আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

معاملة النبي يهود خيبر

পৃষ্ঠা - ৩২১৪
আল-বিদায়া ওয়ান ননিহায়া ৩৮৭

রাওয়াহা (রা)-কে প্রেরণ করতেন এবং তিনি ন্যায্যভাবে ফল-ফসলাদি বন্টন করতেন ৷ রাসুলুল্লাহ
(সা) এর ওফাতের পর আবুবকর (রা)৩ ংা ৩ার ওফাত পর্যন্ত তাদেরকে রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর সাথে
যে চুক্তি হয়েছিল সে চুক্তি মুত তাবিক থাকতে ৩দেন ৷ উমর (রা) ওত গুার থিলাফতের প্ৰথমাংশে
তাদেরকে পুর্বের ন্যায় থাকতে দেন; কিন্তু যখন এ হাদীছটি৩ারানিকট পৌছল যে, রাসুলুল্লাহ্
(সা) অস্তিমা ায্যায় বলেছেন, “আরব উপদ্বীপে দু’ ধর্ম একত্রে থাকবে ন ৷ উমর (বা) এ হাদীছটি
সম্পর্কে খোজ খবর নিয়ে তা শুদ্ধ বলে তার কাছে প্রমাণিত হয় ৷ তখন তিনি ইয়াহদীদের নিকট
বলে পাঠালেন , “আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে বিতাড়িত করার জন্যে আমাকে অনুমতি
দিয়েছেন এবং আমার কাছে এ হাদীছটি পৌছেছে যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা বলেছেন “আরব উপদ্বীপে
দুটি ধর্ম একত্রে থাকবে না ৷ কারো সং পে যদি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কোন অঙ্গীকার থাকে তাহলে
সে যেন তা আমার কাছে এসে পেশ করে, আমি যে অঙ্গীকার বপুরণ করব ৷ আর যার কাছে এরুপ
কোন ওয়াদা অঙ্গীকার নেই, সে যেন দেশতাগের জন্যে তৈ র্বীাহ হয়ে যায় ৷ সুতরাং যাদের কাছে
কোন অঙ্গীকার ছিল না তাদেরকে উমর (রা) দেশাম্ভবিত করলেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, তিনশ’ বছর পর খায়বারের ইয়াহুদীরা দাবী করতে লাগল যে, তাদের কাছে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর লিখিত একটি চুক্তিনামা আছে যাতে লিখা রয়েছে যে, “রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ইয়াহুদীদের থেকে জিযিয়া মওকুফ করে দিয়েছেন ৷” তথাকথিত এই চুক্তিনামার কারণে কিছু
থেকে আলিম প্রভাবিত হয়ে মত প্রকাশ করেছেন যে, ইয়াহুদীদের উপর থেকে জিযিয়া রহিত
করা হয়েছে ৷

ইমাম শাফিঈ (র) এর অনুসারীদের মধ্যে এরুপ অভিমত অবলম্বনকারীদের অন্যতম হলেন
শেখ আবুআলী ইবন খায়রুন ৷ অথচ এই অঙ্গীকার নামাটি ভৃয়া , বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ৷ একটি
াতন্ত্র পুস্তকে এই তথাকথিত চুক্তি নামাটি ভুয়া হবার বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয়েছে ৷

অনেক আলেম তাদের গ্রন্থ দি ৩এ তথাকথিত অঙ্গীকারনামা নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা
করেছেন যেমন ইরনুস সাব্বাগত তার কিতাব মাসাইলে এবং শেখ আবু হামিদ তার ব্যাখ্যা গ্রন্থে এ
বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন ৷ ইরনুল মাসৃলামা এটা বাতিল প্রমাণ করার জন্যে একটিাতন্ত্র
পুস্তিকা লিখেছেন ৷ ইয়াহুদীরা সাতশ’ বছর পর এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করে এবং একটি কিতাব
প্রকাশ করে ৷ যার মধ্যে তাদের তথাকথিত চুক্তিনামা সন্নিবেশিত রয়েছে ৷ এটা সম্বন্ধে আমি
যখন অবগত হলাম তখন এটা পরীক্ষা নিরীক্ষাকরে দেখলাম যে, এটা মিথ্যা ৷ কেননা,
চুক্তিনামায় সাদ ইবন ঘুআয় (রাএসাক্ষী রয়েছেন ৷ অথচ সাদ ইবন মু আয় (রা) খায়বারের
পুর্বেই ইনতিকাল করেছিলেন ৷ এটার মধ্যে মু আাবিয়া ইবন আবু সুফিয়ানের সাক্ষ্য রয়েছে অথচ
তিনি ঐ সময় মুসলমানই হননি ৷ চুক্তি নামা র শেষে লেখক রয়েছেন আালী ইবন আবৃত তালিব,
এটাও ভুল ৷ আর এটার মধ্যে জিযিয়া মওকুফের কথা আছে অথচ সে সময় জিযিয়ার প্রচলনই
হয়নি ৷ কেননা, এটা প্রথম যখন প্ৰবত ন করা হয় তখন নাজরানবাসীদের থেকে তা প্রথম গ্রহণ
করা হয় ৷ ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেন যে,৩ তারা ৯ম হিজরীর দিকে এসেছিলেন ৷ আল্লাহ
তাআলা অধিক জ্ঞাত ৷

অতঃপর ইবন ইসহাক বলেন, আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর আযাদকৃত গোলাম নাফি


يَهُودَهَا عَلَيْهَا عَلَى شَطْرِ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا مِنْ تَمْرٍ أَوْ زَرْعٍ» . وَقَدْ وَرَدَ فِي بَعْضِ أَلْفَاظِ هَذَا الْحَدِيثِ: عَلَى أَنْ يَعْمَلُوهَا مِنْ أَمْوَالِهِمْ. وَفِي بَعْضِهَا: وَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نُقِرُّكُمْ فِيهَا مَا شِئْنَا ". وَفِي " السِّيَرِ " أَنَّهُ كَانَ يَبْعَثُ عَلَيْهِمْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ، يَخْرُصُهَا عَلَيْهِمْ عِنْدَ اسْتِوَاءِ ثِمَارِهَا، ثُمَّ يُضَمِّنُهُمْ إِيَّاهُ، فَلَمَّا قُتِلَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَوَاحَةَ بِمُؤْتَةَ، بَعَثَ جَبَّارَ بْنَ صَخْرٍ، كَمَا تَقَدَّمَ. وَمَوْضِعُ تَحْرِيرِ أَلْفَاظِهِ وَبَيَانِ طُرُقِهِ كِتَابُ الْمُزَارَعَةِ مِنْ كِتَابِ " الْأَحْكَامِ الْكَبِيرِ " إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَبِهِ الثِّقَةُ. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: سَأَلْتُ ابْنَ شِهَابٍ: كَيْفَ كَانَ إِعْطَاءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ خَيْبَرَ نَخْلَهُمْ؟ فَأَخْبَرَنِي «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ افْتَتَحَ خَيْبَرَ عَنْوَةً بَعْدَ الْقِتَالِ، وَكَانَتْ خَيْبَرُ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْهِ، خَمَّسَهَا وَقَسَمَهَا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، وَنَزَلَ مَنْ نَزَلَ مِنْ أَهْلِهَا عَلَى الْجَلَاءِ بَعْدَ الْقِتَالِ، فَدَعَاهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: " إِنْ شِئْتُمْ دَفَعْتُ إِلَيْكُمْ هَذِهِ الْأَمْوَالَ، عَلَى أَنْ تَعْمَلُوهَا وَتَكُونُ ثِمَارُهَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمْ، فَأُقِرُّكُمْ مَا أَقَرَّكُمُ اللَّهُ ". فَقَبِلُوا وَكَانُوا عَلَى ذَلِكَ يَعْمَلُونَهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْعَثُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ رَوَاحَةَ فَيَقْسِمُ ثَمَرَهَا، وَيَعْدِلُ عَلَيْهِمْ فِي الْخَرْصِ، فَلَمَّا تَوَفَّى اللَّهُ نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَقَرَّهَا