আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

عمرة القضاء

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩২৪৩

সুন্নত হিসেবে পরিগণিত হয় ৷ রাবী আবুতু ফায়ল বলেন, ইবন আব্বাস (বা) বর্ণনা করেছেন যে,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হয়ুজ্জও এরুপ রমল করেছেন ৷ এটি ইমাম আহমদ (র) এর একক বর্ণনা ৷

ইমাম মুসলিম ও ইবন আব্বাস (বা ) হতে অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷ জমহুর উলামাব
মতে তওয়াফে রমল করা সুন্নত ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাযার উম রা পালনের সময় রমল
করেছেন ৷ জিয়িরানার উমরা পালনের সময়ও রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তওয়াফে রমল করেছেন ৷ ইমাম
আবুদাউদ এবং ইমাম ইবন মাজাহ ও ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম
মুসলিম প্রমুখ জা ৷বির (বা) হতে তও বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিদায় হবুজ্জর তওয়াফে
রমল ব রেছেন ৷ উমর (রা ) রমল সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছেন, এখন আর রমলের কী
প্রয়োজন ? আল্লাহ্ তাআলা তো ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন ৷ তা সত্বেও রাসুলুল্পাহ্ (সা)
কোন কাজ করেছেন বলে প্রমাণিত হলে আমরা যে কাজ করা থেকে বিরত থাকা না ৷ এ বিষয়ে
কিতাবৃল আহকামে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে ৷

প্রসিদ্ধ মতে ইবন আব্বাস (বা) তওয়াফে রমল করাকে সুন্নত মনে করতেন না ৷ সহীহ্
বুথারী ও মুসলিমে ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা রয়েছে যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাবা
ঘর ও সাফ৷ মারওয়৷ পাহাড়দ্বয়ে যে সাঈ করেছেন তা মুশরিকদের কাছে মুসলমানদের শক্তি
প্রদর্শন করার জন্যে ৷ এটা হচ্ছে বুখাবীর ভাষ্য ৷

ওয়াকিদী বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) কাযার উমরা পালনের সময় যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন
করে কাব৷ ঘরে প্রবেশ করলেন এবং সেখানে বেশ কিছুক্ষণ অবস্থান করলেন ৷ বিলাল (রা)

কা বার ছাদে উঠে যুহরের সালাতের আযান দেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)৩ তাকে এরুপ করার নির্দেশ
দিয়েছিলেন ৷ ইকরাম৷ ইবন আবু জাহ্ল বলল, আল্লাহ্ আবুল হ ৷কাম ( আবু জাহ্ল) কে মৃত্যু দান
করে সম্মানিত করেছেন; কেননা, এই দাসের উচ্চারিত শব্দমাল৷ তাকে শুনতে হচ্ছে না ৷
সাফ্ওয়ান ইবন উমইিয়া বলল, আল্লাহর জন্যে সমস্ত প্রশংসা, যিনি আমার পিতাকে এসব দেখার
পুর্বে উঠিয়ে নিয়ে গেছেন ৷ ’ খালিদ ইবন ওসায়দ বলল, “আল্লাহর জন্যে সমস্ত প্রশংসা, যিনি
আমার পি৩ ৷কে মৃত্যুদান করেছেন ৷ কেননা, আজ ঘরের ছাদে দাড়িয়ে বিলাল যে হাক দিচ্ছে তা
তাকে দেখতে হয়নি ৷” সুহায়ল ইবন আমর ও তার সাথে কিছু সংখ্যক লোক যখন আযানের

আওয়ায শুনল, তখন তারা তাদের চেহারা ঢেকে নিল ৷ হাফিয বায়হাকী (র ) বলেন, পরবর্তীকালে
প্রায় সকলেই তাদের আল্লাহ্ তাআলা ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে সম্মানিত করেছেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, ওয়াকিদীর মাধ্যমে বায়হাকী (র) উল্লেখ করেছেন যে, এটি ছিল কাযার
উমরা পালনের ঘটনা; কিন্তু প্রসিদ্ধ অভিমত হল যে, এ ঘটনাটি মক্কা বিজয়ের বছর ঘটেছিল ৷
আল্লাহ্তাআলাই অধিক জ্ঞাত ৷

মায়মুনা (ৱা)এর সাথে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর বিবাহের ঘটনা

ইবন ইসহাক ইবন আব্বাস (বা) হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তার এ সফরে (কাযার উমরাহ) হযরত মায়মুনা বিনৃত হারিছ (রা)-কে বিবাহ করেন ৷ তিনি
ছিলেন (ইহরামের অবস্থায়) ৷ আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব র্তাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
বিবাহ দেন ৷


بِشِعْرِهِ وَيَقُولُ: خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ » إِلَى آخِرِهِ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: «قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ صَبِيحَةَ رَابِعَةٍ - يَعْنِي مِنْ ذِي الْقَعْدَةِ سَنَةَ سَبْعٍ - فَقَالَ الْمُشْرِكُونَ: إِنَّهُ يَقْدَمُ عَلَيْكُمْ وَفْدٌ قَدْ وَهَنَتْهُمْ حُمَّى يَثْرِبَ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ الثَّلَاثَةَ، وَأَنْ يَمْشُوا مَا بَيْنَ الرُّكْنَيْنِ، وَلَمْ يَمْنَعْهُ أَنْ يَرْمُلُوا الْأَشْوَاطَ كُلَّهَا إِلَّا الْإِبْقَاءُ عَلَيْهِمْ» . قَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ، يَعْنِي ابْنَ زَكَرِيَّا، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي الطُّفَيْلِ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا نَزَلَ مَرَّ الظَّهْرَانِ فِي عُمْرَتِهِ، بَلَغَ أَصْحَابَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ قُرَيْشًا تَقُولُ: مَا يَتَبَاعَثُونَ مِنَ الْعَجَفِ. فَقَالَ أَصْحَابُهُ: لَوِ انْتَحَرْنَا مِنْ ظَهْرِنَا، فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ، وَحَسَوْنَا مِنْ مَرَقِهِ، أَصْبَحْنَا غَدًا حِينَ نَدْخُلُ عَلَى الْقَوْمِ وَبِنَا جَمَامَةٌ. فَقَالَ: " لَا تَفْعَلُوا، وَلَكِنِ اجْمَعُوا لِي مِنْ أَزْوَادِكُمْ ".