আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة الحديبية

سياق البخاري لعمرة الحديبية

পৃষ্ঠা - ৩০৯০

উমরাভুল হুদায়ৰিয়া : বুখারীর বর্ণনা

বুখারী (র) কিতাবুল মাগাযীতে আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ মিসৃওয়ার ইবন মাখৃরামা ও
মাৱওয়ান ইবন হকােম সুত্রে বর্ণনা করেন যে, ভীরা উভয়ে বলেন যে , হুদাব্রিয়ার বছর রাসুলুক্ট্রণ্াহ্
(সা) তের শতাধিক সাহাবীকে সঙ্গে নিয়ে বের হন, যুল হুলায়ফছু ’ নামক স্থানে পৌছে তিনি
হাদী’ তথা কুরবানীর পশুকে কালাদা পরানৰু চিহ্নিত করেন এবং সেখান থেকে উমরার ইহ্রাম
ৰ্বাধেন এবং খুযাআ গোত্র থেকে একজন গুপ্তচর প্রেরণ করেন ৷ নবী করীম (সা) চলতে থাকেন
তিনি গাদীর আল-আশতাত’ নামক স্থানে পৌছলে গুপ্তচর তার কাছে এসে বলে :

কুরায়শরা আপনার বিরুদ্ধে সোকবল সমবেত করেছে তারা আপনার বিরুদ্ধে আহাবীশ
দেরকেও একত্র করেছে, তারা আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং বায়ভু-ল্লাহয় গমন করতে আপনাবেঃ

তোমরা কি মনে কর, যারা আমাদেরকে বায়তুল্লাহ্র যিয়ারত করতে বাধা দেয় আমি তাদের
পরিবার ও সন্তানদের দিকে এগিয়ে নিয়ে হামলা চালাবাে ? তারা আমাদের নিকট এলে আল্লাহ
তাতা৷লা মুশরিকদের একটা দলকে ধ্বংস করে দেবেন অন্যথায় আমরা তাদেরকে যুদ্ধে বিপর্যস্ত
অবস্থায় ছেড়ে আসব্যে, তখন আবু বকর (রা) বললেন : ইয়া রাসুল্মল্লাহ্ (সা)! আপনিতাে
বায়তুল্লাহ্ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছেন, আমরা কাউকে হত্যা করতে চাই না ৷ কারো সঙ্গে
যুদ্ধ করতে চাই না ৷ আপনি যে লক্ষোই মনোনিবেশ করুন, তবে কেউ আমাদেরকে বাধা দিলে
আমরা তার সঙ্গে লড়াই করবো ৷ তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) বললেন, তাহলে আল্লাহ্র নাম নিয়ে
তোমরা সম্মুখে অগ্রসর হও ! বুখারী এখানে এ পর্যন্ত বর্ণনা করেছোদ্ভ, এরচোয় বেশী কিছু উল্লেখ
করেননি ৷ বুখারী (র) কিতাবুশ শুরুত তথা জিহ দের শর্ত অধ্যাৰ্হৃদ্র আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মাদ — ণ্
মিসওয়ার ইবন মাখৃরামা ও মারওয়ান ইবনুন হাকাম সুত্রে বর্ণনা করেন :

হুদায়ৰিয়ার দিনগুলোতে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বইির্প৩ হলেন ৷ তিনি তখনো পথে ৷ এমন সময়
রাসৃলুরাহ্ (সা) বললেন : খালিদ ইবন ওয়লীেদ কুরায়শ দলের অশ্বারোহী বাহিনী নিয়ে অগ্রগামী
দলরুপে গামীম’ নামক স্থানে আছে ৷ সুতরাং তোমরা ডান দিকের পথ ধরে অগ্রসর হও ৷ রাবীদ্বয়
বন্ল্াম আল্লাহ্র কসম, খানিদ তাদের সম্পর্কে জানতে পারেনি ৷ যতক্ষণ না তারা সৈন্যদের চলার
ধুলা তারা দেখতে পায় ৷ তখন খালিদ কুরায়শকে সতর্ক করার জন্য ছুটে যায় ৷ নবী করীম্ (সা )
পথ চলা অব্যাহত রাখেন ৷ তিনি যখন ’ছানিয়া’ নামক স্থানে পৌছেন, যেখান থেকে নিচে ন্া৷মতে
হয়, সেখানে রাসুলুল্লাহ্ (সা) এর উটনী বসে পড়ে তখন লোকেরা ওঠ ওষ্ঠ বলে তাকে ড়াবার
চেষ্টা চালান, কিন্তু উটনীঢি বসেই থাকে, লোকজন বলাবলি করতে থাকেন যে, কাসওয়া অবাধ্য
হয়ে বসে পড়েছে ৷ তখন রাসুল (সা) বললেন # কাসওয়া বসে ণড়েনি, আর এটা তার স্বভ্যবও
নয়; বরং যিনি হাতিকে রোধ করেছিলেন তিনি কাসওয়াকেও রোধ করেছেন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্
(সা) বলেন , ক্রারশর৷ যদি আমার নিকট এমন কিছু দাবী করে, যাতে তারা আল্লাহ্র নিদর্শনরাজির
সম্মান রক্ষা করবে তবে আমি তাদেরকে তা বোঝা ৷ এরপর তিনি উটনীকে হাকালে সে উঠলাে ৷
রাসুলুল্লাহ্ (সা ) সেখান থেকে সরে গিয়ে দুরবর্তী ভ্রুদাহুাৰিয়ায় এমন একটা হজােযর নিকট অবস্থান
গ্রহণ করেন ৷ যেখানে সামান্য পানি আছে : সেখানে যে সামান্য প্া৷নি জ্যি৷ লোকজন তা তুলে
৪ ১


[سِيَاقُ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ] ذِكْرُ سِيَاقِ الْبُخَارِيِّ لِعُمْرَةِ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ فِي كِتَابِ الْمَغَازِي: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ حِينَ حَدَّثَ هَذَا الْحَدِيثَ، حَفِظْتُ بَعْضَهُ، وَثَبَّتَنِي مَعْمَرٌ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، يَزِيدُ أَحَدُهُمَا عَلَى صَاحِبِهِ، قَالَا: «خَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فِي بِضْعَ عَشْرَةَ مِائَةً مِنْ أَصْحَابِهِ، فَلَمَّا أَتَى ذَا الْحُلَيْفَةِ قَلَّدَ الْهَدْيَ وَأَشْعَرَهُ، وَأَحْرَمَ مِنْهَا بِعُمْرَةٍ، وَبَعَثَ عَيْنًا لَهُ مِنْ خُزَاعَةَ، وَسَارَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى إِذَا كَانَ بِغَدِيرِ الْأَشْطَاطِ أَتَاهُ عَيْنُهُ، قَالَ: إِنَّ قُرَيْشًا قَدْ جَمَعُوا لَكَ جُمُوعًا، وَقَدْ جَمَعُوا لَكَ الْأَحَابِيشَ، وَهُمْ مُقَاتِلُوكَ وَصَادُّوكَ عَنِ الْبَيْتِ وَمَانِعُوكَ. فَقَالَ: " أَشِيرُوا أَيُّهَا النَّاسُ عَلَيَّ، أَتَرَوْنَ أَنْ أَمِيلَ إِلَى عِيَالِهِمْ، وَذَرَارِيِّ هَؤُلَاءِ الَّذِينَ يُرِيدُونَ أَنْ يَصُدُّونَا عَنِ الْبَيْتِ؟ فَإِنْ يَأْتُونَا كَانَ اللَّهُ قَدْ قَطَعَ عَيْنًا مِنَ الْمُشْرِكِينَ وَإِلَّا تَرَكْنَاهُمْ مَحْرُومِينَ ". قَالَ أَبُو بَكْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَرَجْتَ عَامِدًا لِهَذَا الْبَيْتِ لَا تُرِيدُ قَتْلَ أَحَدٍ وَلَا حَرْبَ أَحَدٍ، فَتَوَجَّهْ لَهُ، فَمَنْ صَدَّنَا عَنْهُ قَاتَلْنَاهُ، قَالَ: " امْضُوا عَلَى اسْمِ اللَّهِ» هَكَذَا رَوَاهُ هَاهُنَا وَوَقَفَ وَلَمْ يَزِدْ شَيْئًا عَلَى هَذَا.