আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১৩৭

আল্লাহ্ এবং তার রাসুল (সা) তোমাদেরকে গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ কারণ,

তা নাপাক ৷ তাই তোমরা গাধার গোশত ফেলে দাও, (আর এ নির্দেশ জারী করার সময় গাধার
গোশত) ডেকচীতে টগবগ করে ফুটছিল ৷ কিতাবুল আহকাম-এ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ ইবন ইসহাক (ব) সালামা ইবন কারকারা জাবির ইবন আবদৃল্লাহ্ সুত্রে
বর্ণনা করেন, আর জাবির খায়বর যুদ্ধে শরীক ছিলেন না :

;, ৷
প্রুপু ;,১া
রাসুল করীম (সা) যখন সােকজনকে পাধার গোশত যেতে ধারণ করেন, যে সময় তিনি
তাদেরকে ঘোড়ার গোশত খাওয়ার অনুমতি দান করেন ৷ বৃখারী ও মুসলিম শরীফে এ হাদীছটি

হাম্মাদ ইবন যায়দ জাবির (রা) সুত্রে বর্ণিত হাদীছে এর সমর্থন পাওয়া যায় ৷ বৃখারী
শরীফের ভাষায় বর্ণিত হয়েছে :



খায়বরের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা) গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন ৷ তবে তিনি ঘোড়ার
গোশত খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন ৷ ইবন ইসহাক (র) আবদুল্লাহ্ ইবন আবু নাজীহ মাকহ্রল সুত্রে
বর্ণনা করেন :

নবী করীম (সা) সেদিন (খায়বরের দিন) চারটি বিষয় নিষেধ করেছেন : (১) যুদ্ধবন্দী
অন্তঃসত্ত্ব৷ নারীর সঙ্গে সঙ্গম (২) গাধার গোশত খাওয়া (৩) নখর বিশিষ্ট হিংস্র জন্তুর গোশত
খাওয়া এবং (৪) বন্টন করার আগে গনীমতের মাল বিক্রয় করা ৷
এ হাদীছটি মুরসাল পর্যায়ের ৷
ইবন ইসহাক (র) ইয়াযীদ ইবন আবুহাবীব হাসান সানআনী সুত্রে বর্ণনা করেন :
আমরা রুওয়াইফে ইবন ছাবিত আল-আনসারীর সঙ্গে মাগরিব দেশের এবল্টা জনপদে,

যাকে বলা হতো জিরবা’ লড়াই করি ৷ তিনি উক্ত জনপদ জয় করে সেখানে দাড়িয়ে ভাষণ দান
করেন ৷ ভাষণে তিনি বলেন :

লোক সকল ! আমি তোমাদের মধ্যে কেবল এমন কথা বলবো, যা আমি রাসুল করীম (সা)
কে বলতে শুনেছি ৷ খায়বরের দিন রাসুল করীম (সা) আমাদের মধ্যে দাড়িয়ে বলেন : আস্লাহ্
আর শেষ দিনে বিশ্বাস করে এমন কোন ব্যক্তির জন্য অপরের ক্ষেতে পানি সিঞ্চণ করা হালাল
নয় ৷ অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্ব৷ বন্দী দাসীর সঙ্গে সঙ্গত হওয়া বৈধ নয় ! আল্লাহ এবং শেষ দিনে বিশ্বাস করে
এমন কোন লোকের জন্য হড়ালাল নয় ঋতুস্রড়াব থেকে পবিত্র হওয়ার পুর্বে কোন বন্দী দাসীর সঙ্গে


بِغَنَمِهِ حَتَّى عَمَدَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: إِلَى مَا تَدْعُو؟ قَالَ: " أَدْعُوكَ إِلَى الْإِسْلَامِ؛ أَنْ تَشْهَدَ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ، وَأَنْ لَا تَعْبُدَ إِلَّا اللَّهَ ". قَالَ: فَقَالَ الْعَبْدُ: فَمَاذَا يَكُونُ لِي إِنْ شَهِدْتُ بِذَلِكَ وَآمَنْتُ بِاللَّهِ؟ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " الْجَنَّةُ إِنْ مِتَّ عَلَى ذَلِكَ ". فَأَسْلَمَ الْعَبْدُ فَقَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ إِنَّ هَذِهِ الْغَنَمَ عِنْدِي أَمَانَةٌ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَخْرِجْهَا مِنْ عَسْكَرِنَا وَارْمِهَا بِالْحَصْبَاءِ، فَإِنَّ اللَّهَ سَيُؤَدِّي عَنْكَ أَمَانَتَكَ ". فَفَعَلَ فَرَجَعَتِ الْغَنَمُ إِلَى سَيِّدِهَا، فَعَرَفَ الْيَهُودِيُّ أَنَّ غُلَامَهُ قَدْ أَسْلَمَ. فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَعَظَ النَّاسَ، فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فِي إِعْطَائِهِ الرَّايَةَ عَلِيًّا، وَدُنُوِّهِ مِنْ حِصْنِ الْيَهُودِ وَقَتْلِهِ مَرْحَبًا، وَقُتِلَ مَعَ عَلِيٍّ ذَلِكَ الْعَبْدُ الْأَسْوَدُ، فَاحْتَمَلَهُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى عَسْكَرِهِمْ، فَأُدْخِلَ فِي الْفُسْطَاطِ، فَزَعَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اطَّلَعَ فِي الْفُسْطَاطِ، ثُمَّ اطَّلَعَ عَلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ: " لَقَدْ أَكْرَمَ اللَّهُ هَذَا الْعَبْدَ وَسَاقَهُ إِلَى خَيْرٍ، قَدْ كَانَ الْإِسْلَامُ مِنْ نَفْسِهِ حَقًّا، وَقَدْ رَأَيْتُ عِنْدَ رَأْسِهِ اثْنَتَيْنِ مِنَ الْحَوَرِ الْعِينِ» ". وَقَدْ رَوَى الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ مِنْ طَرِيقِ ابْنِ وَهْبٍ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ خَيْبَرَ، فَخَرَجَتْ سَرِيَّةٌ، فَأَخَذُوا إِنْسَانًا مَعَهُ غَنَمٌ يَرْعَاهَا، فَذَكَرَ نَحْوَ قِصَّةِ هَذَا الْعَبْدِ الْأَسْوَدِ، وَقَالَ فِيهِ: قُتِلَ شَهِيدًا وَمَا سَجَدَ لِلَّهِ سَجْدَةً.