আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة الحديبية

سياق البخاري لعمرة الحديبية

পৃষ্ঠা - ৩০৯৯

থেকে বের হয়ে সীফুল বাহ্র তথা সমুদ্র উপকুলীয় অঞ্চলে গমন করেন ৷ যুহ্রী (র) বলেন :
এরপর আবু জুন্দল ইবন সুহায়ল ইবন আমৃরও সেখান থেকে ছুটে এসে আবু বাসীর এর সঙ্গে
যোগ দিয়ে দেন ৷ কুরায়শদের নিকট থেকে কোন মুসলমান পালিয়ে আসলে তিনিও আবুবাসীর
এর জোটে যোগ দিতেন ৷ এভাবে তাদের একটা দল গড়ে উঠে ৷

কুরায়শের কোন বাণিজ্য কাফেল৷ শাম দেশের উদ্দেশ্যে গমন করছে, শুনতে পেলে তারা
পথরোধ করে তাদেরকে হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ হস্তগত করতেন ৷ এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে
কুরায়শরা নবী করীম (সা)এর প্রতি আল্লাহ এবং আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে আবেদন জানায়-
কুরায়শদের মধ্য থেকে যে আপনার কাছে আগমন করে সে নিরাপদ ৷ সে মতে রাসুলুল্লাহ্ (সা)
তাদের নিকট পয়গাম পাঠালে আল্লাহ তাআল৷ আ য়াত নাযিল করেন :


তিনি মক্কা উপত্যকায় ওদের হস্ত তোমাদের থেকে এবং ৫তামাদের হস্ত ওদের থেকে
নিবারণ করেছেন ওদের উপর তোমাদেরকে বিজয়ী করার পর ৷ তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা
দেখেন ৷ ওরাইতে৷ কুফরী করেছিল এবং তােমাদেরকে মাসজিদুল হারাম থেকে নিবৃত্ত করেছিল
এবং বাধা দিয়েছিল কুরবানীর জন্য আবদ্ধ পশুগুলোকে যথাস্থানে পৌছতে ৷ যদি এমন কতক
মু’মিন নারী পুরুষ না থাকতো যাদেরকে তোমরা জাননা (তবে তোমাদেরকে যুদ্ধের আদেশ
দেওয়া হতো) তোমরা তাদেরকে পদদলিত করতে অজ্ঞাতসারে ৷ ফলে তাদের কারণে তোমরা
ক্ষতিগ্রস্ত হতে ৷ (যুদ্ধের নির্দেশ হয় নাই এজন্য যে,) তিনি যাকে ইচ্ছা নিজ অনুগ্রহ দান করবেন ৷
যদি তারা পৃথক হতো আমি তাদের মধ্যে কাফিরদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিতাম ৷ যখন কাফিররা
তাদের অন্তরে পোষণ করতে৷ গোত্রীয় অহমিকা অজ্ঞত৷ যুগের অহমিকা (৪৮ ফাত্হ :
২৪ ২৬) আর তাদের গোত্রীয় অহমিকা ছিল এই যে, তারা রাসুল করীম (সা) কে আল্লাহর নবী
বলে স্বীকার করেনি ৷ বিসৃমিল্লাহ্ শিখাও মেনে নিতে পারেনি এবং বায় তুল্লাহ্ যিয়ারতের পথে
অম্ভরায় হয়ে দাড়িয়েছিল ৷ এ বর্ণনায় এমনসব অতিরিক্ত বিষয় এবং চমৎকার শিক্ষণীয় জিনিষ
আছে যা ইবন ইসহাকের বর্ণনায় নেই ৷

বুখারী (র) কিও তাবুল শুরুত এর শুরুতে ইয়ইিয়া ইবন বুকায়র মিসওয়ার ইবন
মাখৃরামা সুত্রে রাসুল (না)-এর কতিপয় সাহা ৷বী থেকে গোটা কাহিনী বর্ণনা করেছেন ৷ আর এটাই
অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ ক ৷রণ হুদায়বিয়ার দিন মারওয়ান ও মিসওয়ার অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন ৷ আর
এটা স্পষ্ট যে তারা হাদীছটি সাহাবীদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছেন ৷

বুখারী (র) হাসান ইবন ইসহাক আবু ওয়াইল সুত্রে বর্ণনা করেন যে , সুহায়ল ইবন
হুনায়ফ সিফ্ফীন যুদ্ধ থেকে ফিরে এলে (যুদ্ধের) খবরাখবর নেয়ার জন্য আমরা তার কাছে গেলে
তিনি বলেনং : তে তামরা নিজের মতামতের যথার্থ জ্ঞা ৷ন করবে না ৷ হুদায়বিয়ার সন্ধির দিনে আবু
জুন্দলের ঘটনায় রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করার সাধ্য থাকলে আমি অবশ্যই তা
করতাম ৷ কিন্তু আল্লাহ্ এবং তার রাসুলুল্লাহ্ (সা) ই তো সবচেয়ে ভাল জানেন ৷ ইতিপুর্বে কোন
ভয়ংকর ইস্যুতে যখনই আমরা কাধে তরবারি তুলে নিয়েছি এবং জিহাদে প্রবৃত্ত হয়েছি ৷ তখনই


اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَالْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، عَنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَذَكَرَ الْقِصَّةَ. وَهَذَا هُوَ الْأَشْبَهُ؛ فَإنَّ مَرْوَانَ، وَمِسْوَرًا كَانَا صَغِيرَيْنِ يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ، وَالظَّاهِرُ أَنَّهُمَا أَخَذَاهُ عَنِ الصَّحَابَةِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ أَجْمَعِينَ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَابِقٍ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ مِغْوَلٍ، سَمِعْتُ أَبَا حَصِينٍ قَالَ: قَالَ أَبُو وَائِلٍ: لَمَّا قَدِمَ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ مِنْ صِفِّينَ أَتَيْنَاهُ نَسْتَخْبِرُهُ، فَقَالَ: اتَّهِمُوا الرَّأْيَ، فَلَقَدْ رَأَيْتُنِي يَوْمَ أَبِي جَنْدَلٍ وَلَوْ أَسْتَطِيعُ أَنْ أَرُدَّ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْرَهُ لَرَدَدْتُ، وَاللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، وَمَا وَضَعْنَا أَسْيَافَنَا عَلَى عَوَاتِقِنَا لِأَمْرٍ يُفْظِعُنَا إِلَّا أَسْهَلْنَ بِنَا إِلَى أَمْرٍ نَعْرِفُهُ قَبْلَ هَذَا الْأَمْرِ، مَا نَسُدُّ مِنْهَا خُصْمًا إِلَّا انْفَجَرَ عَلَيْنَا خُصْمٌ، مَا نَدْرِي كَيْفَ نَأْتِي لَهُ. وَقَالَ الْبُخَارِيُّ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَسِيرُ فِي بَعْضِ أَسْفَارِهِ، وَكَانَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ يَسِيرُ مَعَهُ لَيْلًا، فَسَأَلَهُ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ عَنْ شَيْءٍ فَلَمْ يُجِبْهُ رَسُولُ اللَّهِ