আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১২০

করীম (সা) বললেন ৪ আপামীকাল আমি আমার পতাকা এমন এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত করবো, যে
আল্লাহ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা)ন্কে ভালবাসে আর আল্লাহ এবং তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷
আল্লাহ তার হাতে বিজয় সুচিত না করা পর্যন্ত যে ব্যক্তি ফিরে আসবে না ৷ আগামীকাল বিজয়
নিশ্চিত এ আশায় আমরা প্রশান্ত চিত্তে রাত্রি যাপন করি ৷ তখন রাসৃলুল্লাহ্ (সা) ফজরের সালাত
আদায় করে পতাকা নিয়ে আসতে বলেন এবং নিজে দাড়িয়ে থাকেন ৷ রাসুল করীম (সা)-এর
নিকট যার কিছু মযদি৷ আছে সে-ই আশা পোষণ করে যে, সেই হবে রাসুলের কাডিক্ষত ব্যক্তি ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর নিকট আমার যেটুকু স্থান আছে, তাতে আমি আশা পোষণ করি এবং মাথা
তুলে এগিয়ে যাই ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা) আলী ইবন আবু তালিবকে তলব করেন ৷ তখন তিনি
চক্ষু পীড়ায় ভুগছিলেন ৷ রাবী বলেন, রাসুল করীম (সা) তার চোখে হাত বুলান আর তার হাতে

কা তুলে দেন ৷ তিনি বিজয় অর্জন করেন ৷ তখন আমি আবদুল্লাহ ইবন বৃরায়দাকে বলতে
শুনি, তিনি বলছিলেন, তিনি ছিলেন মারহাবকে হত্যাকারী ৷

ইবন ইসহাক সুত্রে ইউনুস বলেন যে, খায়বরের দৃর্পগুলাের মধ্যে সর্বপ্রথম নাএম’ দুর্গ জয়
করা হয় ৷ সেখানেই মাহমুদ ইবন মাসলামাকে শহীদ করা হয় ৷ উপর থেকে তার মাথায় যাতা
নিক্ষেপ করা হলে তাতে তিনি শহীদ হন ৷

ইমাম বায়হড়াকী (র) ইউনুস ইবন বুক৷ য়র আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা সুত্রে৩ তিনি তার
পিত ৷ থেকে বর্ণনা করেনং রাসুলুল্লাহ্ (সা) কখনো কখনো মাথা ব্যথায় ১ আক্রান্ত হতেন ৷ তখন
দৃ একদিন ঘর থেকে বের হতেন না ৷ থায়বরেও তিনি মাথা ধরায় আক্রান্ত হন ৷ এ সময়ও তিনি
লোকজনের সম্মুখে উপস্থিত হননি ৷ হযরত আবু বকর (রা) বাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর পতাকা নিয়ে
বের হন এবং তুমুল জিহাদ শেষে প্রত্যাবর্তন করেন ৷ এরপর হযরত উমর (রা) রাসুলুল্লাহ্র (সা)
পতাকা ধারণ করে ভীব্রে জিহাদ করেন যা ছিল পুর্বের চেয়ে আরো অনেক কঠোর; কিন্তু তিনিও
ফিরে আসেন ৷ এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্ (সা) কে অব ৩করা হলেও তিনি বললেন, আগামী কাল
আমি এমন লোকের হাতে এ পতাকা তুলে দেবাে, যে আল্লাহ্ ও তার বা সুলকেভ ৩ালবাসে এবং
আল্লাহ্ ও তার রাসুলও যাকে ভালবাসেন ৷ আর যে ব্যক্তি শক্তি প্রয়ােপে উক্ত অঞ্চল জয় করবেন ৷
(রাসুলুল্লা হ্ (সা) যখন একথা বলেন) তখন সেখানে আলী (রা) ছিলেন না ৷ প্রতিটি কুরায়শী আর
প্রতিটি ব্যক্তি আশা পোষণ করেছিলেন যে, তিনিই হবেন যে ব্যক্তি ৷ প্রতু ৷ষে একটা উটে
আরোহণ করে হযরত আলী (বা) আগমন করে উট থেকে নেমে৩ তা বাধলেন ৷ এসময় তিনি
চক্ষুপীড়া য় ভুগছিলেন ৷ এ কারণে তার চক্ষুদ্বয়ে কাতা ৷রী কাপড় দ্বারা পট্টি বাধা ছিল ৷ রড়াসুলুল্লাহ্
(সা) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমার কী হয়েছে ? বললেন, চক্ষু ব্যথা করছে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
বললেন, আমার কাছে এসে৷ ৷ (তিনি কাছে এলে) রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার চোখে মুখের লালা
লাগান ৷ এরপর তার জীবনের অন্তিম দিন পর্যন্ত আর কখনো তিনি চক্ষু পীড়া ৷য় আক্রান্ত হননি ৷
এরপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার হাতে পতাকা তুলে দিলে তিনি পতাকা নিয়ে রওয়ানা হন ৷ এসময়
তার পায়ে ছিল আরজুয়ড়ান এর লাল জুব্বা ৷ তিনি খায়বরে আগমন করলে দুর্গের অধিপতি
মারহাব বেরিয়ে আসে ৷ মারহাবের শিরে ছিল ইয়ামানী শিরস্ত্রাণ ৷ পাথরের কারুকার্য করা এ
শিরস্ত্রাণ তিনি মাথায় ব্যবহার করেন ৷ আর মুখে নিম্নোধৃত কবিতা আবৃত্তি করছিলেন :
১ মুলে মোঃ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ৷ এর অর্থ আমার সামনের দিক বা উভয় দিকের ব্যথা ৷




طُرُقٍ تُذْكَرُ فِي كِتَابِ " الْأَحْكَامِ ". وَقَدْ قَالَ الْحَافِظُ الْبَيْهَقِيُّ: أَنْبَأَنَا أَبُو طَاهِرٍ الْفَقِيهُ، أَنْبَأَنَا حَاجِبُ بْنُ أَحْمَدَ الطُّوسِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَمَّادٍ الْأَبْيَوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفُضَيْلِ، عَنْ مُسْلِمٍ الْأَعْوَرِ الْمُلَائِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعُودُ الْمَرِيضَ، وَيَتَّبِعُ الْجَنَائِزَ، وَيُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ، وَكَانَ يَوْمَ بَنِي قُرَيْظَةَ، وَالنَّضِيرِ عَلَى حِمَارٍ، وَيَوْمَ خَيْبَرَ عَلَى حِمَارٍ مَخْطُومٍ بِرَسَنِ لِيفٍ، وَتَحْتَهُ إِكَافٌ مِنْ لِيفٍ.» وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ بِتَمَامِهِ التِّرْمِذِيُّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ وَابْنُ مَاجَهْ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الصَّبَّاحِ، عَنْ سُفْيَانَ، وَعَنْ عَمْرِو بْنِ رَافِعٍ، عَنْ جَرِيرٍ، كُلُّهُمْ عَنْ مُسْلِمٍ، وَهُوَ ابْنُ كَيْسَانَ الْمُلَائِيُّ الْأَعْوَرُ الْكُوفِيُّ، عَنْ أَنَسٍ، بِهِ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا