আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

عمرة القضاء

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩২৩৮

অতঃপর রাবী হামযা (রা) এর কন্যার ঘটনা বর্ণনা করেন এবং বলেন, “কাযার উমরা সম্বন্ধে
আল্লাহ ৷
)০ান্ অর্থাৎ পবিত্র মাস পবিত্র মাসের বিনিময়ে সমস্ত পবিত্র বিষয় যার অবমাননা নিষিদ্ধ তার
জন্যে কি সাস ৷ (২ সুরা বাকারাং ১৯) পরবর্তীতে রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) যে পবিত্র মাসে বাধাপ্রস্ত হন
যে মাসেই উমরা আদায় করেন ৷

ইবন লাহীআ অন্য এক সনদে উপরোক্ত ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ বিভিন্ন হাদীছেও এ ঘটনার
সমর্থন পাওয়া যায় ৷ সহীহ্ বুখারীতে ইবন উমর (বা) হতে ৩বর্ণিভ্র রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
উমরাহ এর উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হন, কিন্তু কুরায়শের কাফিরবা হুদায়বিয়া নামক স্থানে র্তাকে
বাধা প্রদান করে ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) সেখানেই কুরবানী করেন ও মাথা মুন্ডন করেন৷ আর
কাফিরদের সাথে সন্ধি মৃত তাবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, পরবর্তী বছর তিনি উমরা পালন করবেন
এবং সৎগে তলোয়ার ব্যতীত অন্য কোন অস্ত্র বহন করবেন না ৷ য়তদিন মুশরিকগণ পসন্দ করবে
ততদিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) মক্কায় অবস্থান করবেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ (সা ) পরবর্তী বছর উমরা
পালনার্থে মুশরিকদের সাথে কৃত সন্ধি মুতাবিক মক্কায় প্রবেশ করেন ৷ তথায় তিন দিন অবস্থান
করার পর মুশরিকর৷ র্তাকে বের হয়ে যেতে বললে, তিনি বের হয়ে যান ৷

ওয়াকিদী — ইবন উমর (বা) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, এটা কাযার উমরা পালন
ছিলনা; বরং এটা ছিল মুসলমানদের উপর একটি শর্ত যে যে সালে তারা মুশরিকগণ কর্তৃক
বাধাগ্রুস্ত হয়েছিলেন ঠিক ঐ মাসেই তারা পরবর্তী বছর উমরা পালন করবেন ৷

আবু দাউদ (র) মাইমুন ইবন মিহ্রাণ (র) হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, যে
বছর সিরিয়ার অধিবাসীরা আবদুল্লাহ্ইবন যুবায়র (বা) কে মক্কায় অবরোধ করেছিল সে বছর আমি
উমরা পালনের জান্য ঘর থেকে বের হলাম ৷ আমার সম্প্রদায়ের কিছু সংখ্যক লোক আমার সাথে
তাদের কৃরবানীর পশু প্রেরণ করেন ৷” তিনি আরো বলেন, যখন সিরীয় সেনাদলের কাছে আমি
পৌছলাম তখন তারা আমাকে হেরেম শরীফে প্রবেশে বাধা কিং ৷ তখন আমি যে স্থানেই কুরবানী
করলাম ও হালাল হলাম এবং বাড়ী ফিরে আসলাম ৷ পরের বছর গত বছরের উমরা পালন করার
জন্যে আমি ঘর থেকে বের হলাম ৷ এরপর আমি ইবন আব্বাস (রা)-এর কাছে হাযির হয়ে
কুরবানী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম ৷ তিনি বললেন, “গত বছরের কুরবানীর পরিবর্তে নতুন করে
এ বছর একটি কুরবানী আদায় কর ৷ কেননা, রাসুলুল্লাহ (সা) সাহাবায়ে কিরামকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন যে, হুদায়বিয়ার বহ্ব যে কুরবানী দিয়েছ তার পরিবর্তে এ বছর কাযার উমরা পালনের
সময়ও কুরবানী কর ৷” এটি আবু দাউদ (র)-এর একক বর্ণনা ৷

হাফিয বায়হাকী (র) আমর ইবন মায়মুন হতে বর্ণনা করেন ৷ তিনি বলেন, “আমার
পিতা উমরা পালনকারী বহু লোককে জিজ্ঞেস করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) হুদায়বিয়ায় অবরুদ্ধ হয়ে
যে কুরবানী করেছিলেন পরের বছর কি তার পরিবর্তে অন্য একটি কুরবানী করেছিলেন : কিন্তু
কারোর কাছে উত্তর পেলেন না ৷ পরে আমি তার কাছে শুনেছি যে, তিনি আবু হাযির
আল-হিমৃইয়ারীকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন ৷ তিনি তাকে বলেন, অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিবেইি
তৃমি জিজ্ঞেস করেছ ৷ ইবন যুবায়র (রা)-কে যে বছর অবরোধ করা হয় সে বছর আমি হজ্জ


الْعَامِرِيَّةِ، فَخَطَبَهَا عَلَيْهِ، فَجَعَلَتْ أَمْرَهَا إِلَى الْعَبَّاسِ، وَكَانَ تَحْتَهُ أُخْتُهَا أُمُّ الْفَضْلِ بِنْتُ الْحَارِثِ، فَزَوَّجَهَا الْعَبَّاسُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ: " اكْشِفُوا عَنِ الْمَنَاكِبِ، وَاسْعَوْا فِي الطَّوَافِ ". لِيَرَى الْمُشْرِكُونَ جَلَدَهُمْ وَقُوَّتَهُمْ، وَكَانَ يُكَايِدُهُمْ بِكُلِّ مَا اسْتَطَاعَ، فَاسْتَكَفَّ أَهْلُ مَكَّةَ، الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ، يَنْظُرُونَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابِهِ، وَهُمْ يَطُوفُونَ بِالْبَيْتِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ يَرْتَجِزُ بَيْنَ يَدَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَوَشِّحًا بِالسَّيْفِ وَهُوَ يَقُولُ: خَلُّوا بَنِي الْكُفَّارِ عَنْ سَبِيلِهِ ... أَنَا الشَّهِيدُ أَنَّهُ رَسُولُهُ قَدْ أَنْزَلَ الرَّحْمَنُ فِي تَنْزِيلِهِ ... فِي صُحُفٍ تُتْلَى عَلَى رَسُولِهِ فَالْيَوْمَ نَضْرِبُكُمْ عَلَى تَأْوِيلِهِ ... كَمَا ضَرَبْنَاكُمْ عَلَى تَنْزِيلِهِ ضَرْبًا يُزِيلُ الْهَامَ عَنْ مَقِيلِهِ ... وَيُذْهِلُ الْخَلِيلَ عَنْ خَلِيلِهِ قَالَ: وَتَغَيَّبَ رِجَالٌ مِنْ أَشْرَافِ الْمُشْرِكِينَ أَنْ يَنْظُرُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، غَيْظًا، وَحَنَقًا، وَنَفَاسَةً، وَحَسَدًا، وَخَرَجُوا إِلَى الْخَنْدَمَةِ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ وَأَقَامَ ثَلَاثَ لَيَالٍ، وَكَانَ ذَلِكَ آخِرَ الْقَضِيَّةِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ فَلَمَّا أَنْ أَصْبَحَ مِنَ الْيَوْمِ الرَّابِعِ أَتَاهُ سُهَيْلُ بْنُ عَمْرٍو، وَحُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي مَجْلِسِ الْأَنْصَارِ يَتَحَدَّثُ مَعَ سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، فَصَاحَ حُوَيْطِبُ بْنُ عَبْدِ الْعُزَّى: نُنَاشِدُكَ اللَّهَ وَالْعَقْدَ لَمَا خَرَجْتَ مِنْ أَرْضِنَا، فَقَدْ مَضَتِ الثَّلَاثُ. فَقَالَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ كَذَبْتَ، لَا أُمَّ لَكَ، لَيْسَ بِأَرْضِكَ وَلَا