আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

فتح حصون خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৬৬
আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩৬৫

কিন্তুত তাদের কাছে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর ঐ হাদীছটি পৌবুছনি, যাতে তিনি ববুলবুছনং : :,;;
অর্থাৎ আমরা নবীগণ কাউকে
উত্তরা ধিকা বী করিনা আমরা যা বুছবুড় যাই৩ সবই সাদাক কা৷ ফাতিমা (রা), নবী সহধর্মিণীগণ এবং
আব্বাস (রা) যখন তাদের অংশ দাবী করেন ৷ আর আবু বকর (রা) বুক তাদের অংশ সমর্পণ
করার জন্যে অনুরোধ জানান তখন আবু বকর (রা) তাদেরকে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উপরোক্ত
বাণীটি অবগতি করান যাতে তিনি তাদেরকে যাদেরকে ভরণ পোষণ করতেন আামিও তাদের ভরণ
পোষণ করে যার ৷ আল্লাহ্র শপথ, রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর আত্মীয় স্কজন আমার কাবুছ আত্মীয়তার
বন্ধন সুদৃঢ় রাখার ক্ষেত্রে আমার আত্মীয়-াজন থেকে অধিক প্রিয় ৷ আবু বকর (রা) এর এ মন্তব্য
ছিল যথার্থ ৷ কেননা, তিনি ছিলেন বুনককার , অত্যন্ত নায়পরায়ণ এবং সত্যের অনুসারী ৷ আব্বাস
(রা) ও আলী (রা), হযরত ফাতিমা (রা)-এর মাধ্যমে এ হক দাবী করেছিলেন ৷ তারা যখন
উত্তরাধিকারী হতে পারলেন না তখন তারা চাইবুলন যেন এ সাদকা সম্পদের তত্ত্বাবধান তারা
করতে পারেন ৷ এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেসব ক্ষেত্রে এ সম্পদ খরচ করতেন তারাও যেন অনুরুপ
খরচ করতে পারেন, কিন্তু হযরত আবু বকর (বা) তাদের এ দাবীও অগ্রাহ্য করেন এবং তিনি তার
জন্যে সমীচীন মনে করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেভাবে খরচ করতেন তিনিও সেভাবে খরচ
করবেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর আরোপিত রীতি তিনি কো নরুপে লংঘন করবেন না ৷ এ ব্যাপারে
তখন ফাতিমা (রা) খলীফার সাথে রাগাম্বিত ও ব্যথিত হ্ন ৷ আসলে এটা তার জন্যে শোভনীয়
ছিল না ৷ তিনি এবং ঘুসলমানগণ আবু বকর (রা)-এর মান-মর্যাদা ও রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সাথে
তার সম্পর্ক সম্বন্ধে সম্যক অবগত ছিলেন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জীবদ্দশায় ও ইনতিকাবুলর
পর ইসলামের কীরুপ সাহায্য-সহায়তা করেছেন তা তার ও মুসলমানগবুণর করো অজানা ছিল
না ৷ ছয়মাস পর ফাতিমা (রা) ইনতিকাল করেন ৷ এরপর আলী (রা) খলীফার প্রতি তার বায়আত
নবায়ন করেন ৷ উমর (রা) এর যুগে আলী (রা) ও আব্বাস (রা) তাদের কাছে এ সাদকার পুর্ণ
দাযিতু প্ৰদা বুনর জন্যে খলীফাবুক অনুরোধ জানান এবং কিছু সংখ্যক প্রবীণ সাহাবীদের মাধ্যবুম
খলীফার উপর চাপ সৃষ্টি করেন ৷ ৩ খন উমর (রা)৩ তাদেরকে এ দায়িতু প্রদানের সম্মত হলেন ৷
আর এটা সম্ভব হয়েছিল খলীফার কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়া এবং ইসলামী রাবুষ্ট্ৰর বিন্তুতি ও জন
সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ৷ কিন্তু এ ব্যাপারে আলী (রা) তার চাচা আব্বাস (রা)-এর উপর প্রভাব
বিস্তার করেন এবং পরব৩ ত দৃজনই উমর (রা)-এর কাছে মুকাদ্দমা পেশ করেন ও তাদের
মতবিরোধ নিরসন কল্পে তাদের মধ্যে দায়িত্ব অর্পণ করার লবুক্ষ্য সুপারিশ করার জন্যে একজন
প্রবীণ সাহাবীবুক উদ্বুদ্ধ করেন ৷ যাতে তাদের প্রত্যেকে নিজ নিজ রণ্টনকৃত সম্পদের প্রতিই শুধু
লক্ষ্য রাখবেন অন্যজবুনর সম্পদের প্রতি দৃষ্টি দেবেন না ৷ কিন্তু উমর (রা) এটার কঠোর
বিরোধিতা করেন এবং আশংকা ব্যক্ত করেন যে, এটা পরবর্তীতে উত্তরাধিকার বণ্টবুনর রুপ ধারণ
করবে ৷ তিনি বললেন, “আপনারা দৃই জনই একত্রে এ সম্পদের বুদখাশুনা করেন, যদি আপনারা
অপরাগ হয়ে পড়েন তাহলে আমার কাবুছ৩ তা ফিরিয়ে দেবেন ৷ ঐ সত্তার শপথ, য র হুকুবুম
আসমান ও যমীন পরিচালিত ৩হবুয় থাকে ৷ আমি এ ব্যাপারে এটা ব্যতীত অন্য কোন সিদ্ধান্ত
দেবনা ৷ ” তারা ও তাদের পরে তাদের সন্তান-সম্ভতিগণ আব্বাসীয় যুগ পর্যন্ত এভাবে এ সম্পত্তির
দেখাশুনা করতে থাকেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) যেরুপ বনু নাযীবুরর পরিত্যক্ত সম্পদ, ফাদাবুকর


لِمَصَالِحِ الْمُسْلِمِينَ، وَإِنْ شَاءَ قَسَمَ بَعْضَهَا وَأَرْصَدَ بَعْضَهَا لِمَا يَنُوبُهُ فِي الْحَاجَاتِ وَالْمَصَالِحِ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُؤَذِّنُ، ثَنَا أَسَدُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ زَكَرِيَّا، حَدَّثَنِي سُفْيَانُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ أَبِي حَثْمَةَ، قَالَ: «قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ نِصْفَيْنِ، نِصْفًا لِنَوَائِبِهِ وَحَاجَتِهِ، وَنِصْفًا بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ، قَسَمَهَا بَيْنَهُمْ عَلَى ثَمَانِيَةَ عَشَرَ سَهْمًا» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ. ثُمَّ رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ مُرْسَلًا، فَعَيَّنَ نِصْفَ النَّوَائِبِ، الْوَطِيحَ وَالْكَتِيبَةَ وَالسُّلَالِمَ وَمَا حِيزَ مَعَهَا، وَنِصْفَ الْمُسْلِمِينَ، الشِّقَّ وَالنَّطَاةَ وَمَا حِيزَ مَعَهُمَا، وَسَهْمُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيمَا حِيزَ مَعَهُمَا. وَقَالَ أَيْضًا: حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ عَلِيٍّ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرِ بْنِ يَسَارٍ، مَوْلَى الْأَنْصَارِ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «لَمَّا ظَهَرَ عَلَى خَيْبَرَ فَقَسَمَهَا عَلَى سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ سَهْمًا، جَمَعَ كَلُّ سَهْمٍ مِائَةَ سَهْمٍ، فَكَانَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلِلْمُسْلِمِينَ النِّصْفَ مِنْ ذَلِكَ وَعَزَلَ النِّصْفَ الثَّانِي لِمَنْ نَزَلَ بِهِ مِنَ الْوُفُودِ وَالْأُمُورِ وَنَوَائِبِ النَّاسِ» . تَفَرَّدَ بِهِ أَبُو دَاوُدَ.