আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة الحديبية

عمرة رسول الله

পৃষ্ঠা - ৩০৭০

জনৈক ব্যক্তিকে দান করে কুয়ার নীচে পুতে দেয়ার জন্য বললে তিনি পুতে দেন ৷ ফলে তা থেকে
অবিরাম ধারায় পানি উথলে উঠতে থাকে ৷ যা থেকে লোকেরা তাদের উটকেও পানি পান করার ৷
ইবন ইসহাক (র ) আসলাম গোত্রের জনৈক বিজ্ঞ ব্যক্তির বরাতে বলেন যে , রাসুলুল্লাহ্ (সা)শ্এ্যায়
তীর নিয়ে কুয়ােয় অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলেন রাসুলের উষ্ট্র চালক নাজিয়া ইবন জুন্দুব ৷ পক্ষান্তরে
ইবন ইসহাক বলেন, কোন কোন ৰিজ্ঞজন মনে করেন যে, হযরত “ধারা ইবন আযিব বলতেন-
রাসুলুল্লাহ্ (সা)-এর তীর নিয়ে কুপে অবতরণকারী ব্যক্তি ছিলাম আমি ৷ কোনটা সঠিক আল্পাহ্ই
তা ভাল জানেন ৷ ইবন ইসহাক প্রথম মতের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেন যে, আনসারদের
এক দাসী কুয়ার নিকট আসে ৷ তখন নাজিয়া কুয়ার নীচ থেকে পানি তুলছিল্ দেখে দাসী বলে ৷


হে পানি উত্তোলনকারী! আমার বালতি ভরে দাও ৷ আমি লোকদের দেখেছি তোমার প্রশংসা
করতে ৷ তারা তোমার সম্পর্কে ভাল বলে এবং তোমার শ্রেষ্ঠতু প্রকাশ করে ৷ দাসীর কবিতার
জবাবে নাজিয়া বলেন :


ইয়ামানী নারী আসে যে, আমি পানি উত্তোলন করছি আর আমার নাম নাজিয়া বিদঘুটে পানির
ফোটাধড়ারী অনেক ভর্চুসনাকারিণী আছে আমি যার নিন্দা করেছি খারাপ স্বভাব প্রকাশ কালে ৷

ইমাম যুহ্রী (র) বলেন : রাসুলুল্লাহ্ (সা) সুস্থির হলে বুদায়ল ইবন ওয়ারাকা খুযায়ী তার
সম্প্রদায়ের কয়েকজন লোক নিয়ে রাসুলুল্পাহ্ (না)-এর সমীপে উপস্থিত হন ৷ তিনি রাসুলুল্লাহ্
(না)-এর সঙ্গে কথা বলে আগমনের হেতু জানতে চাইলে তিনি জানালেন যে , যুদ্ধ করার
অজ্যিায় নিয়ে তিনি আগমন করেননি; বরং তিনি এসেছেন ৰায়তুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারত করতে এবং
তার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে ৷ এরপর তিনি বিশ্ব ইবন সুফিয়ানকে যা বলেছিলেন
তাদেরকেও তাই বললেন ৷ তারা কুরায়শের নিকট ফিরে গিয়ে বলে :

হে কুরায়শের লোকেরা ! মুহাম্মাদের ব্যাপারে তোমরা তাড়াহুড়া করছো ৷ মুহাম্মাদতাে যুদ্ধ
করার উদ্দেশ্যে আসেননি ৷ তিনি এস্যেছন বারতুল্লাহ্ শরীফ যিয়ারতের অভিপ্রায় নিয়ে ৷ একথা
শুনে তারা তাকে দােষারোপ করে এবং তার প্রতি কটুক্তি করে ৷ তারা বলে : সে যদি যুদ্ধ করার
জন্য না-ও আসে তবু ও আমরা তাকে জোরপুর্বক প্রবেশ করতে দেবাে না এবং আরবদের মধ্যে
তার কথা প্রচার করতেও দেব না ৷ যুহ্রী বলেন, কাফিরমুশরিক নির্বিশেষে খুযাআ গোত্রের সমস্ত
লোক ছিল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শুডাথী ৷ তারা তার কাছে মক্কার কোন কথা গোপন রাখতো না ৷
তিনি আরো বলেন যে, এরপর তারা বনু আমির ইবন লুয়াই এর মৃফরিয ইবন হাফ্স আখৃয়াফকে
রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট প্রেরণ করেন ৷ তাকে আসতে দেখে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেস , এ তো
দেখছিএকটি ৰিশ্বাসঘাতক ৷ সে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট এসে তার সঙ্গে কথা বললে তিনি


ذَلِكَ، فَقَالَ: " وَاللَّهِ إِنَّهَا لَلْحِطَّةُ الَّتِي عَرَضَتْ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَلَمْ يَقُولُوهَا ".» قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: فَأَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ فَقَالَ: " «اسْلُكُوا ذَاتَ الْيَمِينِ» ". بَيْنَ ظَهْرَيِ الْحَمْضِ فِي طَرِيقٍ تُخْرِجُهُ عَلَى ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ، مَهْبِطِ الْحُدَيْبِيَةِ مِنْ أَسْفَلِ مَكَّةَ. قَالَ: فَسَلَكَ الْجَيْشُ ذَلِكَ الطَّرِيقَ، فَلَمَّا رَأَتْ خَيْلُ قُرَيْشٍ قَتَرَةَ الْجَيْشِ قَدْ خَالَفُوا عَنْ طَرِيقِهِمْ، رَكَضُوا رَاجِعِينَ إِلَى قُرَيْشٍ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا سَلَكَ فِي ثَنِيَّةِ الْمُرَارِ بَرَكَتْ نَاقَتُهُ، فَقَالَ النَّاسُ: خَلَأَتْ. فَقَالَ: " «مَا خَلَأَتْ، وَمَا هُوَ لَهَا بِخُلُقٍ، وَلَكِنْ حَبَسَهَا حَابِسُ الْفِيلِ عَنْ مَكَّةَ، لَا تَدْعُونِي قُرَيْشٌ الْيَوْمَ إِلَى خُطَّةٍ يَسْأَلُونَنِي فِيهَا صِلَةَ الرَّحِمِ، إِلَّا أَعْطَيْتُهُمْ إِيَّاهَا» ". ثُمَّ قَالَ لِلنَّاسِ: " انْزِلُوا ". قِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا بِالْوَادِي مَاءٌ نَنْزِلُ عَلَيْهِ. فَأَخْرَجَ سَهْمًا مِنْ كِنَانَتِهِ، فَأَعْطَاهُ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِهِ، فَنَزَلَ بِهِ فِي قَلِيبٍ مِنْ تِلْكَ الْقُلُبِ، فَغَرَزَهُ فِي جَوْفِهِ، فَجَاشَ بِالرَّوَاءِ، حَتَّى ضَرَبَ النَّاسُ عَنْهُ بِعَطَنٍ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ، عَنْ رِجَالٍ مِنْ أَسْلَمَ، أَنَّ