আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ثلاث من الهجرة

غزوة أحد

سبب تسميتها وأحداثها

পৃষ্ঠা - ২৬২৭

সেনাবাহিনীর মুল নেতৃত্বে ছিল আবু সুফিয়ান সাখর ইবন হড়ারব ৷ সে তার শ্রী হিন্দ বিনৃত উতবা
ইবন রাবীআঃক সাথে নিয়ে যেরিয়েজ্যি ৷ ইকরামা ইবন আবুজাহ্লও তার শ্রী ও চাচাত বোন উম্মু
হার্কীম বিনৃত হারিছ ইবন হিশাম ইবন মুগীরাকে নিয়ে বের হয়েছিল ৷ ইকরামার চাচা হারিছ ইবন
হিশাম-এর সাথে ছিল তার শ্রী ফাতিমা বিনৃত ওলীদ ইবন মুগীরা ৷ সাফওয়ান ইবন উমাইয়ার
সাথে ছিল বারযা বিনৃত মাসউদ ইবন আমর ইবন উমায়র ছাকাফিয়ব্রুাহ; ৷ আমর ইবন আস-এর
সাথে ছিল রীত৷ বিনৃত মুনাবৃবিহ ইবন হাজ্জাজ ৷ রীতা হল আমরের পুত্র আবদুল্লাহ-এর মা ৷ আরো
যারা নিজ নিজ শ্রীদেরকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছিল কেউ কেউ তাদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন ৷
যাত্রাপথে ওয়াহ্শী এবং হিন্দ কাছাকাছি এলে ওয়াহ্শীকে লক্ষ্য করে হিন্দ বলত, ওহ্ আবু
দাছামা ৷ তুমি আমাদেরকে মুক্তি দাও তুমি নিজেও মুক্তি লাভ কর ৷ এ কথ দ্বারা সে ওয়াহ্শীকে
উত্তেজিত করছিল হামযা (রা)-কে হত্যা করার জন্যে ৷ বন্তুত তারা মদীনায় নিকটবর্তী হল ৷
মদীনায় উপকণ্ঠে খালের তীরে বাতনুসৃ সাবাখা’ পাহাড়ের কাছাকাছি আইনায়ন নামক স্থানে তারা
র্তাবু ফেলল ৷ তাদের আগমন সংবাদ রাসুলুল্লাহ্ (সা) ও মুসলমানদের নিকট পৌছে যায় ৷ তিনি
মুসলমানদের উদ্দেশ্যে বললেন যে, আমি একটি ভাল স্বপ্ন দেখেছি ৷ আমি দেখেছি যে, একটি
পাভী জবাই করা হচ্ছে ৷ আমি আরো দেখলাম যে, আমার তরবারির ধারের মধ্যে ভাঙ্গার চিহ্ন ৷
আমি এও দেখলাম যে, একটি মজবুত লৌহ বর্মে আমি আমার হাত ঢুকিয়েছি ৷ আমি মনে করি,
ওই মজবুত লৌহ বর্ম হল মদীনা নগরী ৷ এই হাদীছটি ইমাম বুখারী ও মুসলিম দুজনেই আবু
কুরায়র — আবুমুসা আশআয়ী (রা)-এর বরাতে রাসুলুল্লাহ্ (সা ) থেকে উদ্ধৃত করেছেন ৷
রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেছেন :

আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম যে, আমি মক্কা থেকে হিজরত করে একটি খেজুর বাগান বিদিষ্টি
স্থানে যাচ্ছি ৷ আমি মনে করেছিলাম ওই স্থানটি ইয়ামামা কিৎবা হাজর ৷ পরে দেখলাম যে , সেটি
ইয়াছরিব মদীনা ৷ আমার এই স্বপ্নে আমি দেখলাম যে, আমি আমার তরবারি নাড়া দিলাম সেটি
মাঝখান থেকে ভেঙ্গে গেল ৷ এটি হল উহুদ যুদ্ধে মুসলমানদের উপর আপতিত বিপদের ইঙ্গিত ৷
আমি পুনরায় তরবারি নাড়া দিলাম ৷ সেটি পুর্বের চেয়েও অধিক সুন্দর রুপ নিল ৷ এটি হল ওই
যুদ্ধে পুনরায় মুসলমানদের একত্রিত হওয়া এবং আল্পাহ্ প্রদত্ত বিজয়ের ইঙ্গিত ৷ আমি স্বপ্নে
দেখলাম, কতকগুলো গরু জবাই করা হচ্ছে ৷ কল্যাণ আল্লাহর নিকটই ৷ তা ছিল উহুদ যুদ্ধের
শহীদদের প্রতি ইঙ্গিত ৷ আর কল্যাণ হল বদরের যুদ্ধের পর থেকে আল্লাহ্ তাআলা আমাদেরকে
যে সকল বিজয় ও বিনিময় দান করেছেন যে গুলো ৷

বায়হাকী বলেন, আবুআবদৃল্লাহ্ হাফিয ইবন আব্বাস (রা ) থেকে বর্ণিত ৷ তিনি
বলেছেন, বদরের যুদ্ধের গনীমত হিসেবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) তার যুলফিকার তরবারিটি
পেয়েছিলেন ৷ ওই তরবারিটিই তিনি উহুদ যুদ্ধের দিনে স্বপ্নে দেখেছিলেন ৷ বন্তুত যুদ্ধের উদ্দেশ্যে
মুশরিকগণ যখন মদীনায় উপকষ্ঠে এসে পৌছল তখন রাসুলুল্লাহ্ (সা ) এর ইচ্ছা ছিল মদীনায়
অবস্থান করেই ওদের মুকাবিলা করা ৷ বদরের যুদ্ধে ছিলেন না এমন কতক সড়াহাবী বললেন, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ ! আমরা মদীনা থেকে বের হব এবং উহুদ প্রাম্ভরে গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব ৷
বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী মুজাহিদগণ যে ফযীলত ও সম্মান লাভ করেছেন তা লাভ করাই ছিল


مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ، فَذَهَبَ وَهَلَى إِلَى أَنَّهَا الْيَمَامَةُ أَوْ هَجَرُ، فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ، وَرَأَيْتُ فِي رُؤْيَايَ هَذِهِ أَنِّي هَزَزْتُ سَيْفًا فَانْقَطَعَ صَدْرُهُ، فَإِذَا هُوَ مَا أُصِيبَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ، ثُمَّ هَزَزْتُهُ أُخْرَى، فَعَادَ أَحْسَنَ مَا كَانَ، فَإِذَا هُوَ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْفَتْحِ وَاجْتِمَاعِ الْمُؤْمِنِينَ، وَرَأَيْتُ فِيهَا أَيْضًا بَقَرًا، وَاللَّهُ خَيْرٌ، فَإِذَا هُمُ النَّفَرُ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ أُحُدٍ، وَإِذَا الْخَيْرُ مَا جَاءَ اللَّهُ بِهِ مِنَ الْخَيْرِ وَثَوَابِ الصِّدْقِ الَّذِي آتَانَا اللَّهُ بَعْدَ يَوْمِ بَدْرٍ.» وَقَالَ الْبَيْهَقِيُّ: أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللَّهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا الْأَصَمُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ «عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: تَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيْفَهُ ذَا الْفَقَارِ يَوْمَ بَدْرٍ. قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَهُوَ الَّذِي رَأَى فِيهِ الرُّؤْيَا يَوْمَ أُحُدٍ، وَذَلِكَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا جَاءَهُ الْمُشْرِكُونَ يَوْمَ أُحُدٍ