আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة مؤتة

فضل الأمراء الثلاثة زيد وجعفر وعبد الله رضي الله عنهم

পৃষ্ঠা - ৩৩১২

সামষ্টিক ও দ্বন্দু যুদ্ধে অত্যন্ত পারদর্শী, অত্যাচার উৎপীড়নের কালে অত্যন্ত ধৈর্যশীল ৷ যখন
সতোর উপর বিপর্যয় নেমে আসে তখন সত্যের প্রতি অত্যন্ত অনুগত ও অবিচল ৷ মিথ্যার কাছে
আপােষহীন, অত্যন্ত শক্তিশালী, কটুবাক্য প্রায়াগে অত্যন্ত বিরল, বদান্যতাব ক্ষেত্রে সকলের চেয়ে
অগ্রগামী, দানের দিক্ দিয়ে অধিক সিক্ত, মুহস্ফোদুর রাসুলুল্লাহ্ (সা) ব্যতীত বিশ্বের জীবিতদের
মধ্য হতে কেউ তার সমতুল্য নেই ৷

আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) ইবন সালাবাহ ইবন ইমরুল কারন ইবন আমর ইবন ইমরুল
কায়স ইবন মালিক ইবন আল-আপার, ইবন সালাবা ইবন কাব ইবন খাঘৃরাজ ইবন হারিছ ইবন
খায্রাজ আবুযুহাম্মাদ ৷ কেউ কেউ বলেন, আবু রাওয়াহা ৷ আবার কেউ কেউ বলেন, আবুআমর
আল-আনৃসারী আন-খায্রাব্জী ৷ তিনি নুমান ইবন বাশীরের মামা ৷ তার বোন আমরা বিনত
রাওয়াহা (রা) ৷ তিনি ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমান হন এবং আকবোর শপথে উপস্থিত ছিলেন ৷
ঐ রাতে তিনি হারিছ ইবন খাবৃরাজ গোত্রের একজন নকীব নিযুক্ত হয়েছিলেন ৷ বদর, উহুদ,
খন্দক হুদায়বিয়া ও খায়বারের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন ৷ রান্যুপুল্লাহ্সো) র্তাকে খায়বাবের
ফসলাদিব পাওনা নির্ধারণের গুরুত্বপুর্ণ কাজে প্রেরণ করতেন তিনি কাযার উমরা পালনে অংশ
গ্রহণ করেছিলেন এবং ঐ দিন রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর উন্তীর লাপাম ধরে মক্কায় প্রবেশ করেছিলেন ৷

ণ্ষ্ওন্ অর্থাৎ হে কাফিরের ণ্গাষ্ঠী ! রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর রাস্তা থেকে সরে পড় মুতার
যুদ্ধে যেসব আমীর শাহাদত বরণ করেছিলেন তিনি তাদের মধ্যে একজন ৷ যঞ্চা মুসলমানগণ
হামলা করার ব্যাপারে সলা-পরামর্শ করছিলেন তখন রোমানদের মুকম্রবিলার জন্য তিনি
মুসলমানদেরকে উৎসাহিত করেছিলেন এবং নিজকেও উদ্দীপ্ত করেছিলেন ৷ তাই তার পুর্ববর্তী
দুইজন সেনাপতি নিহত হওয়ার পরও তিনি সেনাপতি হিসেবে যুদ্ধে অবতরণ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(যা) তার শাহাদতের সাক্ষ্য দিয়েছেন কাজেই যারা জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা পেয়েছেন তিনি
র্তাদের মধ্যে অন্যতম ৷

বর্ণিত রয়েছে যে, মুতার যুদ্ধের প্রাক্কালে বিদায়কালে আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (বা) রাসুলুল্লাহ্
(না)-কে উদ্দেশ্য করে বলেন : “আল্লাহ তাআলা আপনাকে যে উত্তম জিনিস দান করেছেন তার
মধ্যে যেন আপনাকে দৃঢ়তা দান করেন ৷ যেমন মুসা ( আ)-কে দৃঢ়তা দান করা হয়েছিল ৷ আর
আপনাকেও অনুরুপ সাহায্য প্রদান করা হয় যেমন সাহায্য প্রদান করা হয়েছিল হযরত মুসা
(আ)-কে ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) ও র্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, তােযাকেও যেন আল্লাহ তাআলা
দৃঢ়তা প্রদান করেন ৷ হিশাম ইবন ওরওছুা৷ (রা) বলেন, সত্যি সত্যি আল্পাহ্ তাআলা তাকে দৃঢ়তা
দান করেন ও তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন ৷

হপোদ ইবন যায়িদ আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন ৷ তিনি
বলেন, একদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দিচ্ছিলেন ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) মসজিদে
উপস্থিত হলেন এবং শুনতে পেলেন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলছেন, ভোমরা বসে পড় ৷’ তিনি
মসজিদের বাইরে তীর নিজ জায়গায় বসে গেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা শেষ করলেন এবং
আবল্লোহ্ ইবন রাওয়াহা (রা)-এর ঘটনা জানতে পারলেন তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, আল্লাহ্ ও


قُطِعَتْ يَدُهُ الْيُمْنَى ثُمَّ الْيُسْرَى وَهُوَ مُمْسِكٌ اللِّوَاءَ، فَلَمَّا فَقَدَهُمَا احْتَضَنَهُ حَتَّى قُتِلَ وَهُوَ كَذَلِكَ. فَيُقَالُ: إِنْ رَجُلًا مِنَ الرُّومِ ضَرَبَهُ بِسَيْفٍ فَقَطَعَهُ بِاثْنَتَيْنِ. رَضِيَ اللَّهُ عَنْ جَعْفَرٍ وَلَعَنَ قَاتِلَهُ، وَقَدْ أَخْبَرَ عَنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَنَّهُ شَهِيدٌ، فَهُوَ مِمَّنْ يُقْطَعُ لَهُ بِالْجَنَّةِ. وَجَاءَ فِي الْأَحَادِيثِ تَسْمِيَتُهُ بِذِي الْجَنَاحَيْنِ. وَرَوَى الْبُخَارِيُّ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا سَلَّمَ عَلَى ابْنِهِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ يَقُولُ: السَّلَامُ عَلَيْكَ يَا ابْنَ ذِي الْجَنَاحَيْنِ. وَبَعْضُهُمْ يَرْوِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ نَفْسِهِ، وَالصَّحِيحُ مَا فِي " الصَّحِيحِ " عَنِ ابْنِ عُمَرَ. قَالُوا: لِأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى عَوَّضَهُ عَنْ يَدَيْهِ بِجَنَاحَيْنِ فِي الْجَنَّةِ. وَقَدْ تَقَدَّمَ بَعْضُ مَا رُوِيَ فِي ذَلِكَ. قَالَ الْحَافِظُ أَبُو عِيسَى التِّرْمِذِيُّ: حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: «قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " رَأَيْتُ جَعْفَرًا يَطِيرُ فِي الْجَنَّةِ مَعَ الْمَلَائِكَةِ» وَتَقَدَّمَ فِي حَدِيثٍ أَنَّهُ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُتِلَ وَعُمْرُهُ ثَلَاثٌ وَثَلَاثُونَ سَنَةً. وَقَالَ ابْنُ الْأَثِيرِ فِي " الْغَابَةِ ": كَانَ عُمْرُهُ يَوْمَ قُتِلَ إِحْدَى وَأَرْبَعِينَ سَنَةً. قَالَ: وَقِيلَ غَيْرَ ذَلِكَ. قُلْتُ: وَعَلَى مَا قِيلَ: إِنَّهُ كَانَ أَسَنَّ مِنْ عَلِيٍّ بِعَشْرِ سِنِينَ يَقْتَضِي أَنَّ