আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

سنة ست من الهجرة النبوية

غزوة ذي قرد

পৃষ্ঠা - ৩০২৯

পক্ষান্তরে ইমাম বুখারী (ব) হুদায়বিয়ার পরে এবং খায়বরের আগে ঘুকাবাদ যুদ্ধের উল্লেখ
করেছেন ৷ এ যুদ্ধ সং টিত হয় খায়বর যুদ্ধের তিন দিন পুর্বে; যাতে দুশমনরা রাসুল করীম (সা)
-এর উটনী লুষ্ঠন করে নিয়ে গিয়েজ্যি ৷ ইমাম বুখারী (র) কুতায়বা ইবন সাঈদ (র)
সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন :

তিনি বলেন, প্রথম আযানের (ফজরের) আগে আমি (ঘর থেকে) বের ইে ৷ তখন রাসুল
করীম (না)-এর উটনীগুলো ছিল ষী কারাদ-এর চারণ ভুমিতে ৷ পথে আবদুর রহমান ইবন
আওফের এক ভৃত্যের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয় ৷ তিনি বললেন, রাসুল করীম (না)-এর
উটনীগুলো লুট করে নিয়ে গেছে ৷ আমি জিজ্ঞেস করলাম ; কে নিয়ে গেছে ? তিনি বললেন,
গাতফান গোত্রের লোকেরা ৷ তিনি বলেন : এরপর আমি ংাঠুা ; ৷ ৰু, বলে তিন দফা চিৎকার
করি ৷ আমার চিৎকারের শব্দ মদীনায় সকলকে শোনাই ৷ তারপর আমি ছুটে যাই এবং তাদের
নাপাল পেয়ে যইি ৷ তারা তখন পানি পান করছিল ৷ আমি তাদেরদিকে তীর নিক্ষেপ করলাম আর
আমি ছিলাম দক্ষ ভীরন্দায ৷ এ সময় আমি বলছিলাম :

আমি হলাম আকওয়া তনয়, আর আজকের দিনটি হলো নীচ লোকদের বিনাশের দিন ৷ এ
কথাগুলো আমি সুর করে গানের মতো আবৃত্তি করহ্নিাড়াম ৷ শেষ পর্যন্ত আমি তাদের নিকট থেকে
উটনীগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হই ৷ এছাড়াও আমি তাদের নিকট থেকে ৩০ থানা চাদরও
ছিনিয়ে আমি ৷ তিনি বলেন, তারপর রাসুল করীম (সা) এলেন এবং লোকজনও উপস্থিত হলো ৷
তখন আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্পাহ! আমিভাে তাদেরকে পানি পান করতে বাধা দিয়েছি ৷ তারা
পিপাসার্ত ৷ তখনই তাদের প্রতি লোক প্রেরণ করান ৷ তখন রাসুল করীম (সা) বললেন :

হে ইবনুল আকওয়া, যখন তুমি বিজয়ী হয়েছে৷ তখন উদার হও ৷ তারপর আমরা ফিরে
আমি এবং রাসুল করীম (সা) আমাকে তার নিজের উটনীতে সহযাত্রী করলেন ৷ অবশেষে আমরা
মদীনা পৌছলাম ৷ অনুরুপভাবে মুসলিম কুতায়বা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ৷ ইমাম বুখারী

(র) ও আবুআসিম সুহালী আবুউবায়দার আযাদ করা গোলাম সালামা সুত্রে হাদীছটি বর্ণনা
করেছেন ৷
ইমাম আহমদ (র) হাশিম ইবন কাসিম সালামা ইবনুল আকওয়া সুত্রে বর্ণনা করেন

হুদায়বিয়ার যমানায় আমরা রাসুল করীম (না)-এর সাথে মদীনায় আগমন করি ৷ একদিন আমি
এবং রাসুল করীম (না)-এর ভৃত্য রাবাহ রাসুলের সওয়ারী নিয়ে (মদীনায়) বাইরে গমন করি ৷
এবং আমি তালহা ইবন উবায়দুল্লাহ্ ঘোড়া নিয়ে বের হই ৷ উদ্দেশ্য ছিল উটনীর সঙ্গে ঘোড়াকেও
পানি পান করানো ও মাঠে চরানাে ৷ অন্ধকার থাকতেই আবদুর রহমান ইবন উয়ায়না রাসুল করীম
(না)-এর উটের উপর হামলা চালায় ৷ সে উটের রাখালকে হত্যা করে এবং সে-ও তার সঙ্গে
অন্যরা উটগুলাে হীকিয়ে নিয়ে যায় ৷ আমি তখন বললাম, হে রাবাহ! ঘোড়ার পিঠে চড় এবং
তালহার সঙ্গে মিলিত হয়ে রাসুল করীম (সা)-কে খবর দাও যে, তার পশুগুলাে লুট হয়ে গেছে ৷


عَلَيْهِ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَتَلَهُ، وَجَالَ الْفَرَسُ فَلَمْ يُقْدَرْ عَلَيْهِ حَتَّى وَقَفَ عَلَى أَرِيَّةٍ مِنْ بَنِي عَبْدِ الْأَشْهَلِ، أَيْ رَجَعَ إِلَى مِرْبَطِهِ الَّذِي كَانَ فِيهِ بِالْمَدِينَةِ.» قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَلَمْ يُقْتَلْ يَوْمَئِذٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ غَيْرُهُ. قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَقَدْ ذَكَرَ غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ قَدْ قُتِلَ مَعَهُ أَيْضًا وَقَّاصُ بْنُ مُجَزِّزٍ الْمُدْلِجِيُّ. قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ: وَحَدَّثَنِي بَعْضُ مَنْ لَا أَتَّهِمُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ مُحْرِزًا كَانَ عَلَى فَرَسٍ لِعُكَّاشَةَ بْنِ مِحْصَنٍ يُقَالُ لَهَا: الْجَنَاحُ. فَقُتِلَ مُحْرِزٌ وَاسْتُلِبَتِ الْجَنَاحُ. فَاللَّهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «وَلَمَّا تَلَاحَقَتِ الْخَيْلُ قَتَلَ أَبُو قَتَادَةَ حَبِيبَ بْنَ عُيَيْنَةَ وَغَشَّاهُ بُرْدَهُ، ثُمَّ لَحِقَ بِالنَّاسِ، وَأَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمُسْلِمِينَ - قَالَ ابْنُ هِشَامٍ: وَاسْتَعْمَلَ عَلَى الْمَدِينَةِ ابْنَ أُمِّ مَكْتُومٍ - فَإِذَا حَبِيبٌ مُسَجًّى بِبُرْدِ أَبِي قَتَادَةَ، فَاسْتَرْجَعَ النَّاسُ، وَقَالُوا: قُتِلَ أَبُو قَتَادَةَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَيْسَ بِأَبِي قَتَادَةَ، وَلَكِنَّهُ قَتِيلٌ لِأَبِي قَتَادَةَ، وَوَضَعَ عَلَيْهِ بُرْدَهُ لِتَعْرِفُوا أَنَّهُ صَاحِبُهُ ". قَالَ: وَأَدْرَكَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ أَوْبَارًا وَابْنَهُ عَمْرَو بْنَ أَوْبَارٍ، وَهُمَا عَلَى بَعِيرٍ وَاحِدٍ، فَانْتَظَمَهُمَا بِالرُّمْحِ فَقَتَلَهُمَا جَمِيعًا وَاسْتَنْقَذُوا بَعْضَ اللِّقَاحِ. قَالَ: وَسَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى نَزَلَ بِالْجَبَلِ مِنْ ذِي قَرَدٍ، وَتَلَاحَقَ بِهِ النَّاسُ، فَأَقَامَ عَلَيْهِ يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَقَالَ