আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة ذي قرد

পৃষ্ঠা - ৩০৩৪

পরিবেষ্টিত ৷ আর বিলাল (বা) আমার ফেলে আসা উটের মধ্য থেকে একটা উট যবাই করেন
এবং তিনি রাসুল কয়ীম (না)-এর জন্য উটের কলিজা ও কুজের গোশত ভৃনছিলেন ৷ আমি রাসুল
করীম (না)-এর থেদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলাম; ইয়া রাসুলাল্লাহ্ৰু আমাকে অনুমতি দিন,
আমি আপনার সাহাবীপণের মধ্যে থেকে একশজনকে বাছাই করে নেবাে এবং রাতের অন্ধকারে
আমি কাফিরদেরকে পাকড়াও করবো এবং তাদের মধ্যে একজন গুপ্তচরও অবশিষ্ট থাকবে না ,
আমি তাদের সকলকেই হত্যা করবো ৷ আমার কথা শুনে রাসুল করীম (সা) বললেন : সালামা !
তুমি কি তাই করবে ? আমি বললাম, জী হা ৷ যে সত্তা আপনাকে সম্মানিত করেছেন তার শপথ
করে বলছি ৷ ৰু তে রাসুল করীম (সা) হেসে ফেললেন; এমন কি আগুনের আলোতে আমি তার
মাড়ির দাত দেখতে পেলাম ৷ এরপর তিনি বললেন, গাতফান গোত্রের ভুমিতে এখন তাদের
মেহমানদারী চলছে ৷ তখন পাতফান গোত্রের জনৈক ব্যক্তি উপস্থিত হয়ে বললো : তারা অমুক
গাতফানীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছে ৷ সে তাদের জন্য উট যবাই করেছে ৷ তারা বসে উটের
চামড়া খসাচ্ছিল এমনি সময় গিয়ে তারা ধুলাবালি উড়তে দেখতে পেয়ে ছেড়ে ছুটে পালায় ৷ ভোর
হলে রাসুল করীম (সা) বললেন : আমাদের ঘোড়সওয়ারদের মধ্যে আবু কাতাদা সর্বোত্তম; আর
পদাতিকদের মধ্যে সবেত্তিম হল সালামা ৷ তাই রাসুল করীম (সা) আমাকে ঘোড়সওয়ার আর
পদাতিক উভয়ের অংশ দান করলেন ৷ তারপর মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে তিনি তার নিজের উটনী
আযবার পিঠে আমাকে সহযাত্রী করলেন ৷ যখন আমাদের আর মদীনায় মধ্যে কিছুটা দুরতৃ
অবশিষ্ট জ্জি এবং দোকদ্যে৷ মধ্যে একজন এমনও ল্লি, যে প্রতিযোগিতায় পরাজিত হতো না সে
ডাক দিয়ে বলছিল; কোন প্ৰতািযাগী আছে কি ? মদীনা পর্যন্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মতো
কেউ আছে কি : কথাটা সে বারবার উচ্চারণ করছিল ৷ আর আমি ছিলাম রাসুল করীম (সা)--এর
পেছনের সহযাত্রী ৷ আমি তাকে বললাম : তুমি কি কোন সম্রান্ত ব্যক্তির সম্মান করনা আর কোন
শরীফ ব্যক্তিকে ভয় কর না : সে বললো : রাসুল করীম (সা) ব্যতীত অন্য কাউকে আমি সম্মানও
করি না আর ভয়ও করি না ৷ আমি আরয করলাম : ইয়া রাসুলাল্লাহ্! আপনার প্রতি আমার
পিতা-মাতা বুল্মবান হোন, আপনি আমাকে অনুমতি দিন, আমি তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামবাে ৷
তিনি বললেন : তোমার ইচ্ছা হলে নামভে পার ৷ আমি তাকে বললাম , আমি তোমার দিকে
আসছি ৷ সে সওয়াৰী থেকে লাফিয়ে পড়লো, আর আমিও উটনীর পিছন থেকে লাফিয়ে পজ্ঞাম ৷
এরপর আমি এক বা দুই টিলা পেছনে রইলাম অর্থাৎ দম রাখার জন্য ধীর গতিতে এগুলাম ৷
তারপর দ্রুত ও দৌড়ে গিয়ে তার সঙ্গে মিলিত হলাম এবং তার দৃ’ স্কন্ধের মধ্যস্থুলে একটা ঘুষি
মেরে রললাম , আল্লাহ্র শপথ আমি তোমাকে হারিয়ে দিয়েছি, অথবা এরকম কোন কথা
বললাম ৷ আমার কথা শুনে সে হেসে বললো : আমিও তো তাই মনে করছি ৷ এভাবে আমরা
মদীনায় গিয়ে গৌছলাম ৷ মুসলিম (র) ইকরিমা ইবন আমার থেকে বিভিন্ন সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷ তাতে উল্লেখ আছে যে , আমি তার আগে মদীনা পৌছি এবং তিনদিন অবস্থান করেই
আমরা খায়ব্যারর উদ্দেশ্যে বের হই ৷ এ সুত্রে ইমাম আহমদ (র) থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে ৷
বুখারী এবং বায়হাকী হুদায়বিয়ার পর এবং খারবরের আগে এ যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন ৷
ইব ন ইসহ্াকের বর্ণনার তুলনায় এটাই অধিকতর যুক্তিযুক্ত ৷ আল্লাহ্ তাআলইি ভাল জানেন ৷


مُدْبِرِينَ، وَأَنْزِلُ مِنَ الْجَبَلِ فَآخُذُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَقُلْتُ: يَا أَخْرَمُ انْذَرِ الْقَوْمَ - يَعْنِي احْذَرْهُمْ - فَإِنِّي لَا آمَنُ أَنْ يَقْتَطِعُوكَ، فَاتَّئِدْ حَتَّى يَلْحَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابُهُ قَالَ: يَا سَلَمَةُ، إِنْ كُنْتَ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَتَعْلَمُ أَنَّ الْجَنَّةَ حَقٌّ وَالنَّارَ حَقٌّ فَلَا تَحُلْ بَيْنِي وَبَيْنَ الشَّهَادَةِ. قَالَ: فَخَلَّيْتُ عِنَانَ فَرَسِهِ، فَيَلْحَقُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُيَيْنَةَ، وَيَعْطِفُ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ، فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ، فَعَقَرَ الْأَخْرَمُ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَطَعَنَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَقَتَلَهُ، فَتَحَوَّلَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، فَيَلْحَقُ أَبُو قَتَادَةَ بِعَبْدِ الرَّحْمَنِ فَاخْتَلَفَا طَعْنَتَيْنِ فَعَقَرَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَقَتَلَهُ أَبُو قَتَادَةَ، وَتَحَوَّلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى فَرَسِ الْأَخْرَمِ، ثُمَّ إِنِّي خَرَجْتُ أَعْدُو فِي أَثَرِ الْقَوْمِ حَتَّى مَا أَرَى مِنْ غُبَارِ صَحَابَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا، وَيُعْرِضُونَ قَبْلَ غَيْبُوبَةِ الشَّمْسِ إِلَى شِعْبٍ فِيهِ مَاءٌ يُقَالُ لَهُ: ذُو قَرَدٍ. فَأَرَادُوا أَنْ يَشْرَبُوا مِنْهُ، فَأَبْصَرُونِي أَعْدُو وَرَاءَهُمْ فَعَطَفُوا عَنْهُ، وَاشْتَدُّوا فِي الثَّنِيِّةِ ثَنِيَّةِ ذِي بِئْرٍ، وَغَرَبَتِ الشَّمْسُ، وَأَلْحَقُ رَجُلًا فَأَرْمِيهِ فَقُلْتُ: خُذْهَا وَانَا ابْنُ الْأَكْوَعْ ... وَالْيَوْمُ يَوْمُ الرُّضَّعْ قَالَ: فَقَالَ: يَا ثُكْلَ أُمِّ أَكْوَعَ بُكْرَةَ. فَقُلْتُ: نَعَمْ، أَيْ عَدُوَّ نَفْسِهِ. وَكَانَ الَّذِي رَمَيْتُهُ بُكْرَةَ وَأَتْبَعْتُهُ سَهْمًا آخَرَ فَعَلِقَ بِهِ سَهْمَانِ، وَيَخْلُفُونَ فَرَسَيْنِ