আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة الحديبية

عمرة رسول الله

পৃষ্ঠা - ৩০৬৮

ইমাম যুহরী (র) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) বের হয়ে চলতে চলতে উছফান নামক
স্থান পর্যন্ত পৌছলে বিশর ইবন সুফিয়ান কাবী (ইবন হিশাম-এর মতে বুসৃর ,ৰু ) তার সঙ্গে
সাক্ষাৎ করে আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ্ (সা) ! আপনার বের হওয়ার বিষয় কুরায়শরা জানতে
পেয়েছে; তাই তারা কম বয়সের উষ্ট্র সঙ্গে নিয়ে বাঘের চামড়া পরিধান করে যুদ্ধের উদ্দেশ্যে
যীতুয়া’ উপত্যকায় অবস্থান গ্রহণ করছে ৷ তারা আল্লাহর নামে প্রতিজ্ঞা করছে যে, তারা কিছুতেই
আপনাকে প্রবেশ করতে দেরেনা ৷ আর তাদের অশ্বারােহী বাহিনীতেখালিদ ইবন ওয়ালীদ কুরাউল
গামীম’ পর্যন্ত এসে পৌছে গেছেন ৷ তখন রাসুলুল্পাহ্ (সা) বললেন, হার কুরায়শ, যুদ্ধ তাদের
সর্বনাশ করেছে ৷ কী হতো যদি তারা আমার এবং আরবের সকল গোকের মধ্যে পথ উন্মুক্ত করে
দিতো ? তারা আমাদেরকে বিনাশ করতে সক্ষম হলে এটাইতো হয়ে তাদের কাম্য; পক্ষাস্তরে
আল্লাহ যদি আমাকে তাদের উপর বিজয় দান করেন তবে তারা বিপুল সংখ্যায় ইসলামে প্রবেশ
করতে পারতো ৷ আর ইসলামে প্রবেশ না করলে সর্বশক্তি নিণ্য়াজিত করে যুদ্ধে প্রবৃত্ত হতো ৷
কুরায়শরা কি মনে করে ? আল্লাহ্র কসম, যে দীন সহকারে আল্পাহ্ আমাকে প্রেরণ করেছেন তার
জন্য আমি অব্যাহত ধারায় নিরলসভাবে জিহাদ চালিয়ে যাবাে যাবত না আল্লাহ আমাকে বিজয়
দান করেন অথবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে আমার গদনি ঘাড় থেকে ৷ আমি আল্লাহ্র রাস্তায় জীবন উৎসর্গ
করে দেবাে ৷ এরপর তিনি বললেন, যে পথে শত্রু সৈন্যরা অবস্থান নিয়েছে সে পথ ছাড়া ভিন্ন
পথে আমাদেরকে নিয়ে যেতে পারে এমন কোন পুরুষ কি আছে ? আবদৃল্লাহ্ ইবন আবু বকর
সুত্রে ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আসলাম গোত্রের জনৈক ব্যক্তি বললাে : ইয়৷ রাসুলাল্লাহ্!
আমি পারবো ৷ ফলে তিনি পাবর্ত্য অঞ্চলের দুর্গম কংকরময় পথ দিয়ে তাদেরকে নিয়ে চললেন ৷
এ দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করা ছিল মুসলমানদের জন্য এক কঠিন কাজ ৷ সে পথ থেকে বের
হয়ে সমতল ভুমিতে আগমন করলে রাসুলুল্পাহ্ (সা) বলেন : তোমরা সকলেই বলো :

আমরা আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাই এবং তার কাছে তাওবা কবি তার দিকেই প্রত্যাবর্তন
করি ৷ তারা সকলে তা বললে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : এ হল যে হিত্তা (ক্ষমা) যা বনী
ইস্রাঈলের উপর পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা বলেনি ৷ ইবন শিহাব যুহ্রী (র) বলেন,
রাসুলুল্লাহ্ (সা) লোকজনকে নির্দেশ দান করেন মক্কার নিম্নভুমি থেকে হুদায়বিয়ায় আরােহণের
পথে সানৃয়াতুল মিরার’ হয়ে ডান দিকের আল-হিস্ এর পথ ধরে চলার জন্য ৷ তিনি বলেন,
মুসলিম বাহিনী এভাবেই অগ্রসর হয় ৷ কুরায়শ বাহিনী (মুসলিম) বাহিনীর (পথ পরিক্রমের) ধুলো
বালি দেখতে পেয়ে পথ পরিবর্তন করে দ্রুত কুরায়ণের নিকট প্রত্যবের্জা করে ৷ রাসুলুল্লাহ্ (না)
সে পথে বের হয়ে সানিয়াতুল মিরার’ উপনীত হলে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর উট বসে পড়ে ৷ তখন
লোকেরা বলে উষ্ট্র অবাধ হয়ে থেমে পড়েছে ৷ তিনি বললেন, না তা নয়, বরং হস্তিবাহিনীকে
যিনি বোধ করেছিলেন মক্কায় পৌছতে তিনি এ উষ্ট্রকেও রোধ করেছেন ৷ কুরায়শরা আজকের
দিনে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতি আমাকে আহ্বান জানালে আমি তাদেরকে সে সুযোগ
দেবো ৷ এরপর তিনি লোকজনকে বললেন, তেড়ামরা অবতরণ করো ৷ কেউ বললাে, ইয়া
রাসুলাল্লাহ্ (সা)! এখানেতো পানি নেই ৷ তখন তিনি ভীরদান’ থেকে এবল্টা তীর বের করে


وَقَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: ثُمَّ أَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ رَمَضَانَ وَشَوَّالًا، وَخَرَجَ فِي ذِي الْقَعْدَةِ مُعْتَمِرًا لَا يُرِيدُ حَرْبًا. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ نُمَيْلَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيَّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَاسْتَنْفَرَ الْعَرَبَ وَمَنْ حَوْلَهُ مِنْ أَهْلِ الْبَوَادِي مِنَ الْأَعْرَابِ لِيَخْرُجُوا مَعَهُ، وَهُوَ يَخْشَى مِنْ قُرَيْشٍ الَّذِي صَنَعُوا، أَنْ يَعْرِضُوا لَهُ بِحَرْبٍ، أَوْ يَصُدُّوهُ عَنِ الْبَيْتِ، فَأَبْطَأَ عَلَيْهِ كَثِيرٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ وَالْأَنْصَارِ، وَمَنْ لَحِقَ بِهِ مِنَ الْعَرَبِ، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ، وَأَحْرَمَ بِالْعُمْرَةِ؛ لِيَأْمَنَ النَّاسُ مِنْ حَرْبِهِ، وَلِيَعْلَمَ النَّاسُ أَنَّهُ إِنَّمَا خَرَجَ زَائِرًا لِهَذَا الْبَيْتِ، وَمُعَظِّمًا لَهُ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنِ الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ، وَمَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ، أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ قَالَا: «خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ، يُرِيدُ زِيَارَةَ الْبَيْتِ لَا يُرِيدُ قِتَالًا، وَسَاقَ مَعَهُ الْهَدْيَ سَبْعِينَ بَدَنَةً، وَكَانَ النَّاسُ سَبْعَمِائَةِ رَجُلٍ، وَكَانَتْ كُلُّ بَدَنَةٍ عَنْ عَشَرَةِ نَفَرٍ، وَكَانَ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِيمَا بَلَغَنِي يَقُولُ: كُنَّا أَصْحَابَ الْحُدَيْبِيَةِ أَرْبَعَ عَشْرَةَ مِائَةً» . قَالَ الزُّهْرِيُّ: وَخَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَتَّى إِذَا كَانَ بِعُسْفَانَ لَقِيَهُ بِشْرُ