আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

قصة الشاة المسمومة

পৃষ্ঠা - ৩১৯০
’ ণ্


বললাম , তিনি কি গোটা ভু-খণ্ডের অধিপতি হবেন ? সে বলল, “ইব্রুা, যে তাওরাত মুসা (আ)-এর
উপর নাযিল হয়েছে এটা তারই বাণী, তবে আমি চাইন৷ যে ইয়াহ্রদীরা এ বিষয়ে আমার এ বক্তব্য
অবগত হোক ৷

সালড়াত কাযা হওয়ার ঘটনা

ইবন ইসহাক বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা ) যখন খায়বার বিজয় সম্পন্ন করলেন তখন ওয়াদিল্
করার দিকে অগ্রসর হলেন এবং সেখানকার বাসিন্দাদেরকে কয়েক রাত অবরোধ করে রাখলেন ৷
এরপর তিনি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করেন ৷ ইবন ইসহাক মিদৃআমের ঘটান৷ বর্ণনা করেন ৷ (কমন
করে বিক্ষিপ্ত তীর তার পায়ে লেগেছিল এবং সে নিহত হলো ৷ জনগণ বল:ত লাগল তার জন্যে
শাহাদত শুভ হোক ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, কখনো না ৷ যে সত্তাব হাতে আমার জান, তার
শপথ করে বলছি, থায়বারেব দিন গনীমত বিতরগ্নের পুর্বে একটি চাদর গোপন করেছিল ৷ এটার
দরুন তার উপর অগ্নি প্রজ্বলিত হতে থাকবে ৷

বুখারীতে ইবন ইসহাকের অনুরুপ বর্ণনা পুর্বেই উল্লিখিত হয়েছে ৷ আল্লাহ্ অধিক পরিজ্ঞাত ৷

ইমাম আহমদ (র) — যায়িদ ইবন খালিদ আল-জুহানী (রা ) হতে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সাহাবীগণের মধ্য হতে আশজা গোত্রের এক ব্যক্তি খায়বারের দিন
নিহত হয় ৷ এ সম্বন্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-(ক অবগত করা হলে তিনি বলেন, তোমাদের সাথীর
জন্যে (তামরাই জানাযার সালাত আদায় করো ৷ তাতে অনেরেইি বিমর্ষ হয়ে পড়লেন ৷ হুযুর
(সা ) বললেন, তোমাদের এ সাথীটি আল্লাহ্র সম্পদ আত্মসাৎ করেছে ৷ আমরা তার বিছানাপত্র
তল্লাশী করলাম ৷ তার মধ্যে ইয়াহ্রদীদের একটি হার পাওয়া গেল যার মুল্য ছিল মাত্র দুই
দিরহাম ৷ আবু দাউদ (র ) এবং ইমাম নড়াসাঈ (র ) ও ইয়াহয়া ইবন সাঈদ আল কাত্তানের মাধ্যমে
অনুরুপ বংনি৷ করেন ৷

ইমাম বায়হার্কী (র) উল্লেখ করেন যে, খায়বার থেকে প্রত্যাবর্তনের সময় রাসুলুল্লাহ্
(সা ) এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্যে বনু ফাযারা মনস্থু করল এবং এজন্যে তারা সৈন্য সমাবেশ
করল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এ সম্পর্কে অবগত হয়ে একটি সুনির্দিষ্ট স্থানে মৃকাবিলার জন্যে নিজেদের
প্রস্তুতি সম্পর্কে সংবাদ জানাবার জন্যে একজন দুত পাঠালেন ৷ যখন তারা মুসলমানদের প্রস্তুতি
সম্পর্কে নিশ্চিত হল তখন তারা যে যেভাবে পারল পালিয়ে প্রাণ বীচাল ৷

ইমাম বায়হাকী (র) আরো বলেন যে, মদীনায় পথে সাদ্দুস-সড়াহ্বা নামক এক জায়গায় যখন
হযরত সাফিয়্যা (রা) পবিত্রত৷ অর্জন করলেন, তখন রাসুলুল্লাহ্ (না) তার সাথে বাসর করলেন
হাইস দ্বারা ওলীমা করলেন এবং সেখানে তার সাথে তিন রাত্রি যাপন করলেন ৷ হযরত সাফিয়্যা
(রা) মুসলমান হলেন, রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে আযাদ করে দিলেন ৷ তাকে ব্যিয় করলেন এবং
তার মুক্তিকে মােহরান৷ সাব্যস্ত করলেন ৷ তিনি যখন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সফর সৎগী ছিলেন
তখন রাসুলুল্লাহ্ (মা) তাকে নিজের পিছনে বসিয়ে দেন এবং তার জন্যে পর্দার ব্যবস্থা করে দেন ৷
এতে মুসলমানগণ বুঝতে পারলেন যে, তিনি তখন একজন উম্মুল মু’মিনীন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক তার সীরাত গ্রন্থে আরো উল্লেখ করেন যে, খায়বার কিৎবা খায়বারেব
৪৮ —


فَقَالَ بِشْرُ بْنُ الْبَرَاءِ: وَالَّذِي أَكْرَمَكَ لَقَدْ وَجَدْتُ ذَلِكَ فِي أَكْلَتِي الَّتِي أَكَلْتُ، فَمَا مَنَعَنِي أَنْ أَلْفِظَهَا إِلَّا أَنِّي أَعْظَمْتُكَ أَنْ أُنَغِّصَكَ طَعَامَكَ، فَلَمَّا أَسَغْتَ مَا فِي فِيكَ، لَمْ أَرْغَبْ بِنَفْسِي عَنْ نَفْسِكَ، وَرَجَوْتُ أَنْ لَا تَكُونَ اسْتَرَطْتَهَا وَفِيهَا نَعْيٌ. فَلَمْ يَقُمْ بِشْرٌ مِنْ مَكَانِهِ حَتَّى عَادَ لَوْنُهُ كَالطَّيْلَسَانِ، وَمَاطَلَهُ وَجَعُهُ، حَتَّى كَانَ لَا يَتَحَوَّلُ حَتَّى يُحَوَّلَ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: قَالَ جَابِرٌ: «وَاحْتَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ، حَجَمَهُ مَوْلَى بَنِي بَيَاضَةَ بِالْقَرْنِ وَالشَّفْرَةِ، وَبَقِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَهُ ثَلَاثَ سِنِينَ، حَتَّى كَانَ وَجَعُهُ الَّذِي تُوُفِّيَ فِيهِ، فَقَالَ: " مَا زِلْتُ أَجِدُ مِنَ الْأَكْلَةِ الَّتِي أَكَلْتُ مِنَ الشَّاةِ يَوْمَ خَيْبَرَ عِدَادًا، حَتَّى كَانَ هَذَا أَوَانَ انْقِطَاعِ أَبْهَرِي» ". فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَهِيدًا. وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: «فَلَمَّا اطْمَأَنَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَهْدَتْ لَهُ زَيْنَبُ بِنْتُ الْحَارِثِ امْرَأَةُ سَلَّامِ بْنِ مِشْكَمٍ شَاةً مَصْلِيَّةً، وَقَدْ سَأَلَتْ: أَيُّ عُضْوٍ أَحَبُّ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ فَقِيلَ لَهَا: الذِّرَاعُ، فَأَكْثَرَتْ فِيهَا مِنَ السُّمِّ، ثُمَّ سَمَّتْ سَائِرَ الشَّاةِ، ثُمَّ جَاءَتْ بِهَا، فَلَمَّا وَضَعَتْهَا بَيْنَ يَدَيْهِ، تَنَاوَلَ الذِّرَاعِ، فَلَاكَ