আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة سبع من الهجرة النبوية

غزوة خيبر

وقتها

পৃষ্ঠা - ৩১১৩

ইমাম বুখারী (র) আবদুল্লাহ্ ইবন মাসলামা — সালাম! ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা
করেন : আমরা রাত্রিবেলা রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর সঙ্গে খায়বরের উদ্দেশ্যে বের হই ৷ তখন
আমাদের এক ব্যক্তি আমীরকে বললে! : হে আমীর ! তুমি কি আমাদ্যোকে তোমার কিছু ণ্শানাবে

না ? আর আমীর ছিলেন একজন কবি ৷ তখন তিনি বাহন থেকে অবতরণ করে লোকজনকে
উদ্বুদ্ধ করে হুদী পান গোনান :

ন্ট্রষ্ ৰুা

হে আল্লাহ্ ! তুমি না থাকলে আমরা হিদায়াত তথা সরল পথের সন্ধান পেতাম না , আমরা
সদকা করতাম না এবং সালাত আদায় কঃতোম না ৷ সুতরাং তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর, যতদিন
আমরা জীবিত থাকি, তোমার তরে নিজেদের জান কুরৰান হোক ৷ নাযিল কর আমাদের উপর
শান্তি ও নিরাপত্তা ৷

আমরা যখন মুখোমুখি হবো তখন আমাদেরকে অবিচল রেখো ৷ আমাদের প্রতি হুৎকার
দেওয়া হলে আমরা তাকে তৃচ্ছ জ্ঞান করি ৷ চিৎকার দ্বারা আমাদের বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো
বল্পা হয় ৷

পংক্তিগুলো শ্রবণ করে রাসুলুল্লাহ্ (সা) জিজ্ঞাসা করলেন, কে এই হুদী’ গায়ক ? লোকেরা
জানানো : আমীর ইবনুল আকওয়া ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : আল্লাহ্ তারপ্রতি রহম করুন ৷
তখন আমাদের মধ্যে একজন বললো : তার জন্য (শাহাদাত ) অবধারিত হয়ে গেছে ৷ ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনি তার দ্বারা (আরো কিছু কাল) আমাদেরকে যদি উপৃকত হওয়ার সুযোগ
দান করতেন ৷ আমরা খায়বর পৌছে তাদেরকে অবরোধ করে ফেলি ৷ এ সময় আমরা ক্ষুধায়
কাতর হয়ে পড়ি ৷ এরপর আল্লাহ্ তাআলা মুসলমানদেরকে খায়ররে বিজয় দান করেন ৷ যেদিন
খায়বর বিজয় হয় সেদিন বিকালে লোকেরা অনেকগুলো চুলো প্ৰজ্বলিত করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা)
জানতে চইিলেন : এসব কিসের আগুন ? কেন, কিসের জন্য এ আগুন জ্বালচ্ছে ? লোকেরা
বললেন : গোশত পাকাবার জন্য ৷ তিনি বললেন, কিসের ণ্গাশত ? বলা হল : গৃহপালিত গধোর
গোশৃত ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : গোশৃত আর শুররা প্রবাহিত কর এবং (পাত্র) ভেঙ্গে
ৰেলে ৷ তখন এক ব্যক্তি বললো : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ! আমরা কি তা প্রবাহিত করে পাত্র ধুয়ে
ফেলবাে ? নবী করীম (সা) বললেন ? এটাও হতে পারে ৷ লোকেরা যখন সারিবদ্ধ হয়ে দাড়ায়,
আর আমীর এর তলোয়ার ছিল খাট, তিনি এ খাট তরবারি দ্বারা ইয়াহ্রদীর পায়ের গোছায় আঘাত
করা শুরু করেন ৷ তরবারির আঘাত তার নিজের হাটুতে লাগে এবং এতেই আমীর এর মৃত্যু
হয় ৷ যখন তারা ফিরে আসছিলেন তখন (আমীর এর ভাই) সালমা বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা)
আমাকে দেখে আমার হস্ত ধারণ করেন ৷ তিনি জিজ্ঞেস করলেন : তোমার কি হয়েছে ? আমি
বললাম : আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোন ৷ লোকদের ধারণা আমীর এর সকল
আমল পণ্ড হয়ে গেছে ৷ তখন নবী করীম (সা) বললেন : যে ব্যক্তি এমন কথা বলে সে মিথ্যা


فَبَلَغَنِي أَنَّ غَطَفَانَ لَمَّا سَمِعُوا بِذَلِكَ جَمَعُوا، ثُمَّ خَرَجُوا لِيُظَاهِرُوا الْيَهُودَ عَلَيْهِ، حَتَّى إِذَا سَارُوا مَنْقَلَةً، سَمِعُوا خَلْفَهُمْ فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ حِسًّا، ظَنُّوا، أَنَّ الْقَوْمَ قَدْ خَالَفُوا إِلَيْهِمْ، فَرَجَعُوا عَلَى أَعْقَابِهِمْ، فَأَقَامُوا فِي أَمْوَالِهِمْ وَأَهْلِيهِمْ، وَخَلَّوْا بَيْنَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَبَيْنَ خَيْبَرَ وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُشَيْرٍ أَنَّ سُوَيْدَ بْنَ النُّعْمَانِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ «خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ، حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالصَّهْبَاءِ، وَهِيَ مِنْ أَدْنَى خَيْبَرَ، صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ، فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ، فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِّيَ، فَأَكَلَ وَأَكَلْنَا، ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ، ثُمَّ صَلَّى وَلَمْ يَتَوَضَّأْ» . وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي عُبَيْدٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: «خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى خَيْبَرَ، فَسِرْنَا لَيْلًا، فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ لِعَامِرٍ: يَا عَامِرُ، أَلَا تُسْمِعُنَا مِنْ هُنَيْهَاتِكَ؟ وَكَانَ عَامِرٌ رَجُلًا شَاعِرًا، فَنَزَلَ يَحْدُو بِالْقَوْمِ، يَقُولُ: لَاهُمَّ لَوْلَا أَنْتَ مَا اهْتَدَيْنَا ... وَلَا تَصَدَّقْنَا وَلَا صَلَّيْنَا