আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

قصة الشاة المسمومة

পৃষ্ঠা - ৩১৮৬

ইবন লাহীয়াহ — — যুহ্রী (র) হতে উল্লেখ করেন যে, যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) খায়বার জয়
করলেন যারা নিহত হওয়ার তারা নিহত হলেন ৷ যয়নাব বিনৃত হারিছ ইয়াহ্দী মহিলা সাফিয়্যা
(রা) কে একটি বিষ মিশ্রিত ভুন৷ বকবী হাদিয়া পাঠাল ৷ মহিলাটি ছিল খায়বারের বীর মারহাবের
ভাতিজী ৷ সে সামনের রানে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল, কেননা , সে জেনে নিয়েছিল যে
রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের পােশত বেশী পসন্দ করেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর
ঘরে চুকলেন তার সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মা’রুর ৷ তিনি ছিলেন বনু সালামার
একজন ৷ তাদের কাছে ভুন৷ বকরীটি পেশ করা হল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) সামনের পায়ের রান থেকে
র্দাত দিয়ে কিছু গোশত কেটে খেলেন ৷ বিশ্ব (বা) ও একটি হাড় নিলেন এবং তার থেকে দীত
দিয়ে কিছু গোশত থেলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন লুকমাঢি গিলে ৷হৰুলেন বিশর ইবন বারাও তার
মুখে যা ছিল তা গিলে ফেললেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন, তোমরা খাওয়া থেকে
বিরত থাক ৷ বকরীর টুকরাটি আমাকে সং বাদ দিচ্ছে যে এটার মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর
ইবন আল বারা (রা) বলেন, “ঐ সত্তা র শপথ, যিনি আপনাকে মর্যাদা দান করেছেন আমি আমার
খাবারের মধ্যে এটা টের পেয়েছিলাম, কিন্তু আমি আমার খাবার এ ভয়ে ফেলে দেইনি যে হয়ত
এতে আপনি বিরক্তিবােধ করবেন ৷ এরপর আ পনার মুখে যা ছিল তা আপনি গিলে ফেললে আমি
তা থেকে বিরত থাকতে পারিনি, যদিও আমি ঢেয়েছিলাম যে আপনি যেন তা না পিলেন, যার
মধ্যে মৃত্যু নিহিত রয়েছে ৷ বিশর (রা) নিজ স্থান থেকে উঠে র্দাড়াতে পারলেন না, তার গায়ের
রং সবুজ চাদরের আকার ধারণ করল ৷ ১ তবে ব্যথা আর তাকে বেশী সময় দিলন৷ ৷ তিনি যেন
আর নড়াচড়া করতে পারছেন না এবং তিনি চলে পড়লেন ৷

যুহ্রী বলেন, জাবির (রা) বলেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) ঐদিন রক্ত মোক্ষণ করান ৷ বনুবায়াদা
এর একজন দাস ত৷ ৷কে ছুরি ও সিংগার সাহায্যে রক্ত মােক্ষণ করেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা)ত তিন
বছর জীবিত ছিলেন ৷ আ র এ ব্যথায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন ৷ তিনি বলরুত ন খায়বারের দিন আমি
যে বকরীটির গোশত থেয়েছিলাম তার ব্যথা আমি প্রায়ই অনুভব করতাম এমনকি মৃতার সময়
এর কারণে যেন আমার হৃদয় হতে শ্যেগিত স্রোতোবাহী ধমনীটি ছিড়ে গেছে ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) শাহাদতের মৃত্যুবরণ করেন ৷

মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) বলেন, খায়বারের যুদ্ধে যখন রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) জয়লাভ করে স্বস্থির
নিঃশ্বাস ফেললেন, তখন সাল্লাম ইবন মিশকামের ত্রী যয়নাব বিনৃত হারিছ রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) এর
কাছে একটি ভুন৷ বকবী হাদিয়া স্বরুপ প্রেরণ করল ৷ রকরীর কোন অংশটি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
নিকট অধিকতর প্রিয় যে তা জানতে চেয়েছিল ৷ তখন তাকে বলা হয়েছিল সামনের পায়ের রান ৷
তাই যে তাতে বেশী বিষ মিশ্রিত করেছিল ৷ এরপর গোটা বকরীতে বিষ মিশ্রিত করল এবং তা
রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর কাছে নিয়ে আসল ৷ যখন সে বকরীটি তার সামনে রাখল তখন তিনি
সামনের পায়ের রানটি উঠিয়ে তার থেকে এক টুকরা চিরালেন; কিন্তু তা গিললেন ন৷ ৷ আর তার
সাথে ছিলেন বিশর ইবন বারা ইবন মারুর ৷ তিনিও তারই মত ৩বকরীর সামনের পায়ের রান
থেকে কিছু গােশত নিলেন,ত তবে বিশর (রা)৩ তা পিলে ফেললেন ৷ কিন্তু রাসুলুল্লাহ্ (স৷ ) তা মুখ

১ বাংলা পরিভাষায় বিযক্রিয়ার প্রভাবকে নীিল বলা হলেও আরবী পরিভাষায় খাযর বা সবুজ শব্দটি
ব্যবহৃত হয়ে থাকে ৷ সম্পাদকদ্বয় ৷




أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهْدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَقَالَ لِأَصْحَابِهِ: " أَمْسِكُوا، فَإِنَّهَا مَسْمُومَةٌ " وَقَالَ لَهَا: مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ قَالَتْ: أَرَدْتُ أَنْ أَعْلَمَ، إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَسَيُطْلِعُكَ اللَّهُ عَلَيْهِ، وَإِنْ كُنْتَ كَاذِبًا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَمَا عَرَضَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ، عَنْ هَارُونِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ سُلَيْمَانَ، بِهِ. ثُمَّ رَوَى الْبَيْهَقِيُّ، عَنْ طَرِيقِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ ذَلِكَ. وَقَالَ الْإِمَامُ أَحْمَدُ: حَدَّثَنَا سُرَيْجٌ، ثَنَا عَبَّادٌ، عَنْ هِلَالٍ - هُوَ ابْنُ خَبَّابٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ «أَنَّ امْرَأَةً مِنَ الْيَهُودِ أَهَدَتْ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَاةً مَسْمُومَةً، فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا فَقَالَ: " مَا حَمَلَكِ عَلَى مَا صَنَعْتِ؟ " قَالَتْ: أَحْبَبْتُ - أَوْ أَرَدْتُ - إِنْ كُنْتَ نَبِيًّا فَإِنَّ اللَّهَ سَيُطْلِعُكَ عَلَيْهِ، وَإِنْ لَمْ تَكُنْ نَبِيًّا أُرِيحُ النَّاسَ مِنْكَ. قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا احْتَجَمَ. قَالَ: فَسَافَرَ مَرَّةً، فَلَمَّا أَحْرَمَ وَجَدَ مِنْ ذَلِكَ شَيْئًا فَاحْتَجَمَ» تَفَرَّدَ بِهِ أَحْمَدُ، وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ. وَفِي " الصَّحِيحَيْنِ " مِنْ حَدِيثِ شُعْبَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ زَيْدٍ، «عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ امْرَأَةً يَهُودِيَّةً أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَاةٍ مَسْمُومَةٍ، فَأَكَلَ مِنْهَا، فَجِيءَ بِهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَسَأَلَهَا عَنْ ذَلِكَ، قَالَتْ: أَرَدْتُ لِأَقْتُلَكَ. فَقَالَ: " مَا