আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

فتح حصون خيبر

পৃষ্ঠা - ৩১৫৭

করবেন ৷ আর যমিন আবাদ করার মত পর্যাপ্ত সময়ও সাহাবায়ে কিরামের ছিল না ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্
(সা) ইয়াহুদীদেরকে থায়বার এ শর্তে দান করলেন যে, তারা খেজুর ও প্রতিটি ফসলের অর্ধেক
ঘুসলমানদেরকে দিতে থাকবে ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা (রা) প্ৰতি বছর তাদের কাছে আসতেন
এবং অর্ধেক বর্গা ফসল তাদের থেকে আদায় করতেন ৷ একবার তারা আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহা
(রা) এর বিরুদ্ধে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট নড়ালিশ করল ৷ অন্যদিকে তাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা
করল ৷ আবদুল্লাহ ইবন রাওয়াহ৷ (রা) বললেন, হে আল্লাহর দৃশমনরা তোমরা আমাকে ঘুষ
দিতে চাও ? আল্লাহর শপথ, আমি তোমাদের কাছে এমন ব্যক্তির নিকট হতে এসেছি যিনি আমার
কাছে সৰ্বাধিক প্রিয় ৷ আর তোমরা আমার কাছে বানর ও শুকর থেকে অধিকতর নিকৃষ্ট ৷ এ
উৎকৃষ্টতা ও নিকৃষ্টতা কিন্তু তোমাদের উপর যুলুম করার জন্যে আমাকে কখনও প্ৰরোচিত করতে
পারে না ৷ তারা বলল, এ নীতির উপরই এ আসমান ও যমীন দণ্ডায়মান ও পরিচালিত ৷ রাবী
বলেন , এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সাফিয়্যা (রা)-এর চোখ নীল দেখতে গেলেন এবং প্রশ্ন করলেন,
হে সাফিয়্যা, তোমার চোখ নীল কেন ? তখন তিনি বললেন, ইবন আবুল হুকাইকের কোলে ছিল
আমার মাথা ৷ আর আমি ছিলাম নিদ্রাবত ৷ তখন আমি স্বপ্নে দেখলাম, চাদ যেন আমার কোলে
নেমে এল ৷ আমি তার কাছে এ স্বপ্নঢি বর্ণনা করলাম ৷ সে তখন এমন জোরে চপেটাঘাত করল
এবং বলল, তুমি কি ইয়াছরিব অধিপতির আকাভক্ষা করছ ? সাফিয়্যা (রা) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
ছিলেন আমার অত্যন্ত অপসন্দের লোক ৷ কেননা, তিনি আমার স্বামী ও পিতার হত্যার কারণ
ছিলেন ৷ এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) সব সময় এ সম্বন্ধে আমার কাছে আলোচনা করতেন এবং
বলতেন, তোমার পিতা আমার বিরুদ্ধে সকল আরববাসীকে সংঘবদ্ধ করেছে এবং আমার সমুহ
ক্ষতি সাধন করেছে ৷ এরুপ বলতে বলতে কিছুদিন পর এ ক্ষোভ আমার অন্তর হতে চলে যায় ৷
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার প্রত্যেক ন্তীকে প্ৰতি বছর ৮০ ওয়াসাক ১ খেজুর এবং ২০
ওয়াসাক যব বরাদ্ধ করতেন; কিন্তু যখন হযরত উমর (রা) এর যুগ আসল তখন ইয়াহুদীরা
মুসলমানদের সাথে ধোকাবড়াজি ও প্রতারণা শুরু করল ৷ তারা ইবন উমর (রা)-কে ঘরের ছাদ
থেকে ফেলে দিল, ফলে তার দু হাত ভেঙ্গে যায় ৷ তখন উমর (রা) বলেন, খায়বারের যমীনে
যাদের অংশ আছে আসুন তাদের মধ্যে আমি তা বণ্টন করে ৫স্টু ৷ তখন তিনি তা বণ্টন করে
দিলেন ৷ ইয়াহুদীদের সর্দার বলল, আমাদেরকে বিতাড়িত করবেন না, আমাদেরকে থাকতে
দিন ৷ যেভাবে রাসুলুল্লাহ্ (মা) ও হযরত আবু বকর (বা) আমাদেরকে এখানে থাকতে
দিয়েছিলেন ৷ হযরত উমর (রা) বললেন, “তোমরা কি আমাকে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর কথা লংঘন
করতে দেখছ ? তােমরাই বরং দিন দিন সন্ধির শর্তসমুহ লংঘন করে যাচ্ছ ৷

হযরত উমর (রা) ইয়াহ্রদীদেরকে তাদের ষড়যত্রের দরুন বিতাড়িত করলেন এবং তাদের
জমিজমা হুদায়বিয়ার সন্ধিতে উপস্থিত মুজাহিদদের মধ্যে যারা খায়বারেও উপস্থিত ছিলেন তাদের
মধ্যে বণ্টন করলেন ৷

আবু দাউদ (র) উপরোক্ত রিওয়ায়েতটি হাম্মাদ ইবন সালামা থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা
করেন



১ এক ওয়াসাক ৬০ সা’ বা প্রায় দৃইশ কেজি ৷


[فَتْحُ حُصُونِ خَيْبَرَ] فَصْلٌ فِي فَتْحِ حُصُونِهَا وَقَسْمِ أَرْضِهَا قَالَ الْوَاقِدِيُّ: لَمَّا تَحَوَّلَتِ الْيَهُودُ مِنْ حِصْنِ نَاعِمٍ وَحِصْنِ الصَّعْبِ بْنِ مُعَاذٍ إِلَى قَلْعَةِ الزُّبَيْرِ، حَاصَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْيَهُودِ يُقَالُ لَهُ: غَزَّالٌ. فَقَالَ: يَا أَبَا الْقَاسِمِ، تُؤَمِّنُنِي عَلَى أَنْ أَدُلَّكَ عَلَى مَا تَسْتَرِيحُ بِهِ مِنْ أَهْلِ النَّطَاةِ، وَتَخْرُجُ إِلَى أَهْلِ الشِّقِّ، فَإِنَّ أَهْلَ الشِّقِّ قَدْ هَلَكُوا رُعْبًا مِنْكَ؟ قَالَ: فَأَمَّنَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أَهْلِهِ وَمَالِهِ، فَقَالَ لَهُ الْيَهُودِيُّ: إِنَّكَ لَوْ أَقَمْتَ شَهْرًا تُحَاصِرُهُمْ مَا بَالَوْا بِكَ، إِنَّ لَهُمْ تَحْتَ الْأَرْضِ دُبُولًا يَخْرُجُونَ بِاللَّيْلِ فَيَشْرَبُونَ مِنْهَا، ثُمَّ يَرْجِعُونَ إِلَى قَلْعَتِهِمْ. فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَطْعِ دُبُولِهِمْ، فَخَرَجُوا فَقَاتَلُوا أَشَدَّ الْقِتَالِ، وَقُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ نَفَرٌ، وَأُصِيبَ مِنَ الْيَهُودِ عَشَرَةٌ، وَافْتَتَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَكَانَ آخِرَ حُصُونِ النَّطَاةِ، وَتَحَوَّلَ إِلَى الشِّقِّ، وَكَانَ بِهِ حُصُونٌ ذَوَاتُ عَدَدٍ، فَكَانَ أَوَّلَ حِصْنٍ بَدَأَ بِهِ مِنْهَا حِصْنُ أُبَيٍّ، فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى قَلْعَةٍ يُقَالُ لَهَا: سُمْوَانُ.