আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة ذي قرد

পৃষ্ঠা - ৩০৩৫

সুতরাং সপ্তম হিজরীর ঘটনাবলীর সঙ্গে তার উল্লেখ করাই হবে সমীচীন ৷ কারণ, সপ্তম হিজরীর
সফর মাসে বারবার যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ৷ অবশ্য, সে মহিলাটি নবী করীম (সা)-এর উটনীতে
আরোহণ করে রক্ষা পেয়ে তা যবইি করার মানত করেছিল ৷ ইমাম ইবন ইসহাক (র) হাসান
বসরী সুত্রে আবুয যুবায়র এর বরাতে বিচ্ছিন্ন সনদে তা বর্ণনা করেছেন ৷ অবশ্য অন্যান্য সুত্রে
অৰিজ্জি সনদে হাদীছটি বর্ণিত আছে ৷

ইমাম আহমদ (র) আফ্ফান (র) — ইমরান ইবন হুসইিন সুত্রে বর্ণনা করে বলেন যে,
আযবা উটনীটি ছিল বনু আকীলের জনৈক ব্যক্তির ৷ এটি হাব্জীদেরকে নিয়ে দ্রুত গতিতে আগে
আগে ছুটে যেত ৷ সে লোকটাসহ আযবা উটনীকে ধরে আনা হয় ৷ ইমম আহমদ (র) আরো
বলেন যে, ল্যেকটি যখন বাধা ছিল তখন ইমাম আহমদ (র) নবী করীম (সা) তার পাশ দিয়ে
অতিক্রমকালে সােকটি জিজ্ঞাসা করে ৷ হে মুহাম্মাদ ৷ আমাকে এবং যাত্রীদলের অগ্রগামী
বাহনটাকে আপনি ণ্কন আটক ক্যালেন ? রাসুল করীম (সা) এ সময় তার খচ্চরের উপর সওয়ার
হয়ে যাচ্ছিলেন ৷ আর জবাবে তিনি বললেন, আমরা তোমাকে গ্রেফতার করেছি তোমাদের মিত্র
গোত্র ছার্কীফ এর অপরাধের কারণে ৷ তিনি বলেন যে, ছাকীফ গোত্র নবী করীম (সা)-এর দুজন
সাহাবীকে বন্দী করে রেখেছিল ৷ সে তার বক্তব্যে বলেছিল, আমি তাে একজন মুসলমান ৷ রাসুল
করীম (সা) তখন বললেন : তুমি যদি বন্দী হওয়ার আবগ স্বাধীন থাকাকালে এ কথা বলতে
তাহলে তো তুমি সফ্ফাই হতে ৷

এ কথাটি বলে রাসুল কত্রীম (সা) স্থান ত্যাগ করতে উদ্যত হলে সে বললো : হে মুহঙ্গোদা
আমি ক্ষুধার্ত, আমাকে আহার্য দিন ৷ আমি পিপাসার্ত ৷ আমাকে পানি পান করান ৷ তখন নবী বত্রীম
(সা) বললেন : এই তোমার প্রয়োজন ৷ এরপর তিনি পুবেক্তি দুব্যক্তির ফিদিয়া বা বিনিময় স্বরুপ
তাকে মুক্ত করে দিলেন এবং আযুবা উটনীটি নিজের বহ্হনের জন্য রেখে দিলেন ৷ ইমাম আহমদ
(র) আরো বলেন যে, মুশরিকরা যখন মদীনায় রাসুল (সা)এর পণ্ডপালে হামলা চালায় তখন
তার! ঙ্গুষ্ঠিত পশুপালের সঙ্গে আযুবা উটনীও নিবুয় যায় ৷ উপরন্তু তারা একজন মুসলিম মহিলাকেও
ধরে নিয়ে বন্দী করে রাখে ৷ তিনি আরো বলেন যে, তারা কোন মনযিণে অবস্থান করলে
মনযিলের আঙ্গিনায় উটণ্ডালা চারণের জন্য ছেড়ে দিতো ৷ এক রাত্রে সকলে ঘুমিরে পড়লে
মহিণাটি উঠে উটনীটির কাছে মোঃ৷ উটনীটি আওয়ায কাি ৷ মহিলাটি আষ্ৰা নামক উটনীর
কাছেও যায় ৷ এটি ছিল অত্যন্ত অনুগত ও শাস্তুশিষ্ট ৷ মহিণাটি আবৃবার পিঠে সওয়ার হয়, তাকে
মদীনায় দিকে ম্বুটায় এবং মানত করে যে, আল্পাহ্ তারে নিরাপদ পন্তব্যে পৌছালে সে এটিকে
আল্লাহর নামে যৰাই করবে ৷ মদীনায় পৌহগে জানা যায় যে, এটি রাসুল লীেম (না)-এর বহুল
পরিচিত উটনী ৷ মহিণাকে বলা হয় যে, এটি রাসুল করীম (সা )-এর উটনী ৷ তার মানত সম্পর্কে
রাসুল করীম (সা) জানতে পারলেন, অথবা মহিলা নিজেই রাসুল (না)-কে জানালেন তখন তিনি
বললেন : তুমি যে উটনীটিকে নিকুষ্ট প্রতিদান দিলে, অথ্বা তিনি বললেন যে, মহিলাটি তাকে
নিকৃষ্ট প্ৰতিদান কাি ৷ অল্লোহ্তাে সে ত্মীর উপর সওয়ার করিয়ে তাকে মুক্তি দিলেন আর যে মুক্তি
পেয়ে তাকে যৰাই করতে উদ্যত ৷ তারপর তিনি (সা) বললেন : আল্লাহ্র নাযদ্মমানীর ক্ষেত্রে
মানত পুরণ করতে হয় না; আদম সন্তান যে বন্তুর মালিক নয়, সে মোঃ মানত সিদ্ধ হয় না


فَجِئْتُ بِهِمَا أَسُوقُهُمَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمَاءِ الَّذِي أَجْلَيْتُهُمْ عَنْهُ - ذُو قَرَدٍ - وَإِذَا بِنَبِيِّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي خَمْسِمِائَةٍ، وَإِذَا بِلَالٌ قَدْ نَحَرَ جَزُورًا مِمَّا خَلَفْتُ، فَهُوَ يَشْوِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ كَبِدِهَا وَسَنَامِهَا، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، خَلِّنِي فَأَنْتَخِبُ مِنْ أَصْحَابِكَ مِائَةً، فَآخُذُ عَلَى الْكُفَّارِ بِالْعَشْوَةِ، فَلَا يَبْقَى مِنْهُمْ مُخْبِرٌ إِلَّا قَتَلْتُهُ. فَقَالَ: «أَكُنْتَ فَاعِلًا ذَلِكَ يَا سَلَمَةُ؟» ". قَالَ: قُلْتُ: نَعَمْ وَالَّذِي أَكْرَمَكَ. فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى رَأَيْتُ نَوَاجِذَهُ فِي ضَوْءِ النَّارِ، ثُمَّ قَالَ: " «إِنَّهُمْ يُقْرَوْنَ الْآنَ بِأَرْضِ غَطَفَانَ» ". فَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ غَطَفَانَ فَقَالَ: مَرُّوا عَلَى فُلَانٍ الْغَطَفَانِيِّ، فَنَحَرَ لَهُمْ جَزُورًا، فَلَمَّا أَخَذُوا يَكْشِطُونَ جِلْدَهَا رَأَوْا غَبَرَةً، فَتَرَكُوهَا وَخَرَجُوا هِرَابًا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ فُرْسَانِنَا الْيَوْمَ أَبُو قَتَادَةَ، وَخَيْرُ رَجَّالَتِنَا سَلَمَةُ» ". فَأَعْطَانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَهْمَ الْفَارِسِ وَالرَّاجِلِ جَمِيعًا، ثُمَّ أَرْدَفَنِي وَرَاءَهُ عَلَى الْعَضْبَاءِ رَاجِعِينَ إِلَى الْمَدِينَةِ فَلَمَّا كَانَ بَيْنَنَا وَبَيْنَهَا قَرِيبٌ مِنْ ضَحْوَةٍ، وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ مِنَ الْأَنْصَارِ كَانَ لَا يُسْبَقُ جَعَلَ يُنَادِي: هَلْ مِنْ مُسَابِقٍ؟ أَلَا رَجُلٌ يُسَابِقُ إِلَى الْمَدِينَةِ؟ فَأَعَادَ ذَلِكَ مِرَارًا، وَأَنَا وَرَاءَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُرْدِفِي، فَقُلْتُ لَهُ: أَمَا تُكْرِمُ كَرِيمًا وَلَا تَهَابُ شَرِيفًا؟ قَالَ: لَا، إِلَّا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي، خَلِّنِي فَلْأُسَابِقِ الرَّجُلَ. قَالَ: