سنة ست من الهجرة النبوية
السرايا والبعوث التي كانت في سنة ست من الهجرة
পৃষ্ঠা - ৩১০৪
কায়জারের নিকট থেকে তিনি প্রচুর ৰিত্ত-বিভব আর মহামুল্য খিলাত নিয়ে ফিরে আসেন ৷ ফেরার
পথে তিনি ইিস্মা নামক স্থানে পৌছলে জুযাম’ গোত্রের কিছু লোকের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় ;
তারা তার নিকট থেকে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায় ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) এদের বিরুদ্ধেও হযরত যায়দ
ইবন হারিছা (রা)-কে প্রেরণ করেন ৷ ওয়াকিদী (র) আবদ্ল্লোহ্ইবন জাফর — ইয়াকুব ইবন
উতবা সুত্রে বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রা) একশ জন লোকের একটা দল নিয়ে বের হয়ে
বনু আসাদ ইবন বকর-এর নিকট একটি শাখা গোত্রের নিকট গিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন ৷
খায়বরের ইহুদীদেরকে সহায়তা দানের লাক্ষ্য সেখানে এক দল লোক সমবেত হচ্ছে একথা
জানতে পেরে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে প্রেরণ করেছিলেন ৷ এ দলটি রাত্রিবেলা সফর করতো
আর দিনের বেলা আত্মগােপন করে থাকতো ৷ শত্রুপক্ষের এক গুপ্ত১রকে পাকড়াও করা হলে সে
স্বীকার করে যে, তাকে খায়বরে প্রেরণ করা হয়েছে ৷ খায়বরেৱ থেজুরের বিনিময়ে সে
ইহুদীদেরকে সাহায্য করার প্রস্তাব করবে ৷ ওয়াকিদী আরো উল্লেখ করেন যে, ষষ্ঠ হিজরীর শাবান
মাসে আবদুর রহমান ইবন আউফ (রা)এর নেতৃত্বে দৃমাতৃল জান্দাল অভিমুখে একটি বাহিনী
প্রেরণ করা হয় ৷ রাসুলুল্পাহ্ (সা) এ দলকে বলেছেন যে তারা বশ্যতা স্বীকার করলে তাদের
বাদৃশাহের কন্যাকে বিবাহ করবে ৷ তারা ইসলাম কবুল করলে হযরত আবদুর রহমান ইবন আউফ
তাদের বাদ্শাহের কন্যা তামাযুর বিনতৃল আসবা আল-কালবিয়্যাকে বিবাহ করেন আর ইনি
ছিলেন আবু সালামা ইবন আবদুর রহমান ইবন আউফের মা ৷ ওয়াকিদী (র) বলেন যে, ষষ্ঠ
হিজরীর শাওযাল মাসে কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে উরানিহ্মীনদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করা
হয় ৷ যারা রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর রখােলকে হত্যা করে উটগুলি নিয়ে পলায়ন করেছিল ৷ তখন
রাসুলুল্লাহ্ (সা) কুরয্ ইবন জাবির-এর নেতৃত্বে ২০ জন অশ্বারোহীর একটা দল প্রেরণ করেন ৷ এ
বাহিনী তাদেরকে পাকড়াও করে আনে ৷
বুখারী (বস্তু ও মুসলিম (র) সাঈদ ইবন আবু আরুব৷ আনাস ইবন মালিক (রা) সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, উকল এবং উরায়না গোত্রের বর্ণনান্তরে উকল অথবা উরায়নার কিছু লোক
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর দরবারে উপস্থিত হয়ে আরব করে , ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা ) ৷ আমরা এমন লোক
যাদেরকে জীবন যাপন করতে হয় পশুর দুধপান করে ৷ আমাদের ওখানে কোন শস্যশ্যামল ভুমি
নেই ৷ মদীনায় আবহাওয়া আমাদের অনুকুল হয়নি ৷ তথ্যা রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাদেরকে কিছু উট
আর রাখলেসহ চারণভুমিতে গমন করে সেগুলোর দুধ আর পেশার পান করার জন্য বলেন ৷ সে
মতে তারা সেখানে যায় ৷ হারবার’ প্রান্তে পৌছে তারা রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর রাখালকে হত্যা করে
উষ্ট্রগুলাে নিয়ে পলায়ন করে এবং ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে যায় ৷ নবী করীম (সা)
তাদেরকে ধরে আমার জন্য কুরয্ ইবন জাবির আল-ফিহ্রীকে প্রেরণ করেন এবং তাদের হাত পা
কাটার এবং তাদের চোখে লৌহ শলাকা বিদ্ধ করার জন্য তাকে নির্দেশ দান করেন ৷ এ অবস্থায়
তাদেরকে বৌদ্রে উত্তপ্ত কঙ্করময় স্থানে ফেলে রাখা হলে সেখানেই তাদের মৃত্যু হয় ৷ রাবী
কাতাদা (রা) বলেন, আমরা জানতে পেয়েছি যে, এ ঘটনার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা) খুতবা দান করার
জন্য দাড়ালে দান-সদকা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন এবং অঙ্গ-প্ৰত্যঙ্গ কর্তন করতে নিষেধ
করতেন ৷ একদল রাবী কাতাদা সুত্রে অপর দল আনাস ইবন মালিক (রা) স্যুত্র এ হাদীছটি বর্ণনা
قَالَ الْوَاقِدِيُّ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى: وَفِي سَنَةِ سِتٍّ فِي شَعْبَانَ مِنْهَا، كَانَتْ سَرِيَّةُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، إِلَى دَوْمَةِ الْجَنْدَلِ، وَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " «إِنْ هُمْ أَطَاعُوا فَتَزَوَّجْ بِنْتَ مَلِكِهِمْ» ". فَأَسْلَمَ الْقَوْمُ، وَتَزَوَّجَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بِنْتَ مَلِكِهِمْ؛ تُمَاضِرَ بِنْتَ الْأَصْبَغِ الْكَلْبِيَّةَ، وَهِيَ أُمُّ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ.
قَالَ الْوَاقِدِيُّ: فِي شَوَّالٍ سَنَةَ سِتٍّ كَانَتْ سَرِيَّةُ كُرْزِ بْنِ جَابِرٍ الْفِهْرِيِّ إِلَى الْعُرَنِيِّينَ الَّذِينَ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا النَّعَمَ، فَبَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي آثَارِهِمْ كُرْزَ بْنَ جَابِرٍ، فِي عِشْرِينَ فَارِسًا، فَرَدُّوهُمْ.
فَكَانَ مِنْ أَمْرِهِمْ مَا أَخْرَجَهُ الْبُخَارِيُّ وَمُسْلِمٌ، مِنْ طَرِيقِ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَهْطًا مِنْ عُكْلٍ وَعُرَيْنَةَ - وَفِي رِوَايَةٍ: مِنْ عُكْلٍ أَوْ عُرَيْنَةَ - أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا أُنَاسٌ أَهْلُ ضَرْعٍ، وَلَمْ نَكُنْ أَهْلَ رِيفٍ، فَاسْتَوْخَمْنَا الْمَدِينَةَ. فَأَمَرَ لَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَوْدٍ وَرَاعٍ، وَأَمَرَهُمْ أَنْ يَخْرُجُوا فِيهَا، فَيَشْرَبُوا مِنْ أَلْبَانِهَا وَأَبْوَالِهَا، فَانْطَلَقُوا، حَتَّى إِذَا كَانُوا نَاحِيَةَ الْحَرَّةِ قَتَلُوا رَاعِيَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاسْتَاقُوا