আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

فتح حصون خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৬৯

আমার গলায় যে হারটি দেখতে পাচ্ছো, তা তিনিই আমাকে দান করেছিলেন এবং নিজ হাতে
তিনি এটা আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ আল্লাহর শপথ, এ হারটি কখনও আমি হাতছড়াড়া
করবো না ৷ উল্লেখ থাকে যে, সত্যিই মৃত্যু পর্যন্ত এ হারটি তার গলায়ই ছিল ৷ তিনি ওসীয়ত
করে যান, যেন এ হারটিও তার সাথে দাফন করা হয় ৷ তিনি বলেন, যখনি তিনি হায়েয থেকে
পবিত্রতা অর্জন করতেন তখনি পানির সাথে লবণ মিশাতেন এবং শেষ পর্যন্ত একথা ওসীয়ত
করেন যে, তার যখন মৃত্যুর পর গোসল দেওয়া হবে তখনও যেন পানিতে লবণ দেওয়া হয় ৷

উপরোক্ত হাদীছটি আহমদ এবং আবুদাউদ ও মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক হতে বর্ণনা করেন ৷

“আমাদের ওস্তাদ আবুল হাজ্জাজ আল মিঘৃষী বলেন, ওয়াকিদী উমাইয়া ৰিনত আবুস
সালতের সনদে রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকেও অনুরুপ বর্ণনা করেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাসান ইবন মুসা হাশরাজ ইবন যিয়াদের দাদী সুত্রে বর্ণনা করেন,

তিনি বলেন, “খড়ায়বার অভিযানে আমিও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর শংগী ছিলাম ৷ আর আমি ছয়জন
রমণীর ষষ্ঠা মহিলা ৷” রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন টের পেলেন যে, তার সাথে মহিলারা রয়েছেন,
আমাদের কাছে লোক পাঠালেন ও আমাদেরকে ডাকলেন ৷ তার কাছে উপ ত হয়ে তাকে আমরা
রাপাৰিত দেখতে পেলাম ৷ তিনি বললেন, “তোমরা কেন এসেছো এবং তোমরা করে হুকুমে
এসেছো ? আমরা বললড়াম , “আমরা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে এসেছি ৷ আমরা যােদ্ধাদেরকে তীর
কুড়িয়ে দেবাে , ছাতু খাওয়ার এবং আমাদের সাথে রয়েছে আহতদেব জন্যে ঔষধপত্র ৷ আমরা
পযল গইিব , এভাবে আমরা আল্লাহর পথে সাহায্য সহায়তা করব ৷ রাবী বলেন, “এভাবে মহিলারা
অনুমতি নিলেন ও জিহাদের ময়দানে গেলেন ৷ উক্ত মহিলাটি বলেন, “আল্লাহ তাআলা যখন
আমাদেরকে খায়বারের বিজয় দান করলেন তখন পুরুষদের অংশের ন্যায় আমাদেরকেও অংশ
দেওয়া হয় ৷ ” রাবী বলেন, আমি তখন বললাম , হে দাদী ! তোমাদেরকে যা দেওয়া হয়েছিল, তা
কী ? বললেন, “খেজুর ৷

গ্রন্থকার বলেন, মহিলাদেরকে অস্থাবর সম্পদ থেকে কিছু দেওয়া হয়েছিল তবে তাদেরকে
পুরুষ সৈনিকদের ন্যায় কোন জমি অংশরুপে দেয়া হয়নি ৷ আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত ৷

হাফিয বায়হড়াকী (র) আবদুল্লাহ ইবন উনাইস এর বরাতে বর্ণনা করেন, তিনি
বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সংগে খায়বার অভিযানে বের হয়েছিলাম ৷ আমার সাথে ছিল
আমার গর্তবতী ত্রী ৷ রাস্তায় তার সন্তান তুমিষ্ঠ হয় ৷ আমি রাসুলুল্লাহ্ (সা)-কে এ সংবাদ দিলে
তিনি তখন আমাকে বললেন, তার জন্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখ, যখন ভাল করে ভিজবে তখন
তাকে সে পানি পান করতে বল ৷ সে অনুরুপ করল ৷ ফলে পরবর্তীতে সে কোন প্রকার অসুবিধার
সম্মুখীন হয়নি ৷ যখন আমরা খায়বার জয় করলাম হুয়ুর (সা) মহিলাদেরকে কিছু দান করলেন ৷
তিনি তাদেরকে গনীমতের পুর্ণ অংশ প্রদান করেন নাই ৷ আমার শ্রী ও সদ্য ভুমিষ্ঠ সন্তানকেও
কিছু উপহারস্বরুপ দেওয়া হল ৷ রাবী আবদুস সালাম বলেন, সন্তানটি ছেলে ছিল না মেয়ে , তা
আমার জানা নেই ৷


صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " كُلُّ تَمْرِ خَيْبَرَ هَكَذَا؟ " قَالَ: لَا وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا لَنَأْخُذُ الصَّاعَ مِنْ هَذَا بِالصَّاعَيْنِ، وَالصَّاعَيْنِ بِالثَّلَاثَةِ. فَقَالَ: " لَا تَفْعَلْ، بِعِ الْجَمْعَ بِالدَّرَاهِمِ، ثُمَّ ابْتَعْ بِالدَّرَاهِمِ جَنِيبًا» . قَالَ الْبُخَارِيُّ: وَقَالَ الدَّرَاوَرْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّ أَبَا سَعِيدٍ وَأَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَاهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعَثَ أَخَا بَنِي عَدِيٍّ مِنَ الْأَنْصَارِ إِلَى خَيْبَرَ وَأَمَّرَهُ عَلَيْهَا. وَعَنْ عَبْدِ الْمَجِيدِ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ السَّمَّانِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ مِثْلَهُ. قُلْتُ: كَانَ سَهْمُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي أَصَابَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ مِمَّا قَسَمَ بِخَيْبَرَ وَفَدَكَ بِكَمَالِهَا - وَهِيَ طَائِفَةٌ كَبِيرَةٌ مِنْ أَرْضِ خَيْبَرَ نَزَلُوا مِنْ شِدَّةِ رُعْبِهِمْ مِنْهُ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ فَصَالَحُوهُ - وَأَمْوَالَ بَنِي النَّضِيرِ، الْمُتَقَدِّمَ ذِكْرُهَا، مِمَّا لَمْ يُوجِفِ الْمُسْلِمُونَ عَلَيْهِ بِخَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ، فَكَانَتْ هَذِهِ الْأَمْوَالُ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، وَكَانَ يَعْزِلُ مِنْهَا نَفَقَةَ أَهْلِهِ لِسَنَةٍ، ثُمَّ يَجْعَلُ مَا بَقِيَ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، يَصْرِفُهُ فِي الْكُرَاعِ وَالسِّلَاحِ وَمَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا مَاتَ، صَلَوَاتُ اللَّهِ وَسَلَامُهُ عَلَيْهِ، اعْتَقَدَتْ فَاطِمَةُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ أَكْثَرَهُنَّ - أَنَّ هَذِهِ الْأَرَاضِيَ تَكُونُ مَوْرُوثَةً عَنْهُ، وَلَمْ يَبْلُغْهُنَّ مَا ثَبَتَ عَنْهُ مِنْ قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " نَحْنُ مَعْشَرَ الْأَنْبِيَاءِ لَا نُورَثُ، مَا تَرَكْنَاهُ فَهُوَ صَدَقَةٌ ". وَلَمَّا طَلَبَتْ فَاطِمَةُ وَأَزْوَاجُ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالْعَبَّاسُ نَصِيبَهُمْ مِنْ ذَلِكَ، وَسَأَلُوا الصِّدِّيقَ أَنْ يُسَلِّمَهُ