আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة بني المصطلق من خزاعة

الإقراع بين نساء الرسول على الخروج معه

পৃষ্ঠা - ৩০৫১


তোমরা আনৃল না করলেও কিছু যায় আসে না ৷ কিয়ামত পর্যন্ত ও প্রাণী আলবাব আছে সে
অবশ্যই আসবে ৷ কেউ তার আগমন ঠেকাতে পারবে না ৷ তিনি অনুরুপই বর্ণনা করেছেন ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন : সেদিন যাদেরকে বন্দী করা হয় তাদের মধ্যে জুয়াইরিয়া বিনৃত
হ্ারিছ ইবন আবুযিরার)ও ছিলেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন জা“ফর আইশা (রা) সুত্রে বর্ণনা করেন :

রাসুলুল্লাহ্ (সা) বনু মুন্তালিকের বন্দীদেরকে বণ্টন করলে জ্বয়ইিরিয়া বিনতুল হারিছ সাবিত
ইবন কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের ভাগে পড়েন ন্ জুয়াইরিয়া নিজের জন্য
মুক্তিপণ নির্ধারণ করিয়ে নেয় ৷ আর ইনি ছিলেন এক লাবণ্যময়ী মহিলা ৷ যে কেউ তাকে দেখলে
মনে দাগ কাটতো ৷ তিনি রাসুলুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট আগমন করে মুক্তিপণ পরিশ্যেধে তার
সাহায্য কামনা করেন ৷ আইশা (রা) বলেন : আল্লাহ্ কসম ! আমার ছুজরার দ্বারে তাকে দেখে
আমি পসন্দ করতে পারিনি ৷ আমি বুঝতে পারলাম যে, আমি তার (সৌন্দর্যের) যা দেখতে পাচ্ছি
রাসুল (মা) ও তা অচিরেই দেখতে পাবেন ৷ তিনি বাসৃলুল্লাহ্র (না) সম্মুখে উপস্থিত হয়ে আরয
করলেন ;

ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আমি জুয়াইরিয়া বিনৃত হারিছ ইবন আবু যিরার ৷ আমার পিতা সম্প্রদায়ের
নেতা ৷ আমি এমন বিপদে পতিত হয়েছি , যা আপনার কাছে গোপন নেই ৷ আমি ছাবিত ইবন
কায়স ইবন শাম্মাস অথবা তার চাচাত ভাইয়ের হিস্যায় পড়ি এবং নিজেকে মুক্ত করার জন্য তার
সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ৷ চুক্তির দায় শোধ করার জন্য আপনার নিকট সাহায্য চাইতে এসেছি ৷
জবাবে রাসুলুল্লাহ্ (সা) বললেন : তোমার জন্য এর চেয়ে ভাল কিছু করা হলে ? তিনি বললেন :
ইয়া রাসুলাল্লাহ্ত্ত তা কী? রাসুলুল্লাহ্ (না) বললেন : আমি তোমার মুক্তিপণ পরিশোধ করে
তোমাকে বিবাহ করবো ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আমি কবুল করলাম ৷ রাবী হযরত
আইশা (রা) বলেন : লোকজনের নিকট খবর পৌছে গেল যে, রাসুলুল্লাহ্ (সা) , জুয়াইরিয়া বিনৃত
হারিছকে বিবাহ করেছেন ৷ তখন লোকেরা বলে : এরা হল রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর শ্বশুর গোষ্ঠী
তখন তারা আনন্দিত হয়ে ঐ বংশের দাসদেরকে মুক্ত করে দেন ৷ রাবী হযরত আইশা (রা) বলেন
চ রাসুলুল্লাহ্ (সা) কর্তৃক জুয়াইরিয়াকে বিয়ে করার ফলে তাদের মধ্যে বনু মুন্তালিকের একশ
পরিবার আযাদ হয়ে যায় ৷ জানামতে জুয়ইিরিয়ার চাইতে নিজের সম্প্রদায়ের জন্য বেশী বরকতময়
আর কোন নারী আছে বলে আমার জানা নেই ৷

অতঃপর ইবন ইসহাক (র) বনু মুস্তালিক যুদ্ধ প্রসঙ্গে ইফ্ক তথা অপবাদ আরোপের
বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করেন ৷ অনুরুপভাবে ইমাম বুখারী (র) প্রমুখ মনীষীও ইফ্কের ঘটনা বর্ণনা
করেন ৷ তাফসীর গ্রন্থে সুরা নুর-এর তাফ্সীর প্রসঙ্গে এ বর্ণনার সকল সনদের বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে ৷ সেখানে লেখা যেতে পারে ৷

ওয়াকিদী হারাম সুত্রে উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন : হযরত জুয়াইরিয়ড়া বলেন যে,
নবী করীম (না)-এর আগমনের তিন দিন পুর্বে আমি স্বপ্নে দেখি যে, যেন চন্দ্র ইয়াছরিব থেকে

এসে আমার কোলে পতিত হয়েছে ৷ এ বিষয়ে কোন মানুষকে অবহিত করা আমি পসন্দ করিনি ৷

৩৮

عَلَى بَابِ حُجْرَتِي فَكَرِهْتُهَا، وَعَرَفْتُ أَنَّهُ سَيَرَى مِنْهَا مَا رَأَيْتُ. فَدَخَلَتْ عَلَيْهِ فَقَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنَا جُوَيْرِيَةُ بِنْتُ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ سَيِّدِ قَوْمِهِ، وَقَدْ أَصَابَنِي مِنَ الْبَلَاءِ مَا لَمْ يَخْفَ عَلَيْكَ، فَوَقَعْتُ فِي السَّهْمِ لِثَابِتِ بْنِ قَيْسِ بْنِ شَمَّاسٍ - أَوْ لِابْنِ عَمٍّ لَهُ - فَكَاتَبْتُهُ عَلَى نَفْسِي، فَجِئْتُكَ أَسْتَعِينُكَ عَلَى كِتَابَتِي. قَالَ: " فَهَلْ لَكِ فِي خَيْرٍ مِنْ ذَلِكَ؟ ". قَالَتْ: وَمَا هُوَ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " أَقْضِي عَنْكِ كِتَابَكِ، وَأَتَزَوَّجُكِ ". قَالَتْ: نَعَمْ، يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: " قَدْ فَعَلْتُ ". قَالَتْ: وَخَرَجَ الْخَبَرُ إِلَى النَّاسِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ تَزَوَّجَ جُوَيْرِيَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ، فَقَالَ النَّاسُ: أَصْهَارُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَرْسَلُوا مَا بِأَيْدِيهِمْ. قَالَتْ: فَلَقَدْ أُعْتِقَ بِتَزْوِيجِهِ إِيَّاهَا مِائَةُ أَهْلِ بَيْتٍ مِنْ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، فَمَا أَعْلَمُ امْرَأَةً كَانَتْ أَعْظَمَ بَرَكَةً عَلَى قَوْمِهَا مِنْهَا» ثُمَّ ذَكَرَ ابْنُ إِسْحَاقَ قِصَّةَ الْإِفْكِ بِتَمَامِهَا فِي هَذِهِ الْغَزْوَةِ، وَكَذَلِكَ الْبُخَارِيُّ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ، وَقَدْ حَرَّرْتُ طُرُقَ ذَلِكَ كُلِّهِ فِي تَفْسِيرِ سُورَةِ النُّورِ، فَلْيُلْحَقْ بِكَمَالِهِ إِلَى هَاهُنَا. وَبِاللَّهِ الْمُسْتَعَانُ.