আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

فتح حصون خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৫৯

আবুদাউদ (র) ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন, যখন খায়বার বিজিত হল তখন
ইয়াহ্রদীরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে আবেদন করায় তিনিও তাদেরকে উৎপন্ন ফসলের অর্ধেক
দেওয়ার শর্তে তাদেরকে সেখানে থাকতে দেন এবং বলেন, আমাদের যতদিন ইচ্ছে ততদিন
ভোমাদেরকে থাকতে দেব ৷ আর ইয়াহুদীরা এ শ ৷তে র উপর সেখানে অবস্থান করছিল ৷
খায়বারের প্রাপ্ত অর্ধেক খেজুরকে হুয়ুর (সা) দুই অং শে বণ্টন করতেন এবং রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
থেকে এক পঞ্চমাৎশ গ্রহণ করতেন ৷ আর এ পঞ্চমাংশ থেকে কতার প্রতোক সহধর্মিণীকে
একশত ওয়াসাক খেজুর এবং ২০ ওয়াসাক যব বরাদ্দ করতেন ৷ হ্াখন উমর (রা) ইয়াহুদীদেরকে
তাদের ষড়যস্তের দরুন বিতাড়িত করতে মনন্থ করেন ৷ তখন তনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর
সহধর্মিণীপণকে বললেন, আপনাদের মধ্যে যারা চান যে, তাদেরকে মা থা৷ পিছু একশত ওয়াসাক
খেজুর বরাদ্দ করব তাকে তাই দেওয়া হবে ৷৩ তার জন্যে খেজুর গাছ য়মীন ও খেজুর গাছে পানি
দেওয়া ইত্যাদির জিম্ম৷ বতাবে ৷ আর তাকে উৎপন্ন শস্য হচত্ং: বশ ওয়াসাক যব দেওয়া হবে ৷
তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷ আর যিনি চান যে, এক-পঞ্চমাৎপ হতে তার অংশ পৃথক করে
দেওয়া হবে ৷ তাহলে তাকে তাই দেওয়া হবে ৷

আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা)-এর বর্ণনায় বলেন,
উমর (রা) বলেন, হে জনমণ্ডলী, আপনারা জেনে রাখুন, রাসুলুল্লাহ (সা) খায়বারের ইয়াহ্রদীদের
সাথে সন্ধি করেছিলেন এ শর্তে যে, যখন ইচ্ছে তখন তাদেরকে বিতাড়িত করা হবে ৷
ইয়াহ্রদীদের কাছে যার কোন সম্পদ পাওন৷ আছে সে যেন তাদের থেকে আদায় করে নেয় ৷
কেননা, আমি ইয়াহ্রদীদেরকে বিতাড়িত করব ৷ এরপর তিনি৩ তাদেরকে বিতাড়িত করলেন ৷

ইমাম বৃখারী (র) ইয়াহইয়৷ ইবন বুকায়র জুবায়র ইবন মু৩ তয়িম (রা) এর বর্ণনায়
বলেন যে, তিনি বলেছেন, আমি এবং উছমড়ান ইবন আফ্ফা ন (রা) একবার রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর
দরবারে হাযির হয়ে বললাম , আপনি বনু মুত্তালিবকে খায়বারের এক-পঞ্চমাংশ হতে দান করেছেন
কিন্তু আমাদেরকে দিলেন না অথচ তারাও আমরা আপনার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একই
পর্যায়ের ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিব অভিন্ন ৷ জুবায়র ইবন
মুর্তৃইম (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু আবদে শামস ও বনু নওফলের জন্য কোন কিছু বরাদ্দ
করেননি ৷ উপরোক্ত বর্ণনাটি বুখারীর একক বর্ণনা ৷ অন্য এক বর্ণনায় আছে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বলেন, “নিঃসন্দেহে বনু হাশিম ও বনু আবদে মুত্তালিব একই পর্যায়ের ৷” তারা আমাদের থেকে
জাহিলিয়্যাত ৎব৷ ইসলাম কো ন যুগেই বিচ্ছিন্ন হয় নাই ৷ শা ৷ফিঈ (র) বলেন, “বনু হ গ্রিা৷ম ও বনু
মুত্তালিবের সাথে আবু৩ তালিবের গিরিসৎকটে প্রবেশ করেছিল এবং তাদের জ হিলিয্যা
ইসলাম উভয় যুগে সাহায্য সহায়তা করেছিল ৷

ইবন কাহীর (র) বলেন, আবুতা ৩ালিব বনুআবদে শামস ও নওফলের কুৎস৷ পেয়েছেন ৷ তিনি
বলেছেন :

এে১১

অর্থাৎ আমাদের বিরোধিতা করার আল্লাহ যেন বনুআবদে শামস ও বনু নওফলকে বিলন্বে নয়
অতি শীঘ্র৷ ত ৷দের দুস্কর্মের জন্য শাস্তি প্রদান করেন ৷

৪ ৬ ——

وَالسُّلَالِمِ؛ حِصْنَيْ بَنِي أَبِي الْحُقَيْقِ، وَتَحَصَّنُوا أَشَدَّ التَّحَصُّنِ، وَجَاءَ إِلَيْهِمْ كُلُّ فَلٍّ كَانَ قَدِ انْهَزَمَ مِنَ النَّطَاةِ وَالشِّقِّ، فَتَحَصَّنُوا مَعَهُمْ فِي الْقَمُوصِ - وَهُوَ فِي الْكَتِيبَةِ، وَكَانَ حِصْنًا مَنِيعًا - وَفِي الْوَطِيحِ وَالسُّلَالِمِ، وَجَعَلُوا لَا يَطْلُعُونَ مِنْ حُصُونِهِمْ، حَتَّى هَمَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَنْصِبَ الْمَنْجَنِيقَ عَلَيْهِمْ، فَلَمَّا أَيْقَنُوا بِالْهَلَكَةِ - وَقَدْ حَصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعَةَ عَشَرَ يَوْمًا - نَزَلَ إِلَيْهِ ابْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ، فَصَالَحَهُ عَلَى حَقْنِ دِمَائِهِمْ وَيُسَيِّرُهُمْ وَيُخَلُّونَ بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ مَا كَانَ لَهُمْ مِنَ الْأَرْضِ، وَالْأَمْوَالِ، وَالصَّفْرَاءِ وَالْبَيْضَاءِ، وَالْكُرَاعِ وَالْحَلْقَةِ، وَعَلَى الْبَزِّ، إِلَّا مَا كَانَ عَلَى ظَهْرِ الْإِنْسَانِ، يَعْنِي لِبَاسَهُمْ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «وَبَرِئَتْ مِنْكُمْ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ إِنْ كَتَمْتُمْ شَيْئًا» ". فَصَالَحُوهُ عَلَى ذَلِكَ. قُلْتُ: وَلِهَذَا لَمَّا كَتَمُوا وَكَذَبُوا وَأَخْفَوْا ذَلِكَ الْمَسْكَ الَّذِي كَانَ فِيهِ أَمْوَالٌ جَزِيلَةٌ، تَبَيَّنَ أَنَّهُ لَا عَهْدَ لَهُمْ، فَقُتِلَ ابْنُ أَبِي الْحُقَيْقِ وَطَائِفَةٌ مِنْ أَهْلِهِ، بِسَبَبِ نَقْضِ الْعُهُودِ مِنْهُمْ وَالْمَوَاثِيقِ.