আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১৩৩

এসবই তিনি উল্লেখ করলেন ৷ লোকজনের ধারণা, রাসুল করীম (সা) সেনা ছাউনিতে উপস্থিত হন
এবং সাহাবীগণকে সেখানে প্রত ত্যক্ষ করেন ৷ তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা আলা এ দাসকে
সম্মানিত করেছেন আর তাকে মঙ্গল ও কল্যাণের পথে পরিচালিত তকরেছেন ৷ সত্যিক৷ ৷র অর্থে
ইসলাম তার অন্তরে স্থান করে নিয়েছিল আর আমি তার শিয়রে দু’জন আয়তলোচনা হুর দেখতে
পেয়েছি ৷ হাফিয বায়হাকী (র) ইবন ওয়াহাব জাবির ইবন আবদুল্লাহ সুত্রে বর্ণনা করেন

যে, খায়বর যুদ্ধে আমরা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে ছিলাম ৷ সৈন্যদের একটি ছোট দল রওয়ানা
হল ৷ তারা একজন লোককে পাকড়াও করলো, যার সঙ্গে বকরী ছিল ৷ লোকটি বকরীগুলাে
চরাচ্ছিল ৷ এভাবে কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনীর মতে৷ কাহিনী উল্লেখ করে তাতে শেষে বললেন : সে
শহীদ হিসাবে মৃত্যু বরণ করে; অথচ সে আল্লাহকে একটা সিজদাও করেনি ৷

বায়হাকী (রা) মুহাম্মাদ ইবন মুহাম্মাদ — আনাস (বা) থেকে বংনাি করেন : জনৈক ব্যক্তি
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আরয করল : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমি একজন
কৃষ্ণকায় কদাকার ব্যক্তি ৷ আমার কোন অর্থ-সম্পদ নেই ৷ আমি যদি এদের সঙ্গে লড়াই করতে
করতে মারা যাই তবে কি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবো ? রাসুলুল্ল৷ হ্ (সা) বললেন, হা, তুমি
জান্নাতে যাবে ৷ লোকটি এগিয়ে এসে লড়াই করতে করতে জীবন দিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার
লাশের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেনং আল্লাহ্৫৩ তোমার ঘুখমণ্ডল উজ্জ্বল করুন, তোমার আত্মাকে
পবিত্র করভ্রুন ৷ আ তোমার সম্পদ বর্ধিত করুন এবং বললেনং আমি তার দু জন আয়তলোচনা
হুর ত্রীকে তাকে নিয়ে বিবাদ করতে দেখেছি,৩ ৷ ৷রা তার দেহ আর জুব্বার মধ্যে কে আগে প্রবেশ

করবে এ ব্যাপারে ঝগড়া করছিল ৷ বায়হাকী (র) ইবন জুরায়জ — ইবনুল হাদ সুত্রে বর্ণনা
করেন :

জনৈক বেদুঈন রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর দরবারে উপস্থিত হয়ে ঈমান আনলে৷ , আনুগত্য প্রকাশ
করলো ৷ সে বললো, আমি আপনার সঙ্গে হিজরত করবো ৷ তাই রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার ব্যাপারে
কোনও একজন সাহাবীকে ওসীয়ত করলেন ৷ খায়বর যুদ্ধ সংঘটিত হলে রাসুল করীম (সা)
গনীমতের মাল লাভ করেন এবং সে মাল বণ্টনকালে বণ্টনে তিনি তাকে অং শীদ৷ ৷র করলেন ৷
তাকে যে অংশ তিনি দিয়েছিলেন জনৈক সঙ্গী সাহাবীগণ ৷তা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় ৷ লোকটি
বকরী চরাত ৷ লোকটি উপস্থিত হলে তার বন্ধু বা তাকে তার অংশ পৌছিয়ে দিল ৷ সে বললোং :
এটা কি? জবাবে তারা জান ৷,লাে র ৷সুলুল্লাহ্ (সা ) তোমাকে এ অংশ দান করেছেন ৷ তখন লোকটি
রাসুলুল্পাহ্ (সা) এর নিকট উপস্থিত হয়েত ৷র গনীমতে অংশ লাভের কথা নিশ্চিত করে বললো০ ং
আমি এ মাসের জন্য আপনার আনুগত্য নিশ্চিত হয়ে করিনি; বরং আমিতে৷ আপনার আনুগত্য
স্বীকার করেছি এজন্য যে, আমি এ দিকে তীর নিক্ষেপ করবো একথা বলে সে তীর দ্বারা গলার
দিকে ইশারা করে আর এভাবে মৃত্যু বরণ করে আমি জান্নাতে প্রবেশ করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্
(সা) বললেন, তোমার নিয়াতের যদি সত্য হয়ে থাকে তবে আল্লাহ তা পুরণ করবেন ৷ এরপর
দৃশমনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সকলেই রওয়ানা হলেন ৷ (লোকটিও তাদের সঙ্গে ছিল এবং
লড়াই এ জীবন দান করলো) ৷ লড়াই শেষে লোকটির মৃতদেহ রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর সমীপে
উপস্থিত করা হলো ৷ (দেখা গেল) সে যেখানে ইশার৷ করেছিল, সেখানেই ভীরের আঘাত


بَرَزَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ، وَصَارَتْ بَيْنَهُمَا كَالرَّجُلِ الْقَائِمِ، مَا فِيهَا فَنَنٌ، ثُمَّ حَمَلَ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ فَضَرَبَهُ فَاتَّقَاهُ بِالدَّرَقَةِ، فَوَقَعَ سَيْفُهُ فِيهَا، فَعَضَّتْ بِهِ فَأَمْسَكَتْهُ، وَضَرَبَهُ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ حَتَّى قَتَلَهُ» . وَقَدْ رَوَاهُ الْإِمَامُ أَحْمَدُ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، بِنَحْوِهِ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَزَعَمَ بَعْضُ النَّاسِ أَنَّ مُحَمَّدًا ارْتَجَزَ حِينَ ضَرَبَهُ وَقَالَ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَاضِ ... حُلْوٌ إِذَا شِئْتُ وَسُمٌّ قَاضِ وَهَكَذَا رَوَاهُ الْوَاقِدِيُّ، عَنْ جَابِرٍ وَغَيْرِهِ مِنَ السَّلَفِ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ هُوَ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا، وَذَكَرَ الْوَاقِدِيُّ أَنَّ مُحَمَّدًا قَطَعَ رِجْلَيْ مَرْحَبٍ، فَقَالَ لَهُ: أَجْهِزْ عَلَيَّ. فَقَالَ: لَا، ذُقِ الْمَوْتَ كَمَا ذَاقَهُ مَحْمُودُ بْنُ مَسْلَمَةَ. فَمَرَّ بِهِ عَلِيٌّ وَقَطَعَ رَأْسُهُ، فَاخْتَصَمَا فِي سَلَبِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَعْطَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ سَيْفَهُ وَرُمْحَهُ وَمِغْفَرَهُ وَبَيْضَتَهُ. قَالَ: وَكَانَ مَكْتُوبًا عَلَى سَيْفِهِ: هَذَا سَيْفُ مَرْحَبْ ... مَنْ يَذُقْهُ يَعْطَبْ ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَنَّ أَخَا مَرْحَبٍ، وَهُوَ يَاسِرٌ، خَرَجَ بَعْدَهُ وَهُوَ يَقُولُ: