আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثمان من الهجرة النبوية

غزوة مؤتة

وقتها

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩২৭২

জন্যে ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন, “আল্লাহ্র
পথে জিহাদে এক সকাল কিৎবা এক বিকাল বেলা অবস্থান করা, দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু
আছে তার চেয়েও গ্রেয় ৷

ইমাম আহমদ (র) অন্য এক সনদে ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন,
“রাসুলুল্লাহ্ (সা) একদা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা)-কে একটি সৈন্যদলের সাথে প্রেরণ
করেন ৷ ঘটনাক্রমে ঐ দিবসটি জ্জি জুমুআর দিন ৷ তার সংগীগণ রওয়ান হয়ে গেল; কিন্তু তিনি
মনেমনে বলেন, “আমি পিছনে থেকে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাথে জুষুআর সালাত আদায় করে
পরে তাদের সাথে মিলিত হব ৷ যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুযুআর সালাত আদায় করে তাকে
দেখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার সাথীদের সাথে রওয়ানা হতে রুিসে তোমাকে বারণ
করল” ৷ তিনি উত্তরে বলেন, “আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, আপনার সাথে জুমুআর সালাত আদায়
করে তাদের সাথে মিলিত হব ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, , ):, ,র্মু ৷ প্রুএ ; মোঃ ৷ ,
“সারা পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা যদি তুমি খরচ করে ফেলতে
তবু তুমি তাদের সাথে সকালে রওয়ান৷ হয়ে যাওয়ার পুণ্য লাভ করতে পারতে না ৷ উপরোক্ত
বর্ণনার ব্যাপারে তিরমিষী মধ্যন্থিত একজন বর্ণনাকারী সম্বন্ধে অভিযোগ পেশ করার গ্রন্থকারের
অভিমত হচ্ছে, এখানে এ বর্ণনাটি উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রমাণ করা যে, মুতার উদ্দেশ্যে
ইসলামী সৈন্যদলের রওয়ান৷ হওয়ার দিন ছিল শুক্রবার বা জ্বযুআর দিন ৷

ইবন ইসহাক বলেন, এরপর সৈন্যদল চলতে লাগল এবং সিরিয়ার মাআন নামক স্থানে
অবতরণ করল ৷ তাদের কাছে সংবাদ পৌছচ্ন্৷ যে, হিরাক্লিয়াস রোম সম্রাট থােদ এক লাখ রোমান
সৈন্য নিয়ে বালকা নামক এলাকায় পৌছে গিয়েছেন ৷ বনু লাখাম, জুযাম , বালকীন, রাহরা ও বালী
ত্যাদি মিলে আরো এক লাখ সৈন্য রোমানদের সাথে যোগ দেয় ৷ বালী গোত্রের সৈন্য
রোমানদের সাথে যোগ দেয় ৷ বালী গোত্রের এক ব্যক্তি তাদের নেতৃত্বে ছিল ৷ তারপর তাদের
নেতৃত্বে আসীন হয় আহমদ রাশা ওরফে মালিক ইবন রাফিলা ৷

ইবন ইসহাকের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে যে, মুসলমানদের কাছে সংবাদ পৌছল যে,
হিরাক্লিয়াস রোমান সৈন্য এক লাখ ও আরব ভুখণ্ডে বসবাসকারী অনারব সৈন্য আরো এক লাখ
নিয়ে মাআনে পৌছে গেছেন ৷ যখন মুসলমানদের কাছে এ সংবাদ পৌছল তখন তীরা মাআনে
অবস্থান করে দুইদিন পর্যন্ত আলোচনা ও পর্যালোচনা চালিয়ে যান ৷ তারা বলাবলি করতে লাগলেন,
আমাদের দৃশমনের সংখ্যা অবগত করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর কাছে পত্র লিখা দরকার ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) লোক লস্কর প্রেরণ করে আমাদের সাহায্য করবেন অথবা যা কিছু আমাদেরকে করতে
বলবেন আমরা তইি করব ৷ রাৰী বলেন, আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) সৈন্যদলকে উৎসাহিত
করতে লাগলেন এবং বললেন, হে আমার দলের লোকেরা ! আল্লাহ্র শপথ, তোমরা যে
শাহাদতের জন্যে বের হয়েছ এটাকে তোমরা এখন অপসন্দ করছে৷ ! আমরা সংখ্যা ও শজ্যি
কথা চিন্তা করে জিহাদ করিনা ৷ আমরা কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি একমাত্র দ্বীনের জন্যে
যার দ্বারা আল্লাহ্ আমাদেরকে সম্মানিত করেছেন ৷ চল, আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি ! এতে রয়েছে
আমাদের জন্যে দুটি মংগলের যে কোন একটি ৷ হয় বিজয়, না হয় শাহাদত ৷ রাবী বলেন,


مَعَ النَّاسِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ أَمِيرُ النَّاسِ، فَإِنْ قُتِلَ زَيْدٌ فَجَعْفَرُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ، فَإِنْ قُتِلَ جَعْفَرٌ فَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ، فَإِنْ قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ فَلْيَرْتَضِ الْمُسْلِمُونَ بَيْنَهُمْ رَجُلًا، فَلْيَجْعَلُوهُ عَلَيْهِمْ ". فَقَالَ النُّعْمَانُ: أَبَا الْقَاسِمِ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا، فَلَوْ سَمَّيْتَ مَنْ سَمَّيْتَ قَلِيلًا أَوْ كَثِيرًا، أُصِيبُوا جَمِيعًا، إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ كَانُوا إِذَا سَمَّوُا الرَّجُلَ عَلَى الْقَوْمِ، فَقَالُوا: إِنْ أُصِيبَ فُلَانٌ فَفُلَانٌ، فَلَوْ سَمَّوْا مِائَةً أُصِيبُوا جَمِيعًا. ثُمَّ جَعَلَ الْيَهُودِيُّ يَقُولُ لِزَيْدٍ: اعْهَدْ فَإِنَّكَ لَا تَرْجِعُ أَبَدًا، إِنْ كَانَ مُحَمَّدٌ نَبِيًّا. فَقَالَ زَيْدٌ: أَشْهَدُ أَنَّهُ نَبِيٌّ صَادِقٌ بَارٌّ» رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَلَمَّا حَضَرَ خُرُوجُهُمْ، وَدَّعَ النَّاسُ أُمَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَلَّمُوا عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا وُدِّعَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ مَعَ مَنْ وُدِّعَ بَكَى، فَقَالُوا: مَا يُبْكِيكَ يَا ابْنَ رَوَاحَةَ؟ فَقَالَ: أَمَا وَاللَّهِ مَا بِي حُبُّ الدُّنْيَا وَلَا صَبَابَةٌ بِكُمْ، وَلَكِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقْرَأُ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللَّهِ يَذْكُرُ فِيهَا النَّارَ: {وَإِنْ مِنْكُمْ إِلَّا وَارِدُهَا كَانَ عَلَى رَبِّكَ حَتْمًا مَقْضِيًّا} [مريم: 71] (مَرْيَمَ: 71) ، فَلَسْتُ أَدْرِي كَيْفَ لِي بِالصَّدَرِ بَعْدَ الْوُرُودِ؟ فَقَالَ الْمُسْلِمُونَ: صَحِبَكُمُ اللَّهُ وَدَفَعَ عَنْكُمْ، وَرَدَّكُمْ إِلَيْنَا صَالِحِينَ. فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ: لَكِنَّنِي أَسْأَلُ الرَّحْمَنَ مَغْفِرَةً ... وَضَرْبَةً ذَاتَ فَرْغٍ تَقْذِفُ الزَّبَدَا