আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة بني المصطلق من خزاعة

الإقراع بين نساء الرسول على الخروج معه

পৃষ্ঠা - ৩০৪৭

করলেন, ইয়া রাসুলড়াল্লাহ্! কোন সঙ্গী ? বললেন, আবদুল্লাহ ইবন উবইি ৷ তিনি জানতে চাইলেন,
কী বলেছে সে ? বললেন : তার ধারণা সে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলে সম্মানিতরা তথা থেকে
হীনদেরকে বের করে দেবে ৷ তিনি বললেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্ ! আপনি ইচ্ছা করলে তাকে বের
করে দিতে পারেন ৷ আল্লাহর শপথ ! আপনি হলেন সম্মানিত আর সে হলো হীন ৷ অতঃপর তিনি
আরয করলেন : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! তার সঙ্গে কোমল আচরণ করুন ৷ আল্লাহর কসম, আল্লাহ
আপনাকে এমন সময় আমাদের নিকট উপস্থিত করেছেন যখন তার জাতি তাকে মুকুট পরাবার
আয়োজন করেছিল ৷ তার ধারণা, আপনি তার বাদশাহী ছিনিয়ে নিয়েছেন ৷ তারপর বাসুলুল্লড়াহ্ (সা)
লোকজন নিয়ে চলতে থাকেন সকাল থেকে সন্ধ্য৷ , আবার সন্ধাড়া থেকে সকাল পর্যন্ত পুরো
দিবা-রাত্র এবং পরদিন দুপুরে সুর্য তাপ ভীব্রে না হওয়া পর্যন্ত ৷ তারপর তিনি লোকজনকে নিয়ে
অবতরণ করেন এবং মাটির স্পার্ণ লাভ মাত্র তারা ঘুমিয়ে পড়েন ৷ অবশ্য তিনি এটা করেন এজন্য
যাতে লোকেরা আবদুল্লাহ ইবন উবাই-এর গতকালকের ঘটনা নিয়ে আলোচনায় লিপ্ত না হয়ে
পড়েন ৷ তারপর রাসুলুল্লাহ্ (সা) হিজাযের পথ ধরে অগ্রসর হতে থাকেন এবং নাকী এর কিছুটা
উচুতে অবস্থিত বুকআ কুপের নিকট অবস্থান গ্রহণ করেন ৷ রাসুল (সা) যখন সেখানে অবস্থান
গ্রহণ করেন তখন প্রচন্ড বায়ু প্রবাহিত হয় ৷ এতে ণ্লাকজনের কষ্ট হয় এবং তারা ভীত হয়ে
পড়লে তিনি (সা) বললেন :

“ তোমরা এতে ভীত হয়ে না; কাফিরদের একজন বড় নেতার মৃত্যুতে এ ঝঞা বায়ু প্রবাহিত
হয়েছে ৷ মদীনা উপনীত হয়ে তারা জানতে পারেন যে, বনু কায়নুকা এর অন্যতম নেতা রিফাআ
ইবন যায়দ ইবন তাবুত এ দিন মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে ৷ সে ছিল অন্যতম প্রধান ইহুদী নেতা
এবং মুনাফিকদের আশ্রয় দাতা ৷ মুসা ইবন উকবা এবং ওয়াকিদী (র) এরুপই বর্ণনা করেছেন ৷
আর ইমাম মুসলিম (র) ও আমাশ সুত্রে জাবির থেকে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন ৷ তবে তিনি মৃত্যু
বরণকারী মুনাফিকের নাম উল্লেখ করেননি ৷ তিনি এতটুকু উল্লেখ করেছেন যে, নবী করীম
(সা ) এর কোন এক সফর কালে তীরে বায়ু প্রবাহিত হলে তিনি বলেছিলেন : জনৈক ঘুনাফিকের
মৃত্যুতে এ বায়ু প্রবাহিত হয়েছে ৷ আমরা মদীনায় উপনীত হয়ে অন্যতম প্রধান মুনাফিকের মৃত্যু
সম্পর্কে অবগত হই ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই এবং অনুরুপ
মুনড়াফিক প্রসঙ্গে সুরা মুনাফিকুন নাযিল হলে রাসুলুল্লাহ্ (সা) যায়দ ইবন আরকামের কানে ধরে
বলেন যে এ হচ্ছে যে ব্যক্তি, যে আল্লাহর খাজির যা কর্ণে শ্রবণ করেছে তা-ই বর্ণনা করেছে ৷
আমি বলি, এ বিষয়ে আমাদের তাফসীর গ্রন্থে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷ এখানে তার
পুনঃউল্লেখ নিম্প্রয়ােজন এবং যায়দ ইবন আরকামের মাধ্যমে বর্ণিত এ হাদীছের সুত্র সম্পর্কেও
আমরা সেখানে আলোচনা করেছি ৷ সমস্ত প্রশংসা ও স্তব-ন্তুতি আল্লাহর জন্য ৷ আগ্রহী পাঠক
সেখানে দেখে নিতে পারেন ৷ মুহাম্মাদ ইবন ইসহাক (র) আসিম ইবন উমর ইবন কাতাদা সুত্রে
বর্ণনা করেন যে, আবদুল্লাহ ইবন উবাই ইবন সালুলের পুত্র আবদুল্লাহ (বা) রাসুল (না)-এর
দরবারে হাযির হয়ে আরয করলেন ও

ইয়া রাসুলাল্লাহ ! (আমার পিতা) আবদুল্লাহ ইবন উবইি আপনাকে যে কষ্ট দিয়েছে ৷ আমি
জানতে পারলাম যে, সে জন্য আপনি তাকে হত্যা করতে মনস্থু করেছেন ৷ যদি তাই হয় তবে


مُنْكَرَةٍ، مَا كُنْتَ تَرُوحُ فِي مِثْلِهَا. فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَوَمَا بَلَغَكَ مَا قَالَ صَاحِبُكُمْ؟ ". قَالَ: أَيُّ صَاحِبٍ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: " عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَيٍّ ". قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: " زَعَمَ أَنَّهُ إِنْ رَجَعَ إِلَى الْمَدِينَةِ؛ أَخْرَجَ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ ". قَالَ: فَأَنْتَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تُخْرِجُهُ إِنْ شِئْتَ، هُوَ وَاللَّهِ الذَّلِيلُ وَأَنْتَ الْعَزِيزُ. ثُمَّ قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ ارْفُقْ بِهِ، فَوَاللَّهِ لَقَدْ جَاءَنَا اللَّهُ بِكَ، وَإِنَّ قَوْمَهُ لِيَنْظِمُونَ لَهُ الْخَرَزَ لِيُتَوِّجُوهُ، فَإِنَّهُ لَيَرَى أَنَّكَ قَدِ اسْتَلَبْتَهُ مُلْكًا. ثُمَّ مَشَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ حَتَّى أَمْسَى، وَلَيْلَتَهُمْ حَتَّى أَصْبَحَ، وَصَدْرَ يَوْمِهِمْ ذَلِكَ حَتَّى آذَتْهُمُ الشَّمْسُ، ثُمَّ نَزَلَ بِالنَّاسِ، فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ وَجَدُوا مَسَّ الْأَرْضِ، فَوَقَعُوا نِيَامًا، وَإِنَّمَا فَعَلَ ذَلِكَ لِيَشْغَلَ النَّاسَ عَنِ الْحَدِيثِ الَّذِي كَانَ بِالْأَمْسِ؛ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَيٍّ، ثُمَّ رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالنَّاسِ، وَسَلَكَ الْحِجَازَ، حَتَّى نَزَلَ عَلَى مَاءٍ بِالْحِجَازِ فُوَيْقَ النَّقِيعِ، يُقَالُ لَهُ: بَقْعَاءُ. فَلَمَّا رَاحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، هَبَّتْ عَلَى النَّاسِ رِيحٌ شَدِيدَةٌ، فَآذَتْهُمْ وَتَخَوَّفُوهَا، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَا تَخَوَّفُوهَا؛ فَإِنَّمَا هَبَّتْ لِمَوْتِ عَظِيمٍ مِنْ عُظَمَاءِ الْكُفَّارِ ". فَلَمَّا قَدِمُوا الْمَدِينَةَ وَجَدُوا رِفَاعَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ التَّابُوتِ، أَحَدَ بَنِي قَيْنُقَاعَ، - وَكَانَ عَظِيمًا مِنْ عُظَمَاءِ يَهُودَ، وَكَهْفًا لِلْمُنَافِقِينَ - مَاتَ ذَلِكَ الْيَوْمَ» وَهَكَذَا ذَكَرَ