আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

فتح حصون خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৬৪

অনুরুপতাবে বায়হাকী (র)ও সুফিয়ান ইবন উয়ায়ন৷ থেকে সালিহ্ ইবন কায়সানের বরাতে বর্ণনা
করেন যে, তারা ছিলেন ১৪০০ এবং তাদের সাথে ঘোড়া ছিল ২০০ ৷

গ্রন্থক৷ র বলেন, তাদের সাথে রাসুলুল্লাহ্ (সা)ও একটি ভাগ গ্রহণ করেছিলেন ৷ আশ-শাক
দুর্গের প্রথম ভাগটি দেওয়া হয়েছিল আসিম ইবন আদীকে ৷

ইবন ইসহাক বলেন, “ক ভীবা দুর্গের সম্পদের মধ্যে এক পঞ্চমা-ৎশ ছিল আল্লাহর জন্যে,
এক অং শ ছিল আল্লাহর রাসুল (সা) এর জন্যে, এক এক অংশা নকট আত্মীয়, ইয়াভীম,
মিসকীন, মুস৷ ৷ফির, রাসুলের সহধর্বীগণের ভরণ পোষণ এবং ফাদাকরাসীদের সাথে সন্ধি স্থাপনে
য়ার ৷গুরুত্পুর্ণ ভুমিকা পালন করেছিলেন ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মাহীসাহ ইবন মাসউদ
তা তবে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা) ৩০ ওয়াসাক খেজুর এবং ত্রিশ ওয়াসাক (৬৩০০ কেজি) য়ব দিয়েছিলেন ৷
রাবী বলেন, তবে যে দুটি উপত্যকা দেওয়া হয়েছিল এগুলোর নাম হচ্ছে ওয়ার্দিস সারীর ও ওয়াদি
খাস ৷ এরপর ইবন ইসহাক ঐসব জমি জমার বিস্তারিত বর্ণনা দেন যা রাসুলুল্লাহ (সা) অন্যদের
জন্য বরাদ্দ করেছেন ৷ খায়বারের বণ্টন ও হিসাব রক্ষার দা ৷য়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন বনু স ৷লামার

জব্বার ইবন সখর ইবন উম ৷ইয়৷ ইবন খানস৷ এবং যায়দ ইবন ছাবিত (রা) ৷

গ্রন্থকার বলেন, “হযরত আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ খেজুরের ফসল ও ভাগ নির্ধারণের দায়িত্বে
নিযুক্ত ছিলেন ৷ তিনি দুই বছর এ মুল্যায়নের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ৷ মুতার যুদ্ধে তিনি শাহাদত
বরণ করলে জাব্বার ইবন ছখর (রা) কে এই পদে নিযুক্ত করা হয় ৷

বুখারী (র) ইসমাঈল আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) একবার এক ব্যক্তিকে খায়বারের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ তখন তিনি ওখান
থেকে উৎকৃষ্ট ধরনের খেজুর নিয়ে আসেন ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, খায়বারের সব খেজুর কি
এরুপ ? তিনি উত্তরে বলেন , না’ ৷ আল্লাহর কসম , ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমরা সাধারণ দুই সা এর
খেজুরের পরিবর্তে এক সা উৎকৃষ্ট খেজুর এনেছি ৷ কিৎর৷ খারাপ খেজুর এবং ৩ সা এর
পরিবর্তে ২ সা নিয়ে এসেছি ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বলেন , “এরুপ করােনা , সমস্ত খেজুর দিরহামের
পরিবর্তে বিক্রি করে ফেল, এরপর দিরহাম দিয়ে ভাল খেজুর খরিদ কর ৷

বুখারী (র) অন্য সনদে দাওয়ার্দী আবু সাঈদ খুদরী (রা) ও আবুহুরায়রা (রা) সুত্রে
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) আনসারদের মধ্য হতে বনু আদীর এক ব্যক্তিকে খায়বারে পাঠান ও
তথাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন ৷ আবার তিনি অন্য এক সনদেও অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷

গ্রন্থকার বলেন, “খায়বারে বণ্টনকৃত অন্যান্য মুসলমানের মত রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর অংশ্
এবং ফাদাকের সমস্ত অংশ হচ্ছে খায়বারের এক বিস্তীর্ণ এলাকা ৷ ইয়াহ্রদীরা অত্যন্ত ভীত হয়ে
পড়ায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সাথে সন্ধি করে ৷ বনুনাযীরের প্রচুর সম্পদ যার জন্যে মুসলমানগণ
কো ন যুদ্ধ বিগ্রহ করেননি তাও ছিল রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ সম্পদ, তার থেকে
তিনি৩ ৷র পরিবারের বা ৷র্ষিক ভরণ পোষণের জন্যে সম্পদ পৃথক করে রাখতেন ৷ এরপর অবশিষ্ট
সম্পদ আল্লাহর সম্পদ হিসেবে মুসলমানদের অস্ত্রশস্ত্র সংগ্রহ ও জনহিতকর কাজে খরচ করা হত ৷
যখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) ইনতিকাল করেন, ফাতিমা (বা) এবং উন্মুল মু’মিনীনগণ কিত্বা সকলেই
ধারণা করতে লাগলেন, তারা এসব সম্পদ রাসুলুল্লাহ্ (না) থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত হবেন


عَبْدِ شَمْسٍ وَبَنِي نَوْفَلٍ شَيْئًا. تَفَرَّدَ بِهِ دُونَ مُسْلِمٍ. وَفِي لَفْظٍ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " «إِنَّ بَنِي هَاشِمٍ وَبَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ شَيْءٌ وَاحِدٌ، إِنَّهُمْ لَمْ يُفَارِقُونَا فِي جَاهِلِيَّةٍ وَلَا إِسْلَامٍ» . قَالَ الشَّافِعِيُّ: دَخَلُوا مَعَهُمْ فِي الشِّعْبِ، وَنَاصَرُوهُمْ فِي إِسْلَامِهِمْ وَجَاهِلِيَّتِهِمْ. قُلْتُ: وَقَدْ ذَمَّ أَبُو طَالِبٍ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ وَبَنِي نَوْفَلٍ حَيْثُ يَقُولُ: جَزَى اللَّهُ عَنَّا عَبْدَ شَمْسٍ وَنَوْفَلًا عُقُوبَةَ شَرٍّ عَاجِلًا غَيْرَ آجِلِ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، ثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: «قَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ لِلْفَرَسِ سَهْمَيْنِ وَلِلرَّاجِلِ سَهْمًا» . قَالَ: فَسَّرَهُ نَافِعٌ فَقَالَ: إِذَا كَانَ مَعَ الرَّجُلِ فَرَسٌ، فَلَهُ ثَلَاثَةُ أَسْهُمٍ، وَإِنْ لَمْ يَكُنْ مَعَهُ فَرَسٌ، فَلَهُ سَهْمٌ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي زَيْدٌ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ يَقُولُ: أَمَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، لَوْلَا أَنْ أَتْرُكَ آخِرَ النَّاسِ بَبَّانًا لَيْسَ لَهُمْ شَيْءٌ، مَا فُتِحَتْ عَلَيَّ قَرْيَةٌ إِلَّا قَسَمْتُهَا