرْبَتِي، ثُمَّ رَجَعْتُ إِلَى الْعَسْكَرِ، وَقَعَدْتُ فِيهِ، وَلَمْ يَكُنْ لِي بِغَيْرِهِ حَاجَةٌ، إِنَّمَا قَتَلْتُهُ لَأُعْتَقَ، فَلَمَّا قَدِمْتُ مَكَّةَ عُتِقْتُ ثُمَّ أَقَمْتُ، حَتَّى إِذَا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ هَرَبْتُ إِلَى الطَّائِفِ فَكُنْتُ بِهَا، فَلَمَّا خَرَجَ وَفْدُ الطَّائِفِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ