আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

سبب تسميتها وأحداثها

পৃষ্ঠা - ২৬৩০

যবাইয়ের যোপ্ন দেখেছি তা হল আমাদের পক্ষের এবং শত্রু পক্ষের কিছু লোক নিহত হবে ৷
তা আরাতরবাবি ভাঙ্গার বিষয়টি আমার নিকট খুবই বষ্টিদায়ক ৷ কারো কারো মন্তব্য এই যে, তরবারি
তাঙ্গা বিষয়ে রা সুলুল্লাহ্ (সা) যা দেখেছেন তা হল উহুদ দিবসে তার মুখমণ্ডলে আপতিত আঘাত
সেদিন তার চেহারা মুবা রকে আঘাত করেছিল ৷ তারা তার দাত শহীদ করে দিয়েছিল ৷৩ তার ঠোট
যখন করেছিল ৷ ঐতিহাসিকদের ধারণা, উত বা ইবন আবু ওয়াক্কাস ইার প্রতি বর্শা নিক্ষেপ
করেছিল,াপ্নে দেখা গরু যবাই এর ব্যাখ্যা হলো সেই দিনে শাহাদাত বরণকারী মুসলিমপণ,
রাসুলুল্লাহ্ (যা) বলেছেন যে, মেষ এর ব্যাখ্যা আমার মতে শত্রু পক্ষের সৈন্য ৷ মুসলিমগণ
তাদেরকে হত্যা করবেন ৷ মযবুত লৌহ বর্মের ব্যাখ্যা হল মদীনা নগরী ৷ মুজাহিদদেরকে নির্দেশ
দিয়ে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তোমরা মদীনাতেই অবস্থান কর এবং নারী ও শিশুদেরকে দুর্গের
মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দাও ৷ শত্রুরা যদি আমাদের এলাকায় প্রবেশ করে তবে আমরা
ওদের মুকাবিলা করব যুদ্ধ করব আর দুর্গের মধ্যে থাকা লোকজন ওদের প্রতি পাথর নিক্ষেপ
করবে ৷ মদীনাবাসীগণ মদীনার গলিপথ ও রাস্তা গুলোকে ঘর বাড়ী বানিয়ে আরো সংকীর্ণ করে
তুলেছিল ৷ ফলে পুরো মদীনা নগরী দুর্গের ন্যায় হয়ে উঠেছিল ৷ যারা বদরের যুদ্ধে অ শ গ্রহণ
করতে পারেননি রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর প্রভাব শুনে তারা বললেন, আমরা এমন একটি দিনের
আকাত্খায় ছিলাম ৷ মুখোমুখি জিহাদের একটি দিন আমাদেরকে দেয়ার জন্যে আমরা আল্লাহ্র
নিকট দুআ করতাম ৷ আল্লাহ তাআলা আজ আমাদেরকে তেমন দিন দিয়েছেন এবং এর দুরত্ও
কম ৷ জনৈক আনসারী বলে উঠলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আমাদের বাড়ীর কাছে ওরা এসে
পড়েছে ৷ এখন যদি আমরা ওদের সাথে মুখোমুখি যুদ্ধ না করি তবে আর করে তা করব ? কতক
লোক বলল, ওদের পশুপ্রাণীগুলোাতো আমাদের ফসল খেয়ে দলিত মথিত করে দিচ্ছে ৷ আমরা
যদি ওই ফসল রক্ষা করতে না পারিত তবে কি আর রক্ষা করব ? অন্য কতক লোক পুর্ববর্তীদের
সমর্থনে কথা বললেন ৷ তাদের একজন হযরত হামযা (রা) ৷ তিনি বললেন, যে মহান আল্লাহ্
আপনার প্রতি কিতাব নাযিল কবেছেন৩ তার কসম করে বলছি আমরা ওদের মুকাবিলা করবই ৷
বানু সালিম গোত্রের নুআয়ম ইবন মালিক ইবন ছালাবা বললেন, হে অাল্লাহ্র নবী ! আমাদেরকে
জান্নাত থেকে বঞ্চিত করবেন না, যার হাতে আমার প্রাণ ! সেই মহান সত্তার কসম, আমি অবশ্যই
জান্নাতে প্রবেশ করব ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন, তুমি কেমন করে জান্নাতে যাবে ? তিনি বললেন,
কারণ আমি আল্লাহ্কে ও তীর রাসুলকে ভালবাসি এবং জিহাদের দিলে আমি ময়দান ছেড়ে
পালাবনা , রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ ৷ সত্যি সত্যি সেদিন নুআয়ম (রা)
শাহাদাত বরণ করেন ৷ বহুলোক সেদিন বাইরে এসে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত ছিলেন ৷ রাসুলুল্লাহ্
(সা) এর প্রস্তাবে তারা সন্তুষ্ট হননি ৷ তার প্রস্তাব যদি তারা মেনে নিতেন তবে তা তাদের জন্য
অনেক ভাল হত ৷ কিন্তু তাল্লাহ্র নির্ধারিত ফায়সালা ই প্রাধান্য পেল ৷ বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করার
প্রস্তাব যারা দিয়েছিলেন তাদের অধিকাৎশই বদর যুদ্ধে অনুপ ত ছিলেন, বদর যুদ্ধে অংশ
গ্রহণকারীদের মাহা ত্ম্য সম্পর্কে তারা জ্ঞাত ছিলেন ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা) জুমু আর নামায আদায় করছিলেন ৷ তিনি তাদেরকে উপদেশ দিলেন ৷
নসীহত করলেন ৷ এবং সাধ্য মত জিহাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দিলেন ৷ যথা নিয়মে খুতবা ও
নামায শেষ করলেন ৷ তারপর যুদ্ধ পোশাক আনয়নের নির্দেশ নিলেন ৷ তিনি যুদ্ধ পোশাক


دِرْعٍ حَصِينَةٍ، وَأَنِّيَ مُرْدِفٌ كَبْشًا. فَلَمَّا أَخْبَرَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرُؤْيَاهُ، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَاذَا أَوَّلْتَ رُؤْيَاكَ؟ قَالَ: أَوَّلْتُ الْبَقْرَ الَّذِي رَأَيْتُ نَفَرًا فِينَا وَفِي الْقَوْمِ، وَكَرِهْتُ مَا رَأَيْتُ بِسَيْفِي: وَيَقُولُ رِجَالٌ: كَانَ الَّذِي رَأَى بِسَيْفِهِ، الَّذِي أَصَابَ وَجْهَهُ ; فَإِنَّ الْعَدُوَّ أَصَابَ وَجْهَهُ يَوْمَئِذٍ، وَقَصَمُوا رَبَاعِيَتَهُ وَخَرَقُوا شَفَتَهُ، يَزْعُمُونَ أَنَّ الَّذِي رَمَاهُ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَاصٍّ، وَكَانَ الْبَقْرُ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ. وَقَالَ: أَوَّلْتُ الْكَبْشَ أَنَّهُ كَبْشُ كَتِيبَةِ الْعَدُوِّ يَقْتُلُهُ اللَّهُ، وَأَوَّلْتُ الدِّرْعَ الْحَصِينَةَ الْمَدِينَةَ، فَامْكُثُوا وَاجْعَلُوا الذَّرَارِيَّ فِي الْآطَامِ، فَإِنْ دَخَلَ عَلَيْنَا الْقَوْمُ فِي الْأَزِقَّةِ، قَاتَلْنَاهُمْ وَرُمُوا مِنْ فَوْقِ الْبُيُوتِ، وَكَانُوا قَدْ سَكُّوا أَزِقَّةَ الْمَدِينَةِ بِالْبُنْيَانِ حَتَّى صَارَتْ كَالْحِصْنِ. فَقَالَ الَّذِينَ لَمْ يَشْهَدُوا بَدْرًا: كُنَّا نَتَمَنَّى هَذَا الْيَوْمَ وَنَدْعُو اللَّهَ، فَقَدْ سَاقَهُ اللَّهُ إِلَيْنَا وَقَرَّبَ الْمَسِيرَ. وَقَالَ رِجَالٌ مِنَ الْأَنْصَارِ: مَتَى نُقَاتِلُهُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا لَمْ نُقَاتِلْهُمْ عِنْدَ شِعَبِنَا؟ وَقَالَ رِجَالٌ: مَاذَا نَمْنَعُ إِذَا لَمْ تَمْنَعُ الْحَرْثَ يُزْرَعُ؟