আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১৩১

ব্যাপার কী ? লোকটি রাসুল কবীম (সা) কে সকল কথা খুলে বললে তিনি বললেন : একজন
লোক মানুষের দৃষ্টিতে বাহ্যত৪ জান্নাতী ব্যক্তির ন্যায় আমল করে; কিন্তু আসলে সে জাহান্নামী;
পক্ষম্ভেরে অপর ব্যক্তি বাহ্য দৃষ্টিতে জাহান্নামীর মতো আমল করে; কিন্তু পরিণামে সে হবে
জান্নাতী ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা সহল সুত্রেও হাদীছটি অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী
আবুল ইয়ামড়ান আবুহ্বায়রা সুত্রে বর্ণনা করেন বলে :

“খায়বর (যুদ্ধে) আমরা উপস্থিত ছিলাম ৷ রাসুল কবীম (সা) ইসলামের দাবীদার তার জনৈক
সফর সঙ্গী সম্পর্কে বললেন : এ ব্যক্তি জাহান্নড়ামী ৷ যুদ্ধ ক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে লোকটি প্রচণ্ড লড়াই
করে ৷ লোকটি অনেক আঘাত পেল ৷ (রাসুল কবীম (সা) এর উক্তি সম্পর্কে) অনেকের সন্দিহড়ান
হওয়ার উপক্রম হল ৷ লোকটি আঘাতের প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলো ৷ সে তুণীরে হাত দিয়ে তা
থেকে কয়েকটি তীর বের করলো আর সেগুলোর দ্বারা নিজের জীবন নস্পে করলো ৷ ব্যাপারটা
অনেকের কাছে গুরুতর ঠেকলাে ৷ তারা রাসুল কবীম (সা) কে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আল্লাহ্
তাআলা আপনার কথা সত্যে পরিণত করেছেন ৷ সেতে৷ নিজেকে যবাই করে আত্মহত্যা করছে ৷
তখন রাসুল কবীম (সা) বললেন : হে অমুক ৷ উঠে দাড়াও এবং ঘোষণা দাও যে, ঘুমিন ব্যক্তি
ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷ আর আল্লাহ তাআলা ফাসিক পাপাচারী ব্যক্তি
দ্বারাও দীনের সাহায্য করেন ৷ মুসা ইবন উকবা যুহ্রী সুত্রে জনৈক কৃষ্ণাঙ্গ দাসের কাহিনী উল্লেখ
করেছেন ৷ যাকে আল্লাহ্ একই সঙ্গে ঈমান এবং শাহাদতের দৌলতে ধন্য করেছেন ৷ অনুরুপ-
ভাবে ইরনু লাহিআ আবুল আসওয়াদ ও উরওয়া সুত্রেও এ কাহিনীটি বর্ণনা করেন : তা নিম্নরুপ :

“খায়বরবাসীদের নিকট র্জ্যনক কাফ্রী ক্রীতদাস এলো, যে ছিল তার মালিকের ছাপপালের
রাখাল ৷ সে যখন দেখতে পেলো যে, খায়বরবাসীরা অস্ত্র হাতে তুলে নিচ্ছে, তখন সে তাদেরকে
জিজ্ঞাসা করে তোমরা কী চড়াও ? তারা বললো : আমরা এ ব্যক্তির সঙ্গে লড়াই করবো, যে
নিজেকে নবী বলে দাবী করছে ৷ এতে তার মনে নবীর কথা জাগলো ৷ তাই সে বকবী নিয়ে রাসুল
কবীম (সা) এর সমীপে হাযির হলো ৷ জিজ্ঞেস করলো, আপনি কিসের দিকে আহ্বান জানান ?
তিনি বললেন : আমি তোমাকে ইসলামের দিকে আহ্বান জানাই ৷ আমি এজন্য আহ্বান জানাই
যে, তুমি সাক্ষ্য দেবে অল্লোহ্ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ্ নেই আর আমি আল্লাহ্র রাসুল ৷ আর
তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারো ইবাদত করবে না ৷ রাবী বলেন, তখন গোলাম বললো, আমি যদি
একথার সাক্ষ্য দেই এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনি তাহলে আমি কি পাবো ? রাসুল কবীম (সা)
বললেন, একথার অৰিচল থেকে মৃত্যুবরণ করতে পারলে তুমি জড়ান্নাত লাভ করবে ৷ তখন
গোলামটি ঈমান এনে বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ৷ এসব বকরীতেড়া আমার নিকট আমানত ৷ তখন
রাসুল কবীম (সা) বললেন : এসব বকরীকে কংকর নিক্ষেপে আমাদের সৈন্যদলের আওতা
থেকে তাড়িয়ে দাও ৷ আল্লাহ্ তাআলড়া তোমার আমানত যথাস্থানে পৌছাবেন ৷ সে তাই করলো
আর বকরীগুলো তার মালিকের নিকট ফিরে পেল ৷ তখন য়াহ্রদী আচ করতে পারলো যে, তার
গোলামটি ইসলাম গ্রহণ করেছে ৷ তখন রাসুল কবীম (সা) দাড়িয়ে লোকদেরকে উপদেশ
দিলেন ৷ এরপর রাবী আলী (রা)-কে পতাকা দেন ৷ য়াহুদীদের দুর্গের নিকট হযরত আলী
(রা)-এর গমন এবং মারহাবকে হত্যড়া করার কথাও উল্লেখ করলেন ৷ সাথে সাথে আলীর সঙ্গে
মিলে সেই কৃষ্ণাঙ্গ দাসের লড়াই করা এবং তার মৃতদেহ মুসলিম সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া


قَابُوسِ بْنِ أَبِي ظَبْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، «عَنْ عَلِيٍّ قَالَ: لَمَّا قَتَلْتُ مَرْحَبًا جِئْتُ بِرَأْسِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» . وَقَدْ رَوَى مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ أَنَّ الَّذِي قَتَلَ مَرْحَبًا هُوَ مُحَمَّدُ بْنُ مَسْلَمَةَ. وَكَذَلِكَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَهْلٍ، أَحَدُ بَنِي حَارِثَةَ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: «خَرَجَ مَرْحَبٌ الْيَهُودِيُّ مِنْ حِصْنِ خَيْبَرَ وَهُوَ يَرْتَجِزُ وَيَقُولُ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي مَرْحَبُ ... شَاكِي السِّلَاحِ بَطَلٌ مُجَرَّبُ أَطْعَنُ أَحْيَانًا وَحِينًا أَضْرِبُ ... إِذَا اللُّيُوثُ أَقْبَلَتْ تَحَرَّبُ إِنَّ حِمَايَ لِلْحِمَى لَا يُقْرَبُ قَالَ: فَأَجَابَهُ كَعْبُ بْنُ مَالِكٍ: قَدْ عَلِمَتْ خَيْبَرُ أَنِّي كَعْبُ ... مُفْرِّجُ الْغَمَّا جَرِيءٌ صُلْبُ