আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة بني المصطلق من خزاعة

الإقراع بين نساء الرسول على الخروج معه

পৃষ্ঠা - ৩০৪৩


যায় ৷ এরপর রাসুল (সা)-এর নির্দেশে সকলে একযোগে হামলা চালালে তাদের এক ব্যক্তিও গা
ঢাকা দিতে সক্ষম হয়নি ৷ তাদের দশজন নিহত এবং অবশিষ্ট সকলে বন্দী হয় এবং মুসলমানদের
মধ্যে একজন ছাড়া আর কেউ শহীদ হননি ৷

বুখারী ও মুসলিমে আবদুল্লাহ ইবন আওন বর্ণিত হাদীছে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন : আমি
যুদ্ধের পুর্বে ইসলামের দিকে আহ্বানের ৰিফল সম্পর্কে জানতে চেয়ে নাফিকে পত্র লিখি; তিনি
বলেন : রাসুলুল্পাহ্ (সা) যখন বনুমুন্তালিকে হামলা করেন, তথ্যা তারা পশু পালকে পানি পান
করাবার কাজে কুয়ার কাছে ছিল ৷ রাসুলুল্লড়াহ্ (না) তাদের যােদ্ধাদেরকে হত্যা করেন এবং
অন্যদেরকে বন্দী করেন ৷ আমার যতদুর মনে পড়ে তিনি সেদিন একথাও বলেছেন যে , রাসুলুল্লাহ্
(সা) সেদিন জুয়াইরিয়া বিনতৃল হারিছকেও বন্দী করেছিলেন, নাফি বলেন যে , আবদুল্লাহ ইবন
উমর আমাকে এরুপ বলেছেন যে, সে বাহিনীতে তিনি নিজেও ছিলেন ৷ ইবন ইসহাক বলেন : এ
যুদ্ধে একজন মুসলমান শহীদ হন; তার নাম ছিল হিশাম ইবন ত্ন্াবাবা জনৈক আনসারী শক্রপক্ষের
লোক মনে করে ভুলক্রমে তাকে হত্যা করেন ৷

ইবন ইসহাক উল্লেখ করেন যে তার ভাই মিকয়াস ইবন সাবাবা ইসলাম প্রকাশ করে মক্কা
থেকে আগমন করে রাসুলুল্লাহ্ (না)-এর নিকট তার ভাইয়ের দিয়াত তথা রক্তপণ দাবী করেন ৷
কারণ, ভুলবশতঃ তাকে হত্যা করা হয়েছিল ৷ রাসুলুল্লাহ্ (সা) তাকে দিয়াত দান করেন ৷ এরপর
স্বল্পকাল মদীনায় অবস্থান করে তার ভাইয়ের হত্যাকারীকে হত্যা করে মুরতাদ হয়ে মক্কায়
প্রত্যাবর্তন করে ৷ এ সম্পর্কে যে নিম্নোক্ত কবিতা রচনা করে :

&

মর্মার্থ : মনের তৃপ্তি এই যে, সে নিচু ভুমিতে রাত্রিকালে আসন গ্রহণ করেছে যে, তার
ঘাড়ের রক্ত সিক্ত করছিল তার বস্ত্রকে ৷

তার মৃত্যুর পুর্বে মনের চিন্তা আমাকে তিরস্কার করছিল আর বারণ করছিল নরম শয্যায় শয়ন
করতে ৷

আমি তাকে অতিক্রম করেছি আর তুমিতাে দেখতে পাচ্ছ; আর আমি পেয়েছি আমার
প্ৰতিশোধ আর আমি ছিলাম মুর্তির দিকে সবাগ্রে প্রত্যাবর্ত্যকাবী ৷

আমি তার নিকট থেকে বদলা মিয়েছি ফিহরের আর বনু নাজ্জারের দুর্গ ফারি এর মালিকের
নিকট থেকে অর্জন করেছি তার রক্তপণও ৷

আমি বলি যে , এ মিক্য়াস ছিল সে চার ব্যক্তির অন্যতম, মক্কা বিজয়ের দিন রাসুলুল্লাহ্ (সা)
যাদেরকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন তারা যদি কাবার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে তবু ৷

ইবন ইসহাক (র) বলেন : লোকেরা তখনো সে কুপের নিকট অবস্থান করছিল ৷ এ সময়
কিছু লোকের আগমন ঘটে (পানি নেয়ার জন্য) উমর ইবনুল খাত্তাবের সঙ্গে তার মজুর জাহ্জাহ্ও


رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِينَةِ بَعْضَ جُمَادَى الْآخِرَةِ، وَرَجَبًا، ثُمَّ غَزَا بَنِي الْمُصْطَلِقِ مِنْ خُزَاعَةَ فِي شَعْبَانَ، سَنَةَ سِتٍّ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ أَبَا ذَرٍّ الْغِفَارِيَّ، وَيُقَالُ: نُمَيْلَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ اللَّيْثِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: فَحَدَّثَنِي عَاصِمُ بْنُ عُمَرَ بْنِ قَتَادَةَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ حِبَّانَ، كُلٌّ قَدْ حَدَّثَنِي بَعْضَ حَدِيثِ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، قَالُوا: بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ بَنِي الْمُصْطَلِقِ يَجْمَعُونَ لَهُ، وَقَائِدُهُمُ الْحَارِثُ بْنُ أَبِي ضِرَارٍ، أَبُو جُوَيْرِيَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الَّتِي تَزَوَّجَهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدَ هَذَا، فَلَمَّا سَمِعَ بِهِمْ خَرَجَ إِلَيْهِمْ، حَتَّى لَقِيَهُمْ عَلَى مَاءٍ مِنْ مِيَاهِهِمْ يُقَالُ لَهُ: الْمُرَيْسِيعُ. مِنْ نَاحِيَةِ قُدَيْدٍ إِلَى السَّاحِلِ، فَتَزَاحَمَ النَّاسُ وَاقْتَتَلُوا، فَهَزَمَ اللَّهُ بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَقَتَلَ مَنْ قَتَلَ مِنْهُمْ، وَنَفَّلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبْنَاءَهُمْ وَنِسَاءَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ، فَأَفَاءَهُمْ عَلَيْهِ. وَقَالَ الْوَاقِدِيُّ: خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلَيْلَتَيْنِ خَلَتَا مِنْ شَعْبَانَ، سَنَةَ خَمْسٍ مِنَ الْهِجْرَةِ فِي سَبْعِمِائَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى بَنِي الْمُصْطَلِقِ، وَكَانُوا حُلَفَاءَ بَنِي مُدْلِجٍ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ دَفَعَ رَايَةَ الْمُهَاجِرِينَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ، وَيُقَالُ: إِلَى عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ وَرَايَةَ الْأَنْصَارِ إِلَى سَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ، ثُمَّ أَمَرَ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، فَنَادَى فِي النَّاسِ، أَنْ قُولُوا: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ. تَمْنَعُوا بِهَا أَنْفُسَكُمْ،