আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة بني المصطلق من خزاعة

قصة الإفك

পৃষ্ঠা - ৩০৫৮

পারবেন ৷ এতে তিনি আরো কিছু বিষয়ও জানতে পারবেন, অবশ্য আমার সম্পর্কে কুরআন নাযিল
হবে আমার নিজেকে নিডেরে কাছে তার চাইতে ভুচ্ছ মনে হয়েছে ৷ তিনি আরো বলেন : আমার
পিতামাতাকে আমার পক্ষ থেকে জবাব না দিতে দেখে আমি তাদেরকে বললাম , আপনারা কি
রাসুলুল্লাহ (সা) এর কথার জবাব দেবেন না ? তারা বললেন, আল্লাহর কলম , আমরা কী জবাব
দিবাে তাই তো বুঝতে পারছিনা ৷ আইশা (বা) আরো বলেন , এদিনগুলোতে আবু বকরের
পরিবারের উপর যেসব বিপদ আপতিত হয়েছে ৷ তেমন বিপদ অন্য কোন পরিবারের উপর
আপতিত হয়েছে বলে আমার জানা নেই , এমন কথা আমি হলফ করে বলতে পারি ৷ তিনি আরো
বললেন : আমার ব্যাপারে তারা একেবারে নিবাক থাকার পর আমি অশ্রুপাত করলাম, রােদন
করলাম আর বললাম, আমার সম্পর্কে যেসব কথা বলা হচ্ছে সে ব্যাপারে আমি কখনো আল্লাহর
নিকট তাওবা করব না আল্লাহর কসম, আমি ভাল করেই জানি যে, লোকেরা সেসব কথা বলাবলি
করছে ৷ আমি যদি তা স্বীকারও করি আর আল্লাহ জানেন যে, আমি এ ব্যাপারে নিদেষি তবে যা
ঘটেনি তা স্বীকার করে নেয়া হবে ৷ পক্ষাস্তরে ণ্লাকেরা যা বলাবলি করছে আমি তা অস্বীকার
করলেও তারা তা সত্য বলে মেনে নেবে না ৷ তিনি বলেন, অবশেষে আমি হযরত ইয়া’কুব
(আ)-এর নাম স্মরণ করার চেষ্টা করি ৷ কিতু৷ তা আমার মনে পড়লো না ৷ তখন আমি বললাম ,
হযরত ইউসুফ (আ)-এর পিতা যা বলেছিলেন তেমন কথইি আমি উচ্চারণ করবো ;

,; ব্লু,প্রু;ও
অতএব, সুন্দর সবরই (উত্তম) ৷ আর তোমরা যা বলছ, সে ব্যাপারে আল্লাহর নিকটই সাহায্য
প্রার্থনা করছি (ইউসুফ ১২ : ১৮১ ৷

হযরত আইশা (বা) বলেন : আল্লাহর কসম , রাসুলুল্লাহ্ (সা) মজলিসে থাকতেই আল্লাহর
পক্ষ থেকে একটা তবে তাকে আচ্ছন্ন করে নেয়, যে তার আছন্ন করতো ওহী নযিল কালে ৷ তইি
তিনি বস্ত্র দিয়ে নিজেকে আবৃত করে নেন এবং মাথার নীচে স্থাপন ক্যালেন চামড়ার বালিশ ৷ আর
এ সময় তার যে অবস্থা আমি দেখতে পেলাম ৷ আল্লাহর কলম, তাতে আমি মোটেই বিচলিত
হইনি ৷ কোন পবরাণ্ডয়াও করিনি ৷ কারণ, আমি তো জানি যে, আমি নির্দোষ আর আল্লাহ তো
আমার প্রতি যালিম নন ৷ আর আল্লাহর কসম করে বলছি ৷ অইিশার জীবন-প্রাণ যে পবিত্র সত্তার
হাতে আছে, আমার পিতামাতার তো করুণ দশা, আমার মনে আশংকা জাগলো, লোকেরা যা
বলাবলি করছে, ওহীর মাধ্যমে যদি তার সত্যতা প্রতিপন্ন হয় ৷ তিনি বলেন, অতঃপর রাসুলুল্লাহর
ভাবান্তর হলো, তিনি উঠে বললেন, প্রচণ্ড শীতের মওসুমেও তার চেহারা মুবারক থেকে মুক্তার
মতো ঘাম ঝড়ে পড়ছিল ৷ তিনি চেহারা থেকে যায় মুছতে মুছতে বলছিলেন :

হে আইশা! সুসংবাদ গ্রহণ কর, আল্লাহ তোমার নির্দোষিতা প্রমাণ করে আয়াত নাযিল
করেছেন ৷ তিনি বলেন, আমি আলহামদৃ সিল্লাহ বললাম ৷ এপর তিনি লোকদের উদেশ্যে বের

হয়ে পড়লেন ৷ তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন এবং এ উপলক্ষে আল্লাহ তাআল৷ কুরআন
মজীদের যে আয়াত নাযিল করেছেন, রাসুলুল্লাহ্ (সা) তা তিলাওয়াত করলেন ৷ অতঃপর অশ্লীল


تُضَادُّنِي لِأُخْتِهَا، فَشَقِيَتْ بِذَلِكَ، فَلَمَّا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ الْمَقَالَةَ قَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنْ يَكُونُوا مِنَ الْأَوْسِ نَكْفِكَهُمْ، وَإِنْ يَكُونُوا مِنْ إِخْوَانِنَا مِنَ الْخَزْرَجِ، فَمُرْنَا أَمْرَكَ، فَوَاللَّهِ إِنَّهُمْ لَأَهْلٌ أَنْ تُضْرَبَ أَعْنَاقُهُمْ. قَالَتْ: فَقَامَ سَعْدُ بْنُ عُبَادَةَ، وَكَانَ قَبْلَ ذَلِكَ يُرَى رَجُلًا صَالِحًا، فَقَالَ: كَذَبْتَ، لَعَمْرُ اللَّهِ، لَا تَضْرِبُ أَعْنَاقَهُمْ، أَمَا وَاللَّهِ مَا قُلْتَ هَذِهِ الْمَقَالَةَ إِلَّا أَنَّكَ قَدْ عَرَفْتَ أَنَّهُمْ مِنَ الْخَزْرَجِ، وَلَوْ كَانُوا مِنْ قَوْمِكَ مَا قُلْتَ هَذَا. فَقَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ: كَذَبْتَ لَعَمْرُ اللَّهِ، وَلَكِنَّكَ مُنَافِقٌ تُجَادِلُ عَنِ الْمُنَافِقِينَ، قَالَتْ: وَتَسَاوَرَ النَّاسُ، حَتَّى كَادَ يَكُونُ بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَيَّيْنِ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ شَرٌّ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَدَخَلَ عَلَيَّ. قَالَتْ: فَدَعَا عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ، وَأُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ فَاسْتَشَارَهُمَا، فَأَمَّا أُسَامَةُ فَأَثْنَى خَيْرًا وَقَالَهُ، ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَهْلُكَ وَمَا نَعْلَمُ مِنْهُمْ إِلَّا خَيْرًا، وَهَذَا الْكَذِبُ وَالْبَاطِلُ. وَأَمَّا عَلِيٌّ فَإِنَّهُ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ النِّسَاءَ لَكَثِيرٌ، وَإِنَّكَ لَقَادِرٌ عَلَى أَنْ تَسْتَخْلِفَ، وَسَلِ الْجَارِيَةَ فَإِنَّهَا سَتَصْدُقُكَ. فَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَرِيرَةَ لِيَسْأَلَهَا. قَالَتْ: فَقَامَ إِلَيْهَا عَلِيٌّ فَضَرَبَهَا ضَرْبًا شَدِيدًا، وَيَقُولُ: اصْدُقِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَتْ: فَتَقُولُ: وَاللَّهِ