আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

قصة صفية بنت حيي بن أخطب

পৃষ্ঠা - ৩১৫১

বিনতে হুয়াইকে গ্রহণ করলেন ৷ তখন এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সামনে এসে আরয
করলেন ৷ ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি বনুনাযীর ও বনুকুরায়যার সর্দার হুয়াই এর কন্যা সাফিয়্যাকে
দিহ্ইয়া কালবীর হাতে তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি শুধু আপনারই যোগ্য ৷ হুয়ুর (সা) বলেন, দিহ্ইয়া
কালবীকে সাফিয়্যাসহ ডেকে নিয়ে এসো ৷ নবী করীম (সা) যখন তার দিকে নযর করলেন তখন
দিহ্ইয়া কালবী (রা)-কে বললেন, তুমি অন্য একটি বন্দিনীকে নিয়ে নাও ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
সাফিয়্যা (রা)-কে আযাদ করে দিলেন ও তাকে বিবাহ করলেন ৷ ইবন উলাইয়া (বা) হতেও
অনুরুপ বর্ণিত রয়েছে ৷

আবু দাউদ (র) মুহাম্মাদ ইবন খাল্লাদ বাহিলী আনড়াস (রা) সুত্রে বংনাি করেন ৷ তিনি
বলেন, দিহ্ইয়া কালবী (রা) এর অং শ একটি সুশ্ৰী দাসী পড়েছিল ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে
সাতটি বন্দীর বিনিময়ে খরিদ করে নেন ৷ এরপর তাকে তিনি সত্ত্বজগােজের জন্য উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করেন ৷ রাবী হস্ফোদ (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা সাফিয়্যাকে উম্মু সালামা
(রা)-এর কাছে সমর্পণ করে দিলেন যাতে সেখানে তার ইদ্দতকাল অতিবাহিত হয় ৷ এটি আবু
দাউদের একক বর্ণনা ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) যখন বনু আবুল হুকাইকের নিকট থেকে কামুস
নামক দৃর্গটি জয় করলেন তখন সাফিয়্যা (রা) বিনত হুয়াই ও তার সাথে অন্য একজন বন্দিনীকেও
রাসুল (না)-এর সামনে আনয়ন করা হল ৷ বিলাল (রা) উক্ত ইে জন মহিলাকে নিয়ে তাদের
নিহত আত্মীয়-াজনদের পাশ দিয়ে যড়াচ্ছিলেন ৷ সাফিয়্যা (বা) এর সাথী মহিলাঢি নিহত
ব্যক্তিদেরকে দেখে উচ্চারে র্কাদতে লাগল, মহিলাটি নিজেদের মুখে আঘাত করতে লাগল এবং
মাথায় ধুলি নিক্ষেপ করতে লাগল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তখন বললেন, এই উচ্ছুৎখল নারীটিকে
এখান থেকে নিয়ে যাও ৷ কিন্তু সাফিয়্যা (রা)-কে দেখে হুয়ুর (সা) তার জন্যে হুয়ুরের পিছনে
বসার জায়গা করে দেন এবং তার জন্যে পর্দড়ার ব্যবস্থা করে দেন ৷ মুসলমড়ানপণ বুঝতে পারলেন
যে, রড়াসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে নিজের জন্যে পসন্দ করেছেন ৷ সাফিয়্যার সঙ্গী ইয়াহুদী মহিলাটির কাণ্ড
দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বিলাল (রা)-কে লক্ষ্য করে বললেন, হে বিলাল তোমার নিকট হতে কি
রহমত ও মমতড়াবােধ লোপ পেয়ে গেছে যে, তুমি এ দুটি মহিলাকে তাদের সঙ্গীদের শবদেহ
দেখিয়ে রেড়াচ্ছ ? আর হযরত সাফিয়্যা (রা) যখন কিনানা ইবন রাবী ইবন আবুল হুকাইক এর
নব পরিণীতা ছিলেন তখন তিনিাপ্ন দেখেন যে, আকাশের চীদ যেন তার কোলে পতিত হচ্ছে ৷
তিনি তখন তারামীর কাছে এাপ্নটি ব্যক্ত করেন ৷ামী বলল, এটি তো, তোমার হিজড়ায়ের
শাসক মুহাম্মাদকে পাওয়ার আকাক্ষে৷ বৈ কিছু না ? এরপর সে তার চেহারায় আঘাত করে ফলে
তার চোখ নীলবর্ণ হয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর সামনে যখন তাকে পেশ করা হল তখন তার
চেহারায় আঘাতের চিহ্ন ছিল ৷ তিনি এ সম্বন্ধে তাকে জিজ্ঞেস করেন ৷ হযরত সাফিয়্যা (রা)
তখন তাকে বিস্তারিত জানালেন ৷

ইবন ইসহাক আরো বলেন, “কিনানা ইবন রাবীর নিকট বনুনযীরের বিপুল পরিমাণ সম্পদ
গচ্ছিত ছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর কাছে তাকে পেশ করা হলে, সেই সম্পদ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্
(না) তাকে জিজ্ঞেস করলেন; কিন্তু সে সম্পদের কথা আীকার করল এবং এ সম্বন্ধে কোন কিছু


[قِصَّةُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ] ذِكْرُ قِصَّةِ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ النَّضَرِيَّةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَكَانَ مِنْ شَأْنِهَا أَنَّهُ لَمَّا أَجْلَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَهُودَ بَنِي النَّضِيرِ مِنَ الْمَدِينَةِ - كَمَا تَقَدَّمَ - فَذَهَبَ عَامَّتُهُمْ إِلَى خَيْبَرَ، وَفِيهِمْ حُيَيُّ بْنُ أَخْطَبَ وَبَنُو أَبِي الْحُقَيْقِ، وَكَانُوا ذَوِي أَمْوَالٍ وَشَرَفٍ فِي قَوْمِهِمْ، وَكَانَتْ صَفِيَّةُ إِذْ ذَاكَ طِفْلَةً دُونَ الْبُلُوغِ، ثُمَّ لَمَّا تَأَهَّلَتْ لِلتَّزْوِيجِ، تَزَوَّجَهَا بَعْضُ بَنِي عَمِّهَا، فَلَمَّا زُفَّتْ إِلَيْهِ وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ بَنَى بِهَا، وَمَضَى عَلَى ذَلِكَ لَيَالٍ، رَأَتْ فِي مَنَامِهَا كَأَنَّ قَمَرَ السَّمَاءِ قَدْ سَقَطَ فِي حِجْرِهَا، فَقَصَّتْ رُؤْيَاهَا عَلَى ابْنِ عَمِّهَا، فَلَطَمَ وَجْهَهَا، وَقَالَ: أَتَتَمَنَّيْنَ مَلِكَ يَثْرِبَ أَنْ يَصِيرَ بَعْلَكِ. فَمَا كَانَ إِلَّا مَجِيءُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَحِصَارُهُ إِيَّاهُمْ، فَكَانَتْ صَفِيَّةُ فِي جُمْلَةِ السَّبْيِ، وَكَانَ زَوْجُهَا فِي جُمْلَةِ الْقَتْلَى. وَلَمَّا اصْطَفَاهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَصَارَتْ فِي حَوْزِهِ وَمُلْكِهِ، كَمَا سَيَأْتِي وَبَنَى بِهَا بَعْدَ اسْتِبْرَائِهَا وَحِلِّهَا، وَجَدَ أَثَرَ تِلْكَ اللَّطْمَةِ فِي خَدِّهَا، فَسَأَلَهَا: " مَا شَأْنُهَا؟ " فَذَكَرَتْ لَهُ مَا كَانَتْ رَأَتْ مِنْ تِلْكَ الرُّؤْيَا الصَّالِحَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا وَأَرْضَاهَا. قَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ